সৌহার্দ্যের বড় ম্যাচ
কমলাপুর স্টেডিয়ামে দুটি ড্রেসিংরুমই একেবারে গায়ে গায়ে। এক ড্রেসিংরুমের কথা অন্য ড্রেসিংরুম থেকে শোনা যায়। এমনিতে বড় দল হারলে বা ড্র করলে থমথমে থাকে এর পরিবেশ। কিন্তু কাল বড় দুই দল গোলশূন্য ড্র করলেও পরিবেশটা তেমন ছিল না। সৌহার্দ্যপূর্ণ একটা পরিবেশই দেখা গেল ম্যাচের পর।
আবাহনীর ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন রজনীর অনুপস্থিতিতেমুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক বুকোলা। আকাশি-নীলের ঘানাইয়ান খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই নাইজেরিয়ান। আবাহনীর খেলোয়াড়েরাও প্রতিপক্ষকে শুভেচ্ছা জানালেন। জিততে না পারার কোনো হতাশা ছিল না!
আকাশি-নীলের ড্রেসিংরুমে তখন কোলাহল। খেলোয়াড়েরা ক্লাবে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একটা স্বস্তির আবহ। বাংলাদেশ লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নরা ড্র করে অখুশি নয়! সমর্থক গোষ্ঠীর দুই কর্মকর্তা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সেটাই বললেন, ‘ইব্রাহিমকে নামানোর পর তাও একটু আক্রমণ করতে পেরেছে দল। জেতার মতো খেলতেই পারল না। এক পয়েন্ট তাই কম নয়।’
ওই কর্মকর্তাদের একজন আবার বাহবা নিলেন। আবাহনীর হয়ে টানা চারটি ম্যাচে সফলভাবে গোলপোস্ট আগলানো তরুণ শহিদুল আলমকে (সোহেল) তিন বছর ক্লাবে রেখে তৈরি করার কৃতিত্ব দাবি করলেন তাঁরাও।
মুক্তিযোদ্ধার ড্রেসিংরুমের সামনে এক খেলোয়াড়কে পাওয়া গেল ফুরফুরে মেজাজে। বললেন, ‘এই ম্যাচ জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আবাহনীকে হারাতে পারিনি ঠিক আছে, আমরাও তো হারিনি।’
তবে ম্যাচের পর আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাসের (রুপু) কথায় ছিল অন্য ঝাঁজ, ‘আমরা জেতার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা দেখে মনে হলো না জেতার ইচ্ছা কারও আছে!’ পরোক্ষে নিজ দলের খেলোয়াড়দের ওপর বিরক্তিও প্রকাশ করলেন সত্যজিৎ, ওরা মাঠে নেমে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলেছে। এটা কোনো খেলা হলো!’
প্লে-মেকার ইব্রাহিম পুরো ফিট না থাকায় একাদশে ছিলেন না। ৬৬ মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে নামার পর মুক্তিযোদ্ধার গোলমুখ খোলার একটু চেষ্টা দেখা গেল আবাহনীর খেলায়। ইব্রাহিম দারুণ একটা ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন, যেটি অবশ্য ফিস্ট করে বাঁচিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক বিপ্লব। এ ছাড়া আবাহনীর খেলায় কিছুই নেই।
অন্যদিকে ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে তুলনামূলক ভালো খেলেছে মুক্তিযোদ্ধা। গোল পায়নি লক্ষ্যভেদে ব্যর্থতায়। শেষ দিকে অবশ্য গোল আসতে পারত। রনির শট ক্রসবারে লাগলে ড্র নিয়েই খুশি থাকতে হলো মুক্তিযোদ্ধাকে।
পয়েন্ট টেবিলে দুই দলই আছে সেরা দুইয়ে। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মুক্তিযোদ্ধা। আবাহনীর পয়েন্ট ১৪। এই ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা জিতলে ব্যবধানটা হতে পারত ৫ পয়েন্ট। সেটি না হওয়ায় এই ড্র ম্যাচে জিতল আসলে আবাহনীই!
আবাহনী: সোহেল, সামাদ, সিরাজী, আমিনু, লিংকন, প্রাণতোষ, উজ্জ্বল (চৌমিন), মামুন মিয়া, আমিনু, আবুল (ইব্রাহিম), ফ্রাঙ্ক, রনি।
মুক্তিযোদ্ধা: বিপ্লব, সৈকত, ড্যামি, লুনিয়ানো, আরমান আজিজ, মারুফ, ইয়ামিন মুন্না, জাহেদ পারভেজ (আলমগীর রানা), জেমস, বুকোলা, মিঠুন (রাজন
আবাহনীর ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন রজনীর অনুপস্থিতিতেমুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক বুকোলা। আকাশি-নীলের ঘানাইয়ান খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই নাইজেরিয়ান। আবাহনীর খেলোয়াড়েরাও প্রতিপক্ষকে শুভেচ্ছা জানালেন। জিততে না পারার কোনো হতাশা ছিল না!
আকাশি-নীলের ড্রেসিংরুমে তখন কোলাহল। খেলোয়াড়েরা ক্লাবে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একটা স্বস্তির আবহ। বাংলাদেশ লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নরা ড্র করে অখুশি নয়! সমর্থক গোষ্ঠীর দুই কর্মকর্তা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সেটাই বললেন, ‘ইব্রাহিমকে নামানোর পর তাও একটু আক্রমণ করতে পেরেছে দল। জেতার মতো খেলতেই পারল না। এক পয়েন্ট তাই কম নয়।’
ওই কর্মকর্তাদের একজন আবার বাহবা নিলেন। আবাহনীর হয়ে টানা চারটি ম্যাচে সফলভাবে গোলপোস্ট আগলানো তরুণ শহিদুল আলমকে (সোহেল) তিন বছর ক্লাবে রেখে তৈরি করার কৃতিত্ব দাবি করলেন তাঁরাও।
মুক্তিযোদ্ধার ড্রেসিংরুমের সামনে এক খেলোয়াড়কে পাওয়া গেল ফুরফুরে মেজাজে। বললেন, ‘এই ম্যাচ জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আবাহনীকে হারাতে পারিনি ঠিক আছে, আমরাও তো হারিনি।’
তবে ম্যাচের পর আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাসের (রুপু) কথায় ছিল অন্য ঝাঁজ, ‘আমরা জেতার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা দেখে মনে হলো না জেতার ইচ্ছা কারও আছে!’ পরোক্ষে নিজ দলের খেলোয়াড়দের ওপর বিরক্তিও প্রকাশ করলেন সত্যজিৎ, ওরা মাঠে নেমে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলেছে। এটা কোনো খেলা হলো!’
প্লে-মেকার ইব্রাহিম পুরো ফিট না থাকায় একাদশে ছিলেন না। ৬৬ মিনিটে তিনি বদলি হিসেবে নামার পর মুক্তিযোদ্ধার গোলমুখ খোলার একটু চেষ্টা দেখা গেল আবাহনীর খেলায়। ইব্রাহিম দারুণ একটা ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন, যেটি অবশ্য ফিস্ট করে বাঁচিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক বিপ্লব। এ ছাড়া আবাহনীর খেলায় কিছুই নেই।
অন্যদিকে ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে তুলনামূলক ভালো খেলেছে মুক্তিযোদ্ধা। গোল পায়নি লক্ষ্যভেদে ব্যর্থতায়। শেষ দিকে অবশ্য গোল আসতে পারত। রনির শট ক্রসবারে লাগলে ড্র নিয়েই খুশি থাকতে হলো মুক্তিযোদ্ধাকে।
পয়েন্ট টেবিলে দুই দলই আছে সেরা দুইয়ে। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মুক্তিযোদ্ধা। আবাহনীর পয়েন্ট ১৪। এই ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা জিতলে ব্যবধানটা হতে পারত ৫ পয়েন্ট। সেটি না হওয়ায় এই ড্র ম্যাচে জিতল আসলে আবাহনীই!
আবাহনী: সোহেল, সামাদ, সিরাজী, আমিনু, লিংকন, প্রাণতোষ, উজ্জ্বল (চৌমিন), মামুন মিয়া, আমিনু, আবুল (ইব্রাহিম), ফ্রাঙ্ক, রনি।
মুক্তিযোদ্ধা: বিপ্লব, সৈকত, ড্যামি, লুনিয়ানো, আরমান আজিজ, মারুফ, ইয়ামিন মুন্না, জাহেদ পারভেজ (আলমগীর রানা), জেমস, বুকোলা, মিঠুন (রাজন
No comments