গ্যাস সঙ্কটে শিল্পে অচলাবস্থা by জিয়াউল হক মিজান
দেশে
বর্তমানে গ্যাস সংযোগ আছে পাঁচ হাজার ৯৭৩টি শিল্পকারখানায়। এসব কারখানায়
উৎপাদনের প্রধান উপাদান গ্যাস হলেও নিরবচ্ছিন্ন ও প্রয়োজনীয় চাপসহ গ্যাস
পাচ্ছে না কোনো প্রতিষ্ঠানই। গ্যাসের জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর অপেক্ষার
প্রহর গুনছেন আরো দুই হাজার ২২৩ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা। সব
প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও তারা জানেন না কবে গ্যাস সংযোগ পাবেন, কবে উৎপাদনে
যেতে পারবেন। ফলে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে পুরো
শিল্পোৎপাদনে। ভণ্ডুল হতে বসেছে দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সরকারি পরিকল্পনা।
পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রতিদিন উৎপন্ন হচ্ছে দুই হাজার ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে দুই হাজার ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ হিসাবে প্রতিদিন ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। মূলত এ বিশাল ঘাটতির কারণেই কারখানাগুলোয় নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের একটা বড় অংশ গ্যাস থাকছে না। আর যখন থাকছে, তখনো উপযুক্ত চাপ না থাকায়, তা কাজে লাগছে না। দিনের মধ্যে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা গ্যাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে অধিক ব্যয়ে ফার্নেস অয়েলের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। ফলস্বরূপ বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যয়, কমছে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার ক্ষমতা।
জানা যায়, তীব্র গ্যাস সঙ্কট সামাল দিতে সরকার ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে নতুন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগ এবং লোড বৃদ্ধি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পে সংযোগ দিতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩ সালে প্রায় ২০০ শিল্পে গ্যাস সংযোগ দেয় এ কমিটি। যদিও তার আগের তিন বছরে দেয়া হয় মাত্র ৪৫টি সংযোগ। এরপর আবার প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকে নতুন গ্যাস সংযোগ। পরে ২০১৫ সালে এসে শর্তসাপেে আরো সাড়ে ৩০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে গ্যাস সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা ছিল খুবই অপ্রতুল।
বিভিন্ন পর্যায়ের শিল্পোদ্যোক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের আগস্টে শিল্প খাতে আবার গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু করে সরকার। এতে নতুন উদ্যম পান উদ্যোক্তারা। বাড়তে থাকে গ্যাস সংযোগ চেয়ে আবেদন। কিন্তু আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি দুই হাজারের বেশি উদ্যোক্তা। ফলে শিল্প স্থাপন করেও উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না অনেকে। উল্টো প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে অন্যান্য খরচ। এতে নষ্ট হচ্ছে তাদের মূলধনি যন্ত্রপাতি। বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদ। আবার গ্যাসের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আগ্রহ থাকলেও নতুন শিল্প স্থাপনের সাহস করছেন না অনেকে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গ্যাসের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না ২৩৩টি পোশাক কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের প্রয়োজন প্রায় ১৪ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। আর বস্ত্র খাতের সংগঠন বিটিএমএ’র তথ্যানুযায়ী, গ্যাসের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না এ খাতের ২৭টি প্রতিষ্ঠান। শিল্পায়ন ও গ্যাস বিতরণের ক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চলকে বরাবরই গুরুত্ব দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও গ্যাস সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পায়ন প্রক্রিয়াও। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) গত বছর নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বিপত্তিতে পড়েছে নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সংযোগের জন্য ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন ঝুলে আছে এখানে। সংযোগ না মেলায় উৎপাদনে যেতে পারছে না তারা।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এর বাইরে ১৬ শতাংশ ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এ ছাড়া শিল্পে ১৭, আবাসিকে ১১, সার কারখানায় সাত ও সিএনজি উৎপাদনে ব্যবহার হয় ছয় শতাংশ। সূত্রমতে, আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি দুই হাজার ২২৩ জন শিল্পোদ্যোক্তা। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৮৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অনিষ্পন্ন আবেদন পড়ে আছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে। এ বিতরণ সংস্থার কাছে আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি এক হাজার ৮১০ জন উদ্যোক্তা। আর এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৬৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
গ্যাস সঙ্কট বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রফতানিকারকদের ৪২টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়া প্রতিষ্ঠান এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী নয়া দিগন্তকে বলেন, গ্যাস সঙ্কট আমাদের দীর্ঘ দিনের। সহস্রাধিক শিল্পোদ্যোক্তা আবেদন করে বসে আছেন নতুন লাইনের জন্য। আর যাদের লাইন আছে, তারাও প্রয়োজনীয় চাপের অভাবে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারছেন না। এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না হলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং রফতানি বাণিজ্যে দেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমাদের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। আমাদের আশ্বস্তও করা হয়েছে। কিন্তু সংযোগ পেয়ে উৎপাদন শুরু করতে পারলেই উদ্যোক্তারা স্বস্তি বোধ করবেন। এর আগ পর্যন্ত ও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
তবে বরাবরের মতোই গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে ভুল করেননি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বলেন, শিল্পে গ্যাস দেয়ার সদিচ্ছা সরকারের রয়েছে। কোথাও কোথাও দেয়া হচ্ছে। তবে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। তাই সচেতন অবস্থান থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত না হলেও গ্যাস দেয়ার েেত্র কো-জেনারেশন, বিকল্প জ্বালানির মতো শর্তজুড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি জানান, নতুন সংযোগ দিতে যেসব শর্ত ছিল তার মধ্যে রয়েছেÑ নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির আবেদনকারী কোনো গ্রাহক বর্তমানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারী হলে অথবা গ্যাস বিল বকেয়া থাকলে তার অনুকূলে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না।
পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রতিদিন উৎপন্ন হচ্ছে দুই হাজার ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে দুই হাজার ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ হিসাবে প্রতিদিন ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। মূলত এ বিশাল ঘাটতির কারণেই কারখানাগুলোয় নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের একটা বড় অংশ গ্যাস থাকছে না। আর যখন থাকছে, তখনো উপযুক্ত চাপ না থাকায়, তা কাজে লাগছে না। দিনের মধ্যে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা গ্যাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে অধিক ব্যয়ে ফার্নেস অয়েলের ব্যবহার বাড়াচ্ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। ফলস্বরূপ বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যয়, কমছে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার ক্ষমতা।
জানা যায়, তীব্র গ্যাস সঙ্কট সামাল দিতে সরকার ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে নতুন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগ এবং লোড বৃদ্ধি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পে সংযোগ দিতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩ সালে প্রায় ২০০ শিল্পে গ্যাস সংযোগ দেয় এ কমিটি। যদিও তার আগের তিন বছরে দেয়া হয় মাত্র ৪৫টি সংযোগ। এরপর আবার প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকে নতুন গ্যাস সংযোগ। পরে ২০১৫ সালে এসে শর্তসাপেে আরো সাড়ে ৩০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে গ্যাস সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা ছিল খুবই অপ্রতুল।
বিভিন্ন পর্যায়ের শিল্পোদ্যোক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের আগস্টে শিল্প খাতে আবার গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু করে সরকার। এতে নতুন উদ্যম পান উদ্যোক্তারা। বাড়তে থাকে গ্যাস সংযোগ চেয়ে আবেদন। কিন্তু আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি দুই হাজারের বেশি উদ্যোক্তা। ফলে শিল্প স্থাপন করেও উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না অনেকে। উল্টো প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে অন্যান্য খরচ। এতে নষ্ট হচ্ছে তাদের মূলধনি যন্ত্রপাতি। বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদ। আবার গ্যাসের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আগ্রহ থাকলেও নতুন শিল্প স্থাপনের সাহস করছেন না অনেকে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গ্যাসের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না ২৩৩টি পোশাক কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের প্রয়োজন প্রায় ১৪ কোটি ২৭ লাখ ঘনফুট। আর বস্ত্র খাতের সংগঠন বিটিএমএ’র তথ্যানুযায়ী, গ্যাসের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারছে না এ খাতের ২৭টি প্রতিষ্ঠান। শিল্পায়ন ও গ্যাস বিতরণের ক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চলকে বরাবরই গুরুত্ব দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও গ্যাস সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পায়ন প্রক্রিয়াও। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) গত বছর নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় বিপত্তিতে পড়েছে নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সংযোগের জন্য ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন ঝুলে আছে এখানে। সংযোগ না মেলায় উৎপাদনে যেতে পারছে না তারা।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এর বাইরে ১৬ শতাংশ ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এ ছাড়া শিল্পে ১৭, আবাসিকে ১১, সার কারখানায় সাত ও সিএনজি উৎপাদনে ব্যবহার হয় ছয় শতাংশ। সূত্রমতে, আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি দুই হাজার ২২৩ জন শিল্পোদ্যোক্তা। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৮৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অনিষ্পন্ন আবেদন পড়ে আছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে। এ বিতরণ সংস্থার কাছে আবেদন করেও গ্যাস সংযোগ পাননি এক হাজার ৮১০ জন উদ্যোক্তা। আর এসব প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৬৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
গ্যাস সঙ্কট বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রফতানিকারকদের ৪২টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়া প্রতিষ্ঠান এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী নয়া দিগন্তকে বলেন, গ্যাস সঙ্কট আমাদের দীর্ঘ দিনের। সহস্রাধিক শিল্পোদ্যোক্তা আবেদন করে বসে আছেন নতুন লাইনের জন্য। আর যাদের লাইন আছে, তারাও প্রয়োজনীয় চাপের অভাবে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারছেন না। এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না হলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং রফতানি বাণিজ্যে দেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমাদের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। আমাদের আশ্বস্তও করা হয়েছে। কিন্তু সংযোগ পেয়ে উৎপাদন শুরু করতে পারলেই উদ্যোক্তারা স্বস্তি বোধ করবেন। এর আগ পর্যন্ত ও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
তবে বরাবরের মতোই গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে ভুল করেননি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বলেন, শিল্পে গ্যাস দেয়ার সদিচ্ছা সরকারের রয়েছে। কোথাও কোথাও দেয়া হচ্ছে। তবে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। তাই সচেতন অবস্থান থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত না হলেও গ্যাস দেয়ার েেত্র কো-জেনারেশন, বিকল্প জ্বালানির মতো শর্তজুড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি জানান, নতুন সংযোগ দিতে যেসব শর্ত ছিল তার মধ্যে রয়েছেÑ নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির আবেদনকারী কোনো গ্রাহক বর্তমানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারী হলে অথবা গ্যাস বিল বকেয়া থাকলে তার অনুকূলে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না।
No comments