বিশ্ববাজারে চিনির দাম ৯ মাসে সর্বনিম্ন
বিশ্ববাজারে
অপরিশোধিত চিনির দামে নিন্মমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহের সর্বশেষ
লেনদেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কমে নয় মাসের বেশি সময়ের মধ্যে
সর্বনিন্ম অবস্থানে পৌঁছায়। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী মৌসুমে
বিশ্ববাজারে বেশি উদ্বৃত্ত থাকার আশংকা থেকে পণ্যটির দামে নিন্মমুখী
প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দরপতনের জন্য বাজারের কৌশলগত পরিবর্তনকেও দায়ী করছেন
তারা। খবর রয়টার্স। লন্ডনে গত শুক্রবার ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমে প্রতি পাউন্ড
অপরিশোধিত চিনি বিক্রি হয়েছে ১৭ দশমিক ৫০ সেন্টে, স্থানীয় মুদ্রায় যা ১৪
টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে)। সে হিসেবে প্রতি কেজি ৩১ টাকা হয়।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের জুনের শুরুর দিক থেকে এ পর্যন্ত এটিই
সর্বনিন্ম দর। অপরিশোধিত চিনির দামের নিন্মমুখী ধারা প্রসঙ্গে বাজার
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে ২০১৭-১৮ মৌসুমে বিপুল পরিমাণ চিনি
উদ্বৃত্ত হিসেবে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে
আখের ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে। সম্প্রতি
দেশটি চিনি উৎপাদনের দিকেও বেশি জোর দিয়েছে।
এ কারণে আগামী মৌসুমে উদ্বৃত্ত
সমস্যায় ভুগতে পারে পণ্যটির বিশ্ববাজার। ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ খবরটি ছড়িয়ে
পড়ার পর থেকেই কমতে শুরু করেছে অপরিশোধিত চিনির দর। চীনে চিনি আমদানির
বিষয়ে তদন্ত আরও এক মাস চলবে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
পণ্যটির শীর্ষ ভোক্তা দেশ কর্তৃক এ আমদানি বিলম্বের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে
আমদানিকারকদের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের মতোই হবে মনে করছেন
বাজারসংশ্লিস্টরা- যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। ভোগ্যপণ্য বিপণন
সম্পর্কিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এগ্রিলায়নের বাজার বিশ্লেষক জেমস
লিদ্দিয়ার্ড বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনির দরপতনের জন্য জোরালো কোনো
কারণ ছিল না। তারপরও দাম কমেছে। দরপতনের জন্য তিনি বাজারের কৌশলগত
পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন। অপরিশোধিত চিনির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিন্মমুখী হয়েছে
পরিশোধিত চিনির বাজারও। শুক্রবার টনে ১১ ডলার ৩০ সেন্ট বা স্থানীয় মুদ্রায়
৯০৪ টাকা দাম কমেছে পণ্যটির। মে মাসে সরবরাহ চুক্তি অনুযায়ী ২ দশমিক ২
শতাংশ কমে প্রতি টন পরিশোধিত চিনি বিক্রি হয়েছে ৪৯৯ ডলারে বা স্থানীয়
মুদ্রায় ৩৯ হাজার ৯২০ টাকা।
No comments