দাঙ্গার সময় মোদির পদক্ষেপ ছিল দলীয়: তদন্ত কমিটি
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি এই অভিমত দিয়ে মোদির কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠিত ওই কমিটি তাঁদের প্রতিবেদনে বলেছে, সহিংসতার ঘটনাকে ততটা গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রাণ দিতে হয়েছিল দুই হাজারের বেশি মানুষকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, সংঘাত মোকাবিলায় তিনি পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি ও তেহেলকা সাময়িকী জানিয়েছে, তাঁরা ছয় শ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের কপি পেয়েছে।
ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে গুজরাটের দাঙ্গার মতো ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আর হয়নি। একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ হিন্দু প্রাণ হারালে দাঙ্গা বেধে যায়। প্রধানত বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা তিন দিন ধরে প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় ও অনেককে হত্যা করে। ট্রেনে ওই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা মোদির নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকে এ অভিযোগও করেন, মোদি পেছন থেকে উগ্র হিন্দুদের উসকে দিয়েছিলেন। তবে মোদি বা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছাড়া বড় ধরনের কোনো প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি, যার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যার ঘটনায় মোদি পরোক্ষভাবে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার পর মোদি আগুন লাগানো ট্রেনটি দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যেখানে মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে, সেই আহমেদাবাদ পরিদর্শনে যাননি। এটা ‘পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ’।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠিত ওই কমিটি তাঁদের প্রতিবেদনে বলেছে, সহিংসতার ঘটনাকে ততটা গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রাণ দিতে হয়েছিল দুই হাজারের বেশি মানুষকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, সংঘাত মোকাবিলায় তিনি পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি ও তেহেলকা সাময়িকী জানিয়েছে, তাঁরা ছয় শ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের কপি পেয়েছে।
ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে গুজরাটের দাঙ্গার মতো ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আর হয়নি। একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ হিন্দু প্রাণ হারালে দাঙ্গা বেধে যায়। প্রধানত বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা তিন দিন ধরে প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় ও অনেককে হত্যা করে। ট্রেনে ওই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা মোদির নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকে এ অভিযোগও করেন, মোদি পেছন থেকে উগ্র হিন্দুদের উসকে দিয়েছিলেন। তবে মোদি বা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছাড়া বড় ধরনের কোনো প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়নি, যার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যার ঘটনায় মোদি পরোক্ষভাবে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার পর মোদি আগুন লাগানো ট্রেনটি দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যেখানে মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে, সেই আহমেদাবাদ পরিদর্শনে যাননি। এটা ‘পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ’।
No comments