জিতেই সিরিজ শুরু করতে চায় দুই দল
প্রথম ম্যাচের দল বাংলাদেশ কালই জানিয়ে দিলেও জিম্বাবুয়ে রহস্যটা রেখে দিল আজ সকালের জন্য। তবে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ শুরুর আগের দিন একটা জায়গায় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে একই রকম থাকল। অনুশীলনের আগে লম্বা টিম মিটিং করল দুই দলই।
সেই টিম মিটিংয়ে একটা ‘কমন’ লক্ষ্য ঠিক হয়েছে—প্রথম ম্যাচটা জিতেই শুরু করতে হবে সিরিজ। বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স তো সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়েও দিয়েছেন, ‘এখানে জেতার জন্যই এসেছে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে। কিন্তু আমরা চাইব প্রথম ম্যাচেই ওদের হারিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে নিতে।’
সতর্ক পদক্ষেপে একই কথা বলতে চাইলেন জিম্বাবুয়ে কোচ অ্যালন বুচারও। প্রথম ম্যাচ জেতার প্রত্যাশা প্রকাশে তাঁর এই সতর্কতা বাংলাদেশের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাজনিত, ‘গত তিন সিরিজের মধ্যে দুটোতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর আমরা আর ম্যাচই জিততে পারিনি। প্রথম ম্যাচটা তাই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটাই সবকিছু নয়। পুরো সিরিজেই আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
যেকোনো সিরিজের আগে ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর কথাটা বাংলাদেশ দলের স্লোগানোর মতো হয়ে গেছে। জিম্বাবুয়ে কোচের মতো তাই সিরিজ জয়ের ঘোষণা এখনই দিচ্ছেন না সিডন্স বা সাকিব আল হাসান। তবে এটা বলে দেওয়ার দরকার নেই যে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়টাই বাংলাদেশের ন্যূনতম প্রত্যাশা। মূল লক্ষ্য অবশ্যই ৫-০।
সিডন্স সেই ৫-০-এর পথে প্রথম পা-টা রাখতে চান আজই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিন-সহায়ক, প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ধসে গেছে স্পিনে, এগিয়ে যাওয়ার কাজটাও তাই স্পিন-শক্তি দিয়েই করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচের ১১ জনে বিশেষজ্ঞ ঘূর্ণি বোলার আছেন তিনজন—সাকিব, রাজ্জাক ও সোহরাওয়ার্দী। ১৫ জনের দল থেকে খেলবেন না নাঈম ইসলাম, রুবেল হোসেন, নাজমুল হোসেন ও রকিবুল হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে প্রথমে রুবেল হোসেনের খেলার কথা থাকলেও কাল অনুশীলনে তাঁর পিঠের পুরোনো ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় দলে এসেছেন শফিউল ইসলাম।
স্পিন-বিষে কি শুধু বাংলাদেশের বোলিংটাই বিষাক্ত? জিম্বাবুয়ের প্রসপার উতসেয়া আর রেমন্ড প্রাইসকে ভুলে যাওয়া কীভাবে! জেমি সিডন্স সেটা মনে রেখেই মাইক্রোম্যাক্স ওডিআই কাপের অন্য একটা নাম দিয়ে দিলেন কাল, ‘ব্যাটল অব দ্য স্পিনার্স’।
স্পিনারদের লড়াইটা এই সিরিজের বিশেষণে আসতে পারে, তবে ভুলে থাকা যাচ্ছে না অন্য লড়াইগুলোকেও। ইনজুরি মুক্তির তৃপ্তি নিয়ে ফেরা মাশরাফিকে যেমন ভালো খেলার সঙ্গে ইনজুরি থেকে দূরে থাকার চ্যালেঞ্জও নিতে হচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে বাজে ফর্মকে পেছনে ফেলে আসা আশরাফুলের চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। ইনজুরি থেকে ফিরে আসা আরেক ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকেও দেখাতে হবে, দীর্ঘ বিরতি ব্যাটে মরচে ফেলেনি তাঁর।
তবে লড়াইয়ের ভেতর লড়াইয়ের ভিড়ে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় লড়াইটা সম্ভবত হোয়াইটওয়াশের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, নিদেনপক্ষে সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা তো অবশ্যই। বাংলাদেশ তাতে আশাবাদী, তবে ঝুঁকিটাও মনে করিয়ে দিলেন দলে ফেরা বাঁহাতি ওপেনার তামিম, ‘নিউজিল্যান্ডের চেয়ে কঠিন সিরিজ এটা। সবাই মনে করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা তো জিতবই। এটাই কিন্তু চাপ।’ আর মাশরাফি তো দল হিসেবে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে রাখলেন নিউজিল্যান্ডের চেয়েও, ‘নিউজিল্যান্ড দলে একমাত্র ভেট্টোরিই ছিল ভালো স্পিনার। কিন্তু জিম্বাবুয়ের উতসেয়া ও প্রাইস—দুজনই ভালো স্পিনার। দলটাও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অভিজ্ঞ, এই কন্ডিশনে খেলার অভ্যাস আছে তাদের। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এই কন্ডিশনে জিম্বাবুয়েই এগিয়ে।’
জয়ের অভ্যাস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে সতীর্থদের প্রতি তাই সদ্য অধিনায়কত্ব হারানো মাশরাফির বার্তা, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের মতো সিরিয়াস থাকতে হবে এখানেও। তা ছাড়া বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এত ভালো সুযোগ আর পাব না। বিশ্বকাপের জন্য খুব ভালো প্র্যাকটিস হবে এই সিরিজ।’
২০০৭ সালে স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলার আগেও জয়ের ধারাবাহিকতায় ছিল বাংলাদেশ। এবার দেশের মাটিতেই যখন বিশ্বকাপ সমাগত, শুভ লক্ষণের দীপ্তি ছড়াচ্ছে সাকিবের দল। নিউজিল্যান্ডের পর তাহলে জিম্বাবুয়ে কেন নয়?
সেই টিম মিটিংয়ে একটা ‘কমন’ লক্ষ্য ঠিক হয়েছে—প্রথম ম্যাচটা জিতেই শুরু করতে হবে সিরিজ। বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স তো সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়েও দিয়েছেন, ‘এখানে জেতার জন্যই এসেছে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে। কিন্তু আমরা চাইব প্রথম ম্যাচেই ওদের হারিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে নিতে।’
সতর্ক পদক্ষেপে একই কথা বলতে চাইলেন জিম্বাবুয়ে কোচ অ্যালন বুচারও। প্রথম ম্যাচ জেতার প্রত্যাশা প্রকাশে তাঁর এই সতর্কতা বাংলাদেশের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাজনিত, ‘গত তিন সিরিজের মধ্যে দুটোতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর আমরা আর ম্যাচই জিততে পারিনি। প্রথম ম্যাচটা তাই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটাই সবকিছু নয়। পুরো সিরিজেই আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
যেকোনো সিরিজের আগে ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর কথাটা বাংলাদেশ দলের স্লোগানোর মতো হয়ে গেছে। জিম্বাবুয়ে কোচের মতো তাই সিরিজ জয়ের ঘোষণা এখনই দিচ্ছেন না সিডন্স বা সাকিব আল হাসান। তবে এটা বলে দেওয়ার দরকার নেই যে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়টাই বাংলাদেশের ন্যূনতম প্রত্যাশা। মূল লক্ষ্য অবশ্যই ৫-০।
সিডন্স সেই ৫-০-এর পথে প্রথম পা-টা রাখতে চান আজই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিন-সহায়ক, প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ধসে গেছে স্পিনে, এগিয়ে যাওয়ার কাজটাও তাই স্পিন-শক্তি দিয়েই করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচের ১১ জনে বিশেষজ্ঞ ঘূর্ণি বোলার আছেন তিনজন—সাকিব, রাজ্জাক ও সোহরাওয়ার্দী। ১৫ জনের দল থেকে খেলবেন না নাঈম ইসলাম, রুবেল হোসেন, নাজমুল হোসেন ও রকিবুল হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে প্রথমে রুবেল হোসেনের খেলার কথা থাকলেও কাল অনুশীলনে তাঁর পিঠের পুরোনো ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় দলে এসেছেন শফিউল ইসলাম।
স্পিন-বিষে কি শুধু বাংলাদেশের বোলিংটাই বিষাক্ত? জিম্বাবুয়ের প্রসপার উতসেয়া আর রেমন্ড প্রাইসকে ভুলে যাওয়া কীভাবে! জেমি সিডন্স সেটা মনে রেখেই মাইক্রোম্যাক্স ওডিআই কাপের অন্য একটা নাম দিয়ে দিলেন কাল, ‘ব্যাটল অব দ্য স্পিনার্স’।
স্পিনারদের লড়াইটা এই সিরিজের বিশেষণে আসতে পারে, তবে ভুলে থাকা যাচ্ছে না অন্য লড়াইগুলোকেও। ইনজুরি মুক্তির তৃপ্তি নিয়ে ফেরা মাশরাফিকে যেমন ভালো খেলার সঙ্গে ইনজুরি থেকে দূরে থাকার চ্যালেঞ্জও নিতে হচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে বাজে ফর্মকে পেছনে ফেলে আসা আশরাফুলের চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। ইনজুরি থেকে ফিরে আসা আরেক ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকেও দেখাতে হবে, দীর্ঘ বিরতি ব্যাটে মরচে ফেলেনি তাঁর।
তবে লড়াইয়ের ভেতর লড়াইয়ের ভিড়ে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় লড়াইটা সম্ভবত হোয়াইটওয়াশের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, নিদেনপক্ষে সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা তো অবশ্যই। বাংলাদেশ তাতে আশাবাদী, তবে ঝুঁকিটাও মনে করিয়ে দিলেন দলে ফেরা বাঁহাতি ওপেনার তামিম, ‘নিউজিল্যান্ডের চেয়ে কঠিন সিরিজ এটা। সবাই মনে করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা তো জিতবই। এটাই কিন্তু চাপ।’ আর মাশরাফি তো দল হিসেবে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে রাখলেন নিউজিল্যান্ডের চেয়েও, ‘নিউজিল্যান্ড দলে একমাত্র ভেট্টোরিই ছিল ভালো স্পিনার। কিন্তু জিম্বাবুয়ের উতসেয়া ও প্রাইস—দুজনই ভালো স্পিনার। দলটাও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অভিজ্ঞ, এই কন্ডিশনে খেলার অভ্যাস আছে তাদের। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এই কন্ডিশনে জিম্বাবুয়েই এগিয়ে।’
জয়ের অভ্যাস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে সতীর্থদের প্রতি তাই সদ্য অধিনায়কত্ব হারানো মাশরাফির বার্তা, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের মতো সিরিয়াস থাকতে হবে এখানেও। তা ছাড়া বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এত ভালো সুযোগ আর পাব না। বিশ্বকাপের জন্য খুব ভালো প্র্যাকটিস হবে এই সিরিজ।’
২০০৭ সালে স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলার আগেও জয়ের ধারাবাহিকতায় ছিল বাংলাদেশ। এবার দেশের মাটিতেই যখন বিশ্বকাপ সমাগত, শুভ লক্ষণের দীপ্তি ছড়াচ্ছে সাকিবের দল। নিউজিল্যান্ডের পর তাহলে জিম্বাবুয়ে কেন নয়?
No comments