রওশনের লজ্জা! by সাজেদুল হক
(ঢাকার
চিঠি-১) সিদ্ধান্তটি আচমকাই নিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ৫ই জানুয়ারির
আগের ইতিহাস। দেশ তখন অগ্নিগর্ভ। অংশগ্রহণমূলক, না একতরফা নির্বাচন? জাতীয়
পার্টির নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে সংশয় ছিলো সামান্যই। দলটি ইতিমধ্যে
মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছিলো। কিন্তু হঠাৎই বেঁকে বসেন এরশাদ।
জানালেন, তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না। বলাবলি আছে, ঢাকায় নিযুক্ত এক বিদেশি অতিথি এ ব্যাপারে এরশাদকে প্রভাবিত করেছিলেন।
এ সিদ্ধান্তের পরিণতি অবশ্য শুভ হয়নি এরশাদের জন্য। তার ঠাঁই হয় হাসপাতালে। এরশাদ যখন বাধ্যতামূলক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তখন তার দলের এক অংশের নেতারা শরণাপন্ন হন রওশনের। তাকে বুঝান নির্বাচনে থেকে গেলে কী কী লাভ হবে। সব মহলের সঙ্গে তার যোগাযোগও করিয়ে দেন। হঠাৎ স্বামীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন রওশন। নির্বাচনে থেকে যায় জাতীয় পার্টি। এমনকি এরশাদের মনোনয়নপত্রও প্রত্যাহার হয় না। ভাইয়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে মূল্য চুকাতে হয় জিএম কাদেরকে।
নির্বাচনের পর অবশ্য এরশাদকে বলা যায়, রক্ষাই করেন রওশন। রওশন হন বিরোধী দলের নেতা। এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। মন্ত্রিসভায়ও জায়গা হয় জাপা নেতাদের। আবার তারা প্রধান বিরোধীদলও। পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন এক সরকার ব্যবস্থা কায়েম হয়। কিন্তু এতদিন পর এসে রওশন এরশাদ খোদ সংসদেই জানালেন তার লজ্জা লাগে। জিএম কাদের বরাবরই এর বিরুদ্ধে বলে গেছেন। এরশাদ কখনো এদিকে, কখনো ওদিকে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে রওশন এরশাদ সংসদে যা বলেছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ‘আমরা সরকারি দল, না বিরোধী দল কোনটা আমরা? দেশে-বিদেশে নিজেদের পরিচয় দিতে পারি না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা লাগে। কারণ সবাই জানতে চায়, জাতীয় পার্টি সরকারি দল, না বিরোধী দল। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্র করে দেন। আমাদের বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে দেন। কিন্তু আমি জানি না, কেন সেটা হয়নি।’
রওশন এরশাদ মঙ্গলবার রাতে যে অনুভূতি প্রকাশ করলেন এমন কথা তিনি অতীতে আর বলেননি। কেন হঠাৎ করে তিনি এটা বলতে গেলেন তা একটা প্রশ্ন। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা আরো একবার বিস্মিত হয়েছেন এটা ভেবে যে, বিরোধীদল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না তা এখন নির্ভর করে সরকারি দলের ওপর। অদ্ভুত! কে না জানে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আগামী সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে হয়তো জাতীয় পার্টিকে বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখাও যেতে পারে। জাপা মন্ত্রীরা ২-৪ মাসের জন্য সেক্রিফাইস করতেও পারেন। সরকার তাদের সে সুযোগ দিতেও পারে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
জানালেন, তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে না। বলাবলি আছে, ঢাকায় নিযুক্ত এক বিদেশি অতিথি এ ব্যাপারে এরশাদকে প্রভাবিত করেছিলেন।
এ সিদ্ধান্তের পরিণতি অবশ্য শুভ হয়নি এরশাদের জন্য। তার ঠাঁই হয় হাসপাতালে। এরশাদ যখন বাধ্যতামূলক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তখন তার দলের এক অংশের নেতারা শরণাপন্ন হন রওশনের। তাকে বুঝান নির্বাচনে থেকে গেলে কী কী লাভ হবে। সব মহলের সঙ্গে তার যোগাযোগও করিয়ে দেন। হঠাৎ স্বামীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন রওশন। নির্বাচনে থেকে যায় জাতীয় পার্টি। এমনকি এরশাদের মনোনয়নপত্রও প্রত্যাহার হয় না। ভাইয়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে মূল্য চুকাতে হয় জিএম কাদেরকে।
নির্বাচনের পর অবশ্য এরশাদকে বলা যায়, রক্ষাই করেন রওশন। রওশন হন বিরোধী দলের নেতা। এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। মন্ত্রিসভায়ও জায়গা হয় জাপা নেতাদের। আবার তারা প্রধান বিরোধীদলও। পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন এক সরকার ব্যবস্থা কায়েম হয়। কিন্তু এতদিন পর এসে রওশন এরশাদ খোদ সংসদেই জানালেন তার লজ্জা লাগে। জিএম কাদের বরাবরই এর বিরুদ্ধে বলে গেছেন। এরশাদ কখনো এদিকে, কখনো ওদিকে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে রওশন এরশাদ সংসদে যা বলেছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ‘আমরা সরকারি দল, না বিরোধী দল কোনটা আমরা? দেশে-বিদেশে নিজেদের পরিচয় দিতে পারি না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা লাগে। কারণ সবাই জানতে চায়, জাতীয় পার্টি সরকারি দল, না বিরোধী দল। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্র করে দেন। আমাদের বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে দেন। কিন্তু আমি জানি না, কেন সেটা হয়নি।’
রওশন এরশাদ মঙ্গলবার রাতে যে অনুভূতি প্রকাশ করলেন এমন কথা তিনি অতীতে আর বলেননি। কেন হঠাৎ করে তিনি এটা বলতে গেলেন তা একটা প্রশ্ন। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা আরো একবার বিস্মিত হয়েছেন এটা ভেবে যে, বিরোধীদল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না তা এখন নির্ভর করে সরকারি দলের ওপর। অদ্ভুত! কে না জানে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আগামী সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে হয়তো জাতীয় পার্টিকে বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখাও যেতে পারে। জাপা মন্ত্রীরা ২-৪ মাসের জন্য সেক্রিফাইস করতেও পারেন। সরকার তাদের সে সুযোগ দিতেও পারে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
No comments