নবীর বংশধর দাবি করা কে এই হাসিম সাফিএদ্দীন
নাসরুল্লাহ প্রায় ৩২ বছর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শুক্রবার গ্রুপটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মুখে প্রাণ হারান নাসরুল্লাহ। বলা হচ্ছে, নাসরুল্লাহ নিহত হলেও ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেছে হাসিম সাফিএদ্দীন। এখন তার কাঁধে তুলে দেওয়া হতে পারে এই গ্রুপের দায়িত্ব। ইসরায়েলি গণমাধ্যমও সাফিএদ্দীনকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরবর্তী সম্ভাব্য নেতা হিসেবে দাবি করেছে।
সাফিএদ্দীন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। তিনি গ্রুপটির রাজনৈতিক দিকও দেখভাল করেন। এ ছাড়া জিহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। এই জিহাদ কাউন্সিল প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সামরিক অভিযানগুলো পরিচালনা করে থাকে। সাফিএদ্দীনের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি নাসরুল্লাহর দূরসম্পর্কের ভাই। আবার ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত তিনি।
নিজেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর খুব কাছের বংশধর হিসেবেও দাবি করেন সাফিএদ্দীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক, শারীরিক গঠন একই রকম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং মহানবীর বংশধর হওয়ায় তার ওপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক সাফিএদ্দীন ২০১৭ সালে মার্কিন সরকারের লাল তালিকায় স্থান করে নেন। গেল জুনে ইসরায়েলকে কঠোর যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন সাফিএদ্দীন।
ইরানের সহযোগিতায় ৪২ বছর আগে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্রুপটি আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৯২ সালে গ্রুপটির তৎকালীন প্রধান ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়। এরপরই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। কিন্তু ইসরায়েলের হামলাতেই শুক্রবার প্রাণ হারালেন তিনি। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নাসরুল্লাহ ছাড়াও নিহত হয়েছেন শীর্ষ কয়েকজন কমান্ডার।
হাসিম সাফিএদ্দীন ও হাসান নাসরুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত |
No comments