আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব' by ড. রাহমান নাসিরউদ্দিন
শান্তিতে জীবন যাপন করার অধিকার সবার সমান। বাঙালিদের একটু বেশি, আর আদিবাসীদের, বিশেষ করে পাহাড়িদের একটু কম_এ ধরনের চিন্তা সুস্থ ও সভ্য সমাজ ভাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই চুক্তি করে শান্তি আনা যায় কি না_সেই বিতর্কের বাইরে গিয়েও এ কথা বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনে (যৎকিঞ্চিৎই হোক!) শান্তি আনয়নে ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত 'পার্বত্য শান্তিচুক্তি'র একটি গুরুত্ব রয়েছে; এ কথা অনস্বীকার্য। এ গুরুত্বের কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যা এবং সংকটের পেছনে এ শান্তিচুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়াকে বহুলাংশে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ, বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন, আদিবাসী অধিকার আদায়ে সোচ্চার লেখক, সাংবাদিক, পাহাড়ি-বাঙালি গবেষক ও সংবেদনশীল রাজনীতিক শান্তিচুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নে চুক্তিপরবর্তী ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে অনেক নিষ্ফল আহাজারি করেছেন বিগত বছরগুলোয়। ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর 'পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি' বাস্তবায়নের একটি উদ্যোগ হিসেবে একটি ব্রিগেড, তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং ৩৫টি ক্যাম্প প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা বা দেখানো হয়েছে। এ খবরটি বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোয় অভিন্ন শিরোনাম হয়ে উঠার দৃশ্যমান প্রবণতার মধ্য দিয়েও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। গুরুত্ব বিবেচনায় এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার স্মারক হিসেবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। কিন্তু নিরঙ্কুশ ধন্যবাদ দেওয়ার আগে সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে 'শান্তি'র সম্পর্ক কী_সেটা উপলব্ধির প্রয়োজন আছে; বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের এথনো-ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নৃতাত্তি্বক প্রেক্ষাপটে 'সেনা প্রত্যাহার করা বা না করা'র সঙ্গে 'শান্তি বা অশান্তির' মনস্তত্ত্ব উপলব্ধিটা জরুরি। এ সেনা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে পাশাপাশি আরো একটি সংবাদ সমস্বরে উচ্চারিত হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির বিষয়টি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ, বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন, আদিবাসী অধিকার আদায়ে সোচ্চার লেখক, সাংবাদিক, পাহাড়ি-বাঙালি গবেষক ও সংবেদনশীল রাজনীতিক শান্তিচুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নে চুক্তিপরবর্তী ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে অনেক নিষ্ফল আহাজারি করেছেন বিগত বছরগুলোয়। ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর 'পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি' বাস্তবায়নের একটি উদ্যোগ হিসেবে একটি ব্রিগেড, তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং ৩৫টি ক্যাম্প প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা বা দেখানো হয়েছে। এ খবরটি বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোয় অভিন্ন শিরোনাম হয়ে উঠার দৃশ্যমান প্রবণতার মধ্য দিয়েও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। গুরুত্ব বিবেচনায় এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার স্মারক হিসেবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। কিন্তু নিরঙ্কুশ ধন্যবাদ দেওয়ার আগে সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে 'শান্তি'র সম্পর্ক কী_সেটা উপলব্ধির প্রয়োজন আছে; বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের এথনো-ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নৃতাত্তি্বক প্রেক্ষাপটে 'সেনা প্রত্যাহার করা বা না করা'র সঙ্গে 'শান্তি বা অশান্তির' মনস্তত্ত্ব উপলব্ধিটা জরুরি। এ সেনা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে পাশাপাশি আরো একটি সংবাদ সমস্বরে উচ্চারিত হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির বিষয়টি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত ঐতিহাসিক(!) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বিভিন্ন শর্তের মধ্যে ছিল : ১. পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি পাহাড়ি অধ্যুষিত (ঃৎরনধষ ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃবফ ৎবমরড়হ) এলাকা বলে গণ্য হবে, ২. শান্তিবাহিনীর সব সদস্যের আত্মসমর্পণ-অস্ত্রসমর্পণ সাপেক্ষে সাধারণ ক্ষমা করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দেওয়া হবে, ৩. মিয়ানমার এবং ভারতে অবস্থানকারী শরণার্থীদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তাদের নিজেদের আবাসভূমি হিসাবমতো ফেরত দেওয়া হবে, ৪. অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদেরও তাদের স্ব স্ব ভূমি ফিরিয়ে দিয়ে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসিত করা হবে, ৫. প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকালে অভিবাসিত (সরমৎধঃবফ) বাঙালি স্যাট্লারদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যত্র পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করা হবে (যদিও শান্তিচুক্তিতে এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই), ৬. পার্বত্যাঞ্চল থেকে পর্যায়ক্রমে সব অস্থায়ী মিলিটারি ক্যাম্প অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে, ৭. ভূমি কমিশন গঠন করার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান ভূমি-সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করা হবে এবং ৮. পাহাড়িদের নেতৃস্থানীয় ক্ষমতা দিয়ে একটি কার্যকর পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলায় নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদ গঠন ও ক্ষমতায়ন করা হবে ইত্যাদি। এর মধ্যে সেনা প্রত্যাহার মাত্র একটি এবং তাও ১২ বছর পর একটি ব্রিগেড, তিনটি ব্যাটালিয়ন ও ৩৫টি ক্যাম্প। বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার, যারা ১৯৯৭ সালে এ চুক্তি সম্পাদনকালে রাষ্ট্রপক্ষ ছিল; এ সিদ্ধান্তকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সবচেয়ে বড় সেনা প্রত্যাহার হিসেবে দাবি করছে এবং কার্যতই ১২ বছরে এটাই বড়মাপের সৈন্য প্রত্যাহার। একাডেমিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের সেনাবাহিনীর মোট এক-তৃতীয়াংশ মোতায়েন আছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। ১৯৯৭ সালে যখন শান্তিচুক্তি হয়েছিল, হিসাব অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছাড়ি, দিঘিনালার উত্তরে এবং বান্দরবানের দক্ষিণে চারটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ছিল (পরে আরো একটি যুক্ত হয়), রুমা এবং আলীকদমে দুটি গ্যারিসন ছিল, প্রতিটি উপজেলা হেডকোয়ার্টারে সেনানির্ভর ক্যাম্প ছিল, ১৯টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, ১১টি বিডিআর ব্যাটালিয়ন, তিনটি কামান ব্যাটালিয়ন, একটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১৮টি আনসার ব্যাটালিয়ন, চারটি সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত ছিল। পাঁচটি হেডকোয়ার্টারের অধীন ২৬টি জোনে (২৩টি সেনা ও তিনটি বিডিআর) ভাগ করে ২৩০টি সেনা ক্যাম্প, শতাধিক বিডিআর ক্যাম্প, ৮০টিরও অধিক পুলিশ ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত ছিল (সূত্র : চড়ষরঃরপং ড়ভ ঘধঃরড়হধষরংস, আমেনা মহসিন, ১৯৯৭ : ১৭১-১৭২)। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামই ছিল এবং এখনো আছে, মূলত একটি মিনি ক্যান্টনমেন্ট।
সরকার ইতিমধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করছে। সংবাদপত্রগুলোও সরকারের সুরে সে দাবি সমর্থন করছে। বিশেষ করে, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের পরীক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, সংসদ সদস্য যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে চেয়ার করে প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স গঠন, আদালতি সমস্যার কারণে খাগড়াছড়িকে বাদ দিলে কা শৈ হ্লাকে পার্বত্য বান্দরবান ও নিখিল কুমার চাকমাকে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট জেলা পরিষদ গঠন, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ভূমি কমিশন গঠন প্রভৃতি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এ পদক্ষেপগুলো শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার স্বাক্ষর বহন করে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিকভাবেও বাহবা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাহবা পাওয়ার চেয়ে পাহাড়িদের জীবনে আদৌ শান্তি কতটুকু এল, সে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়াটা অধিক জরুরি বলে আমি মনে করি। পাঠক মনোযোগ দিয়ে এ সম্পর্কিত সংবাদপত্রের খবরগুলো পাঠ করলে লক্ষ করবেন, সব কমিটি এবং সব কার্যক্রমে কেবল চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও তংচঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর আধিপত্য। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম মানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা আর তংচঙ্গ্যা নয়_পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো সাতটি স্বতন্ত্র জাতি-গোষ্ঠী বসবাস করে; যেমন_ম্রো, খুমি, খেয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, চাক ও বম। এ জনগোষ্ঠীকে শান্তিপ্রক্রিয়ায় কোনোভাবে সম্পৃক্ত করা হয় না; অতীতেও হয়নি এবং এখনো হচ্ছে না। বিগত এক দশকেরও অধিক সময় ধরে এসব সংখ্যার বিচারে ক্ষুদ্র-জনগোষ্ঠীর সঙ্গে গবেষণার কাজ করছি। আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এ জাতিগোষ্ঠীর বেশির ভাগ লোক এখনো নূ্যনতম জীবনধারণ কিংবা কোনো রকমে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে, যাকে একাডেমিক ভাষায় বলা হয় সাবসিস্টেম ইকোনমি (ংঁনংুংঃবস বপড়হড়সু)। শান্তিচুক্তির কতটা বাস্তবায়ন হলো কিংবা হলো না, এরা এর মাপজোখ করে না। এর অধিকাংশ জনগোষ্ঠী পাহাড়ে শান্তি আছে নাকি নেই, এটা তাদের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করে। একজন কারবারির (পাড়াপ্রধান) কাছে ১৯৯৭ সালের আগে এবং পরে সেনাবাহিনীর একজন জওয়ান তাঁর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করেন, তার ভিত্তিতে তিনি নির্ধারণ করেন পাহাড়ে শান্তি আছে কি নেই। একজন ম্রো 'চাঁদের গাড়ি'তে চড়ার সময় গাড়ির হেলপার তাঁর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করেন, এর ভেতরে তিনি পাহাড়ে শান্তিকে সংজ্ঞায়িত করেন। একজন লুসাই স্থানীয় বাজারে একজন বাঙালি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দ্বারা কতটুকু ঠকছেন বা জিতছেন, তার ভিত্তিতে তিনি নির্ধারণ করেন শান্তিচুক্তির আগে এবং পরে পাহাড়ে তাঁর অবস্থান কতটুকু পাল্টেছে কিংবা আদৌ পাল্টেছে কি না। একজন পাংখোয়া স্থানীয় প্রশাসন তাঁর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করছে, তার ভিত্তিতে নির্ধারণ করেন আদৌ পাহাড়ে কোনো শান্তি এসেছে কি না। এ-যে সাধারণ পাহাড়িদের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা এবং এ নিত্যদিনের অভিজ্ঞতায় তাঁরা রাষ্ট্রকে কিভাবে ধারণ করেন এবং রাষ্ট্রকে কিভাবে মোকাবিলা (এনকাউন্টার) করেন, সেটা যথাযথভাবে উপলব্ধি না করা পর্যন্ত পাহাড়ে কোনো ধরনের 'শান্তি' আসবে কি না তার সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করছে সম্পাদিত শান্তিচুক্তি নির্বাচনী-প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের রাজনীতি হিসেবে নয়; বরং অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি একসঙ্গে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে বসবাস করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ির মনস্তাত্তি্বক প্রস্তুতি, পার্বত্যাঞ্চলের সিভিল ও মিলিটারি প্রশাসনের আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রের স্বজনপ্রীতিহীন অভিভাকত্বের ওপর। সর্বোপরি এটা মনে রাখা জরুরি, জাতিগতভাবে ভিন্ন, জাতীয়তার রাজনীতিতে দ্বান্দ্বিক এবং পরস্পরবিরোধী একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহনকারী দুটি (মোটাদাগে পাহাড়ি ও বাঙালি) ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাসকারী অঞ্চলে 'চুক্তি' করে কিংবা এর বাস্তবায়ন করে পরিপূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বিষয়টা যতটা না রাজনৈতিক, ততটা মনস্তাত্তি্বক, দার্শনিক ও আদর্শিক। কেননা শান্তি কেবল চুক্তির ব্যাপার নয়, অন্তরে অন্তর্ভুক্তিরও ব্যাপার।
==========================
সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত' আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক' আন্তর্জাতিক- 'তরুণদের ভবিষ্যৎ মানে দেশের ভবিষ্যৎ' রাজনৈতিক আলোচনা- 'খালেদা জিয়ার লিখিত অনাস্থা, আপিল বিভাগের নীরবতা' রাজনৈতিক আলোচনা- 'কেউ কথা রাখেনি এবং গণতন্ত্রের বিকট চেহারা' বক্তব্য- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে খায়রুল হককে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য শিল্প-অর্থনীতি 'করমুক্ত থাকার নানা চেষ্টা নোবেল বিজয়ীর অনাস্থা নয়, খালেদার আশঙ্কা ছিল ন্যায়বিচার না পাওয়ার খেলা- 'বাংলাদেশ তো আসলে জিততেই চায়নি!' আলোচনা- 'ড. ইউনূসের কেলেঙ্কারি!' খেলা- 'বাংলাদেশকে মাটিতে নামাল জিম্বাবুয়ে' 'ধরিত্রীকে বাঁচাতে কানকুনে সফল হতেই হবে' স্মরণ- 'চিত্রা ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আওয়ামী লীগে মিলন ও বিচ্ছেদের নাটক' খবর- উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের প্রত্যাশা আলোচনা- 'পায়ে পড়ি বাঘ মামা, বেঁচে থাকো'
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. রাহমান নাসিরউদ্দিন
এই সাক্ষাৎকার'টি পড়া হয়েছে...
সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত' আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক' আন্তর্জাতিক- 'তরুণদের ভবিষ্যৎ মানে দেশের ভবিষ্যৎ' রাজনৈতিক আলোচনা- 'খালেদা জিয়ার লিখিত অনাস্থা, আপিল বিভাগের নীরবতা' রাজনৈতিক আলোচনা- 'কেউ কথা রাখেনি এবং গণতন্ত্রের বিকট চেহারা' বক্তব্য- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে খায়রুল হককে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য শিল্প-অর্থনীতি 'করমুক্ত থাকার নানা চেষ্টা নোবেল বিজয়ীর অনাস্থা নয়, খালেদার আশঙ্কা ছিল ন্যায়বিচার না পাওয়ার খেলা- 'বাংলাদেশ তো আসলে জিততেই চায়নি!' আলোচনা- 'ড. ইউনূসের কেলেঙ্কারি!' খেলা- 'বাংলাদেশকে মাটিতে নামাল জিম্বাবুয়ে' 'ধরিত্রীকে বাঁচাতে কানকুনে সফল হতেই হবে' স্মরণ- 'চিত্রা ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আওয়ামী লীগে মিলন ও বিচ্ছেদের নাটক' খবর- উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের প্রত্যাশা আলোচনা- 'পায়ে পড়ি বাঘ মামা, বেঁচে থাকো'
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. রাহমান নাসিরউদ্দিন
এই সাক্ষাৎকার'টি পড়া হয়েছে...
No comments