ইমরান-মিয়াঁদাদ দুই দিকে
ইমরান খান সব সময়ই ব্যতিক্রম। অন্য সবাই যখন পাকিস্তান ভালোই করেছে বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে, ইমরান তখন সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের দলে অবশ্য আছেন সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদিরও।
পাকিস্তান যা করেছে, সেটাই যথেষ্ট—এই স্লোগানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ, ‘এই দলটিকে সমর্থন দেওয়া আর প্রশংসা করা উচিত আমাদের।’ মিয়াঁদাদ কেন সবাইকে শহীদ আফ্রিদিদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন? ‘এরা কোনো বিতর্কের জন্ম দেয়নি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটও খেলেছে। সেমিফাইনালে যেতে পারাটাই বড় এক অর্জন।’
মিয়াঁদাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছেন পাকিস্তানের আরও দুই সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ ও ইনজামাম-উল হক। কয়েক বছর আগে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের মানুষ ক্রিকেটারদের ওপর ছিল ক্ষুব্ধ, এবার যাতে সেই ঘটনা না ঘটে, আফ্রিদিরা যাতে দেশে ভালো অভ্যর্থনা পান; লতিফ সবাইকে জানিয়েছেন এই আহ্বান। ‘অন্য যেকোনো দলই স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিতর্ক ও শৃঙ্খলাবিষয়ক ঝামেলা নিয়ে চাপে পড়ে যেত। কিন্তু আমাদের ছেলেরা অনেক দৃঢ়তা দেখিয়েছে এবং শহীদ আফ্রিদি দলকে খুব ভালো নেতৃত্ব দিয়েছে’—বলেছেন লতিফ।
গত বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইনজামাম। দেশে ফেরার পর মানুষের রুদ্ররোষের শিকার হতে হয় তাঁকে এবং তাঁর সতীর্থদের। এর জ্বালাটা ভালো করেই বোঝেন ইনজামাম। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না তিনি, ‘দল খুব ভালো লড়াই করেছে। টেন্ডুলকারের ক্যাচ মিস না করলে ফলটা অন্য রকমও হতে পারত।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক মঈন খানের কথা, ‘দলের ওপর রাগ করার কিছু নেই। এই দলে দারুণ প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা পাকিস্তানের সুন্দর ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিতবাহী।’
সাবেক খেলোয়াড়দের মতো দেশের রাজনীতিবিদেরাও পাকিস্তান খেলোয়াড়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তো প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ হাজার রুপি বেশি করে অর্থ পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমরান অবশ্য এত প্রশংসার কিছু দেখেন না। পাকিস্তানের ফিল্ডিং দেখে বিস্মিত তিনি, ‘পাকিস্তান যা ফিল্ডিং করেছে, তা করে কোনো দলই জিততে পারে না। শচীন টেন্ডুলকারের মতো একজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ আপনি কিছুতেই চারবার ফেলতে পারেন না।’ পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা চাপের কাছে ভেঙে পড়েছে, বলেছেন পাকিস্তানকে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। ইমরানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কাদির।
ভারতের কাছে এভাবে হেরে যাওয়ার সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমও। দ্য নিউজ-এর শিরোনাম ছিল ‘মোহালিতে মহাবিপর্যয়’। এই শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের বাজে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংকে পুঁজি করে ফাইনালে চলে গেছে ভারত।’ ডন লিখেছে, ‘ক্যাচ ফেলা, বাজে শট এবং মিসবাহর “টেস্ট ইনিংস”ই পরাজয়ের কারণ।’
ইমরান-কাদির ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা করেছেন শুধু পরশুর সেমিফাইনাল নিয়ে। অন্য সাবেকরা দলের পাশেই আছেন। তবে পাকিস্তান তো পাকিস্তানই! এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলির পাঠা খোঁজা! আর এবার সেই ‘পাঁঠা’ সম্ভবত হতে চলেছেন কামরান আকমল। ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে পারেননি ওপেনিংয়ে নেমে। আর উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও মিস করেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘নির্বাচকদের যেমন সিদ্ধান্ত, তাতে মনে হয় কামরান আকমলের ক্যারিয়ার শেষ। তার ব্যাটিং-কিপিং কোনোটিতেই কেউ খুশি নয়।’
পাকিস্তান যা করেছে, সেটাই যথেষ্ট—এই স্লোগানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ, ‘এই দলটিকে সমর্থন দেওয়া আর প্রশংসা করা উচিত আমাদের।’ মিয়াঁদাদ কেন সবাইকে শহীদ আফ্রিদিদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন? ‘এরা কোনো বিতর্কের জন্ম দেয়নি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটও খেলেছে। সেমিফাইনালে যেতে পারাটাই বড় এক অর্জন।’
মিয়াঁদাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছেন পাকিস্তানের আরও দুই সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ ও ইনজামাম-উল হক। কয়েক বছর আগে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের মানুষ ক্রিকেটারদের ওপর ছিল ক্ষুব্ধ, এবার যাতে সেই ঘটনা না ঘটে, আফ্রিদিরা যাতে দেশে ভালো অভ্যর্থনা পান; লতিফ সবাইকে জানিয়েছেন এই আহ্বান। ‘অন্য যেকোনো দলই স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিতর্ক ও শৃঙ্খলাবিষয়ক ঝামেলা নিয়ে চাপে পড়ে যেত। কিন্তু আমাদের ছেলেরা অনেক দৃঢ়তা দেখিয়েছে এবং শহীদ আফ্রিদি দলকে খুব ভালো নেতৃত্ব দিয়েছে’—বলেছেন লতিফ।
গত বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইনজামাম। দেশে ফেরার পর মানুষের রুদ্ররোষের শিকার হতে হয় তাঁকে এবং তাঁর সতীর্থদের। এর জ্বালাটা ভালো করেই বোঝেন ইনজামাম। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না তিনি, ‘দল খুব ভালো লড়াই করেছে। টেন্ডুলকারের ক্যাচ মিস না করলে ফলটা অন্য রকমও হতে পারত।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক মঈন খানের কথা, ‘দলের ওপর রাগ করার কিছু নেই। এই দলে দারুণ প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা পাকিস্তানের সুন্দর ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিতবাহী।’
সাবেক খেলোয়াড়দের মতো দেশের রাজনীতিবিদেরাও পাকিস্তান খেলোয়াড়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তো প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ হাজার রুপি বেশি করে অর্থ পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমরান অবশ্য এত প্রশংসার কিছু দেখেন না। পাকিস্তানের ফিল্ডিং দেখে বিস্মিত তিনি, ‘পাকিস্তান যা ফিল্ডিং করেছে, তা করে কোনো দলই জিততে পারে না। শচীন টেন্ডুলকারের মতো একজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ আপনি কিছুতেই চারবার ফেলতে পারেন না।’ পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা চাপের কাছে ভেঙে পড়েছে, বলেছেন পাকিস্তানকে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। ইমরানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কাদির।
ভারতের কাছে এভাবে হেরে যাওয়ার সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমও। দ্য নিউজ-এর শিরোনাম ছিল ‘মোহালিতে মহাবিপর্যয়’। এই শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের বাজে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংকে পুঁজি করে ফাইনালে চলে গেছে ভারত।’ ডন লিখেছে, ‘ক্যাচ ফেলা, বাজে শট এবং মিসবাহর “টেস্ট ইনিংস”ই পরাজয়ের কারণ।’
ইমরান-কাদির ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা করেছেন শুধু পরশুর সেমিফাইনাল নিয়ে। অন্য সাবেকরা দলের পাশেই আছেন। তবে পাকিস্তান তো পাকিস্তানই! এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলির পাঠা খোঁজা! আর এবার সেই ‘পাঁঠা’ সম্ভবত হতে চলেছেন কামরান আকমল। ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে পারেননি ওপেনিংয়ে নেমে। আর উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও মিস করেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘নির্বাচকদের যেমন সিদ্ধান্ত, তাতে মনে হয় কামরান আকমলের ক্যারিয়ার শেষ। তার ব্যাটিং-কিপিং কোনোটিতেই কেউ খুশি নয়।’
No comments