ফেবারিট প্রশ্নে সাবেকেরা বিভক্ত
ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল মহারণের উত্তেজনা থিতিয়ে গেছে। সবার কৌতূহল এখন মুম্বাইয়ের ফাইনাল নিয়ে। ভারত, নাকি শ্রীলঙ্কা—ইতিহাসের প্রথম অল এশিয়ান বিশ্বকাপ ফাইনালে কে ফেবারিট? বর্তমান ক্রিকেটাররা নীরব থাকলেও চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন সাবেকেরা। আলোচনায় মজেছেন ক্লাইভ লয়েড, অ্যালান বোর্ডার, কপিল দেব, ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গার মতো বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়কেরা।
স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে সাবেক কিংবদন্তিদের মধ্যে বিভাজন। কেউ ভারতকে এগিয়ে রাখছেন, তো কারও ভোট শ্রীলঙ্কার বাক্সে।
কপিল দেব ও অর্জুনা রানাতুঙ্গার ভোটটা স্বাভাবিকভাবেই নিজ নিজ দেশের পক্ষে। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯—অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাসের প্রথম দুটি বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জেতানো ক্লাইভ লয়েড এগিয়ে রাখছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। ইমরান খানের ভোট ভারতের পক্ষে। অ্যালান বোর্ডারের ফেবারিট কুমার সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে দেশে ফিরেই রিকি পন্টিং ভবিষ্যদ্বাণী করে রেখেছেন, সম্ভাবনায় ভারতই এগিয়ে। বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়কদের মধ্যে বাদ কেবল স্টিভ ওয়াহর ফেবারিট কে সেটাই জানার বাকি।
ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সেমিফাইনালে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। দুটি ম্যাচই তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, ফাইনালে ভারতের চাপটা কম থাকবে, ‘ভারত তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফরম্যান্স হয়তো করতে পারেনি, তারা অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে এসেছে। কাজেই তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের চেয়ে ফাইনালে কম চাপে থাকবে।’ অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক বোর্ডার মনে করেন, শুধু ফাইনালের দুই দলের মধ্যেই নয়, শ্রীলঙ্কা এবারের বিশ্বকাপেরই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল।
ধোনির দলকেই এগিয়ে রাখা ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ফাইনাল যুদ্ধে নামার আগে দিয়েছেন কিছু টিপসও, ‘তাদের ম্যাচটা খেলতে হবে আবেগ সহকারে, কোনো চাপ ছাড়া। হ্যাঁ, চাপ অবশ্যই থাকবেই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলাটা উপভোগ করা।’ সেমিফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ টেন্ডুলকার সম্পর্কে কপিলের কথা, ‘শচীনের প্রমাণের কিছু নেই। আমরা ওর সম্পর্কে যা বলব, ও তার চেয়ে ১০০ গুণ বড়।’
শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখলেও ভারতীয় আরেকটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘সম্ভাবনা ৫০-৫০।’ তাঁর কথা, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি যেখানে পরামর্শ দিয়েছেন, আমার সেখানে বলার কিছু নেই। ফাইনালে চাপ থাকবেই। ধোনি ও সাঙ্গাকারা সেটা অনুভব করবে। দুটি সেরা দল, দুটি ফেবারিট দল, দুটি এশিয়ার দল মুখোমুখি হবে। তাদের উচিত ১০০ ওভার ভালো খেলা।’
ভারত-পাকিস্তানের সেমিফাইনালের অভিজ্ঞতার আলোকে ভারতকে এগিয়ে রাখা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড বলেছেন, ‘ক্যাচগুলোই ম্যাচ জেতাবে।’
সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কদের এই ফেবারিট-তত্ত্বের আলোচনায় যোগ দিয়েছেন ভারতীয় সাবেকেরাও। ভারতের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক প্রধান নির্বাচক এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দিলীপ ভেংসরকার মনে করেন, ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচবে এবার, ‘যেভাবে তারা খেলে আসছে, ভারত অবশ্যই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেবে। ভারতের পক্ষে আমার বাজি ৬০-৪০।’
ভারতের আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচক চান্দু বোর্দে মনে করেন, স্বাগতিক সুবিধাটাই এগিয়ে রাখবে ভারতকে। সাবেক স্পিনার বাপু নাদকার্নি, সাবেক টেস্ট অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টরদের ভোটও পাচ্ছেন ধোনির দল।
স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে সাবেক কিংবদন্তিদের মধ্যে বিভাজন। কেউ ভারতকে এগিয়ে রাখছেন, তো কারও ভোট শ্রীলঙ্কার বাক্সে।
কপিল দেব ও অর্জুনা রানাতুঙ্গার ভোটটা স্বাভাবিকভাবেই নিজ নিজ দেশের পক্ষে। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯—অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাসের প্রথম দুটি বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জেতানো ক্লাইভ লয়েড এগিয়ে রাখছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। ইমরান খানের ভোট ভারতের পক্ষে। অ্যালান বোর্ডারের ফেবারিট কুমার সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে দেশে ফিরেই রিকি পন্টিং ভবিষ্যদ্বাণী করে রেখেছেন, সম্ভাবনায় ভারতই এগিয়ে। বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়কদের মধ্যে বাদ কেবল স্টিভ ওয়াহর ফেবারিট কে সেটাই জানার বাকি।
ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সেমিফাইনালে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। দুটি ম্যাচই তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান মনে করেন, ফাইনালে ভারতের চাপটা কম থাকবে, ‘ভারত তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফরম্যান্স হয়তো করতে পারেনি, তারা অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে এসেছে। কাজেই তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের চেয়ে ফাইনালে কম চাপে থাকবে।’ অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক বোর্ডার মনে করেন, শুধু ফাইনালের দুই দলের মধ্যেই নয়, শ্রীলঙ্কা এবারের বিশ্বকাপেরই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল।
ধোনির দলকেই এগিয়ে রাখা ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ফাইনাল যুদ্ধে নামার আগে দিয়েছেন কিছু টিপসও, ‘তাদের ম্যাচটা খেলতে হবে আবেগ সহকারে, কোনো চাপ ছাড়া। হ্যাঁ, চাপ অবশ্যই থাকবেই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলাটা উপভোগ করা।’ সেমিফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ টেন্ডুলকার সম্পর্কে কপিলের কথা, ‘শচীনের প্রমাণের কিছু নেই। আমরা ওর সম্পর্কে যা বলব, ও তার চেয়ে ১০০ গুণ বড়।’
শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখলেও ভারতীয় আরেকটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘সম্ভাবনা ৫০-৫০।’ তাঁর কথা, ‘দেশের রাষ্ট্রপতি যেখানে পরামর্শ দিয়েছেন, আমার সেখানে বলার কিছু নেই। ফাইনালে চাপ থাকবেই। ধোনি ও সাঙ্গাকারা সেটা অনুভব করবে। দুটি সেরা দল, দুটি ফেবারিট দল, দুটি এশিয়ার দল মুখোমুখি হবে। তাদের উচিত ১০০ ওভার ভালো খেলা।’
ভারত-পাকিস্তানের সেমিফাইনালের অভিজ্ঞতার আলোকে ভারতকে এগিয়ে রাখা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড বলেছেন, ‘ক্যাচগুলোই ম্যাচ জেতাবে।’
সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কদের এই ফেবারিট-তত্ত্বের আলোচনায় যোগ দিয়েছেন ভারতীয় সাবেকেরাও। ভারতের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক প্রধান নির্বাচক এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দিলীপ ভেংসরকার মনে করেন, ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচবে এবার, ‘যেভাবে তারা খেলে আসছে, ভারত অবশ্যই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেবে। ভারতের পক্ষে আমার বাজি ৬০-৪০।’
ভারতের আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচক চান্দু বোর্দে মনে করেন, স্বাগতিক সুবিধাটাই এগিয়ে রাখবে ভারতকে। সাবেক স্পিনার বাপু নাদকার্নি, সাবেক টেস্ট অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টরদের ভোটও পাচ্ছেন ধোনির দল।
No comments