আলোচনার প্রস্তাব নাকচ প্রতিশোধ নেবে তালেবান
পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আর কোনো শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তানি তালেবানের (টিটিপি) নয়া প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ। তিনি বলেছেন, তার পূর্বসূরির মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবেন। রেডিওতে ফজলুল্লাহর এই ঘোষণার পর উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রধান শহর মিরানশাহ’র চারদিকে গুলি করে উল্লাস প্রকাশ করে তালেবান সদস্যরা। এদিকে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। তালেবান গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, তালেবান জঙ্গিরা পাকিস্তানের বর্তমান সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। মানুষ্যবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় পাকিস্তানি তালেবান প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার ছয়দিন পর নতুন প্রধান হিসেবে মোল্লা ফজলুল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়।
ফজলুল্লাহ মূলত নিষ্ঠুর প্রকৃতির কমান্ডার। তার বাহিনীই পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনকর্মী স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করেছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বরে রাস্তায় বোমা পেতে সোয়াতের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সানাউল্লাহ নিয়াজিসহ আরও দুই সামরিক কর্মকর্তাকে ফজলুল্লাহর বাহিনীই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মে মাসে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে দেশটির বিদ্রোহী জঙ্গি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, হাকিমুল্লাহ মেহসুদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারি আলোচকরা উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যাবেন। কিন্তু তাদের যাওয়ার নির্ধারিত দিনের মাত্র একদিন আগে ড্রোন হামলায় মেহসুদ নিহত হন। ১ নভেম্বর উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মেহসুদের গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। তালেবানের নেতৃ পরিষদের নেতা আসমতউল্লাহ শাহিন বিত্তানি বলেন, শহীদ হাকিমুল্লাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ আমরা পাকিস্তানের মাটিতেই নেব। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান এবং তালেবান নেতাদের মধ্যে শান্তি আলোচনার বিষয়টি আসলে শত্র“দের পাতা ফাঁদ ছিল, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। সব রাজনৈতিক দল যারা বর্তমান সরকারের অংশ তারা আমাদের শত্র“ হিসেবে বিবেচিত হবে। তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র শহিদুল্লাহ শহিদ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, স্থগিত করে রাখা শান্তি আলোচনা এমনকি একটি আলোচ্য বিষয়বস্তুও ছিল না।
No comments