ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন আছে: উইকিলিকস
উইকিলিকস বলেছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০০ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে, বিশেষ করে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি ও তুরস্কে এসব অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। এ বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে ওয়েবসাইটটি বেশ কিছু কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করেছে।
ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করে আসছে। তবে ওই সব ওয়ারহেড সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় মোতায়েন রয়েছে, তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি।
জার্মানির বার্লিন থেকে পাঠানো একটি তারবার্তায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ গর্ডন ও জার্মানির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ক্রিস্টোফ হিউসগেনের কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। উইকিলিকস বলেছে, চারটি দেশে মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গত বছর তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
উইকিলিকস আরও বলেছে, ওই কথোপকথনে হিউসগেন বলেছেন, তাঁর মতে জার্মানিতে রাশিয়ার ‘হাজার হাজার’ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে মোতায়েন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘২০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র’ একতরফাভাবে সরিয়ে আনা ঠিক হবে না।
ওই তারবার্তায় আরও বলা হয়, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে আনার বিষয়ে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জার্মানি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে তুরস্কে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের মজুদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে।
আরেকটি তারবার্তায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রিন্স তুর্কি আল কাবির এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ডাচ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকের বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়। সেখানেও ওই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন।
উইকিলিকস বলেছে, ওই বৈঠকে প্রিন্স তুর্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলে উপসাগরীয় দেশগুলো হয় নিজেরা তা তৈরি করতে বাধ্য হবে, নয়তো ইরানের হুমকি থেকে বাঁচতে তারা বিদেশি শক্তিকে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেবে।
ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করে আসছে। তবে ওই সব ওয়ারহেড সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় মোতায়েন রয়েছে, তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি।
জার্মানির বার্লিন থেকে পাঠানো একটি তারবার্তায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ গর্ডন ও জার্মানির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ক্রিস্টোফ হিউসগেনের কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। উইকিলিকস বলেছে, চারটি দেশে মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গত বছর তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
উইকিলিকস আরও বলেছে, ওই কথোপকথনে হিউসগেন বলেছেন, তাঁর মতে জার্মানিতে রাশিয়ার ‘হাজার হাজার’ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে মোতায়েন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘২০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র’ একতরফাভাবে সরিয়ে আনা ঠিক হবে না।
ওই তারবার্তায় আরও বলা হয়, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও জার্মানি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে আনার বিষয়ে গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জার্মানি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে তুরস্কে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের মজুদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে।
আরেকটি তারবার্তায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রিন্স তুর্কি আল কাবির এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ডাচ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকের বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়। সেখানেও ওই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন।
উইকিলিকস বলেছে, ওই বৈঠকে প্রিন্স তুর্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলে উপসাগরীয় দেশগুলো হয় নিজেরা তা তৈরি করতে বাধ্য হবে, নয়তো ইরানের হুমকি থেকে বাঁচতে তারা বিদেশি শক্তিকে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেবে।
No comments