মেহেদীতে রাঙানো আশফাকের হাতঃ হাসপাতালের বিছানায় ঈদ by কমল জোহা খান
হাসপাতালের বিছানাতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভরা শিশু আশফাকের মুখ। মেহেদী রাঙানো হাত দেখিয়ে সে কথাই জানাচ্ছে চার বছরের শিশুটি। ছবি: কমল জোহা খান |
চার
বছরের শিশু আশফাকের ভাসা ভাসা দুটি চোখের দৃষ্টি এখন আর যন্ত্রণা মেশানো
নয়; বরং উচ্ছ্বাসে ভরা। আজ শনিবার ঈদের দিনটা হাসপাতালে কাটালেও আনন্দের
মাত্রা যেন বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। শুয়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি)
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের মা ও শিশু ওয়ার্ডে। কেউ কাছে গেলেই দুহাত উঁচিয়ে
ধরে। জড়ানো কণ্ঠে বলতে থাকে, ‘আমি মেন্দি (মেহেদি ) দিছি।’
অথচ কি যন্ত্রণাতেই না কেটেছে আশফাক ও তার মা পারুল বেগমের বেশ কয়েকটা দিন। গত ৩ জুন দুজনই দগ্ধ হন কারওয়ান বাজারে বাস দুর্ঘটনায়। মিরপুরের দারুস সালাম থেকে আট নম্বর রুটের একটি বাসে করে ছেলেকে নিয়ে শাহবাগ যাচ্ছিলেন পারুল। বিকেল চারটার দিকে কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনের সামনে বাসটি উল্টে যায় আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে। বাসের ইঞ্জিনের ফুটন্ত পানিতে ঝলসে যায় দুজনের শরীরের বেশির ভাগ অংশ। এর পর থেকেই দুজনের চিকিৎসা চলছে ডিএমসি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পাঁচতলায়, শিশু বিভাগে। আশফাকের পেট ও ডান পা এবং পারুলের বুকের ডান পাশ, ডান পা একেবারে পুড়ে গেছে।
আহত আশফাক ও পারুলের চিকিৎসার জন্য ছিল না অর্থ আর দেখাশোনার জন্য স্বজন - কোনোটাই। বার্ন ইউনিটে গেলেই আশফাক ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত সবার দিকে। কথা বলতে চাইলেই কান্না জুড়ে দিত। ১৭ কেজি শিশুটির ওজন কমে হয়েছে সাত কেজি। এ বিষয়ে প্রথম আলো অনলাইনে ২২ জুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। জোগাড় হয় অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত।
আশফাকের মা পারুল বেগম (৩৭) প্রথম আলোকে বলেন,‘আপনেরা রিপোর্ট করনের পর ৪০ হাজার টাকা সাহায্য পাইছি। খাবার পাইছি ২০ হাজার টাকার মতো। এই টাকাতেই ১৪ জুলাই আশফাকের অপারেশন হইছে। আমার হইব আর কদিন পর।’
পারুল বেগমের তথ্য অনুযায়ী, আশফাকের অস্ত্রোপচারের সময় চাহিদার চাইতে অনেক বেশি রক্ত পাওয়া গেছে।
পারুল বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো খোঁজ লয় না। এখন আর আগের মতো বাসা-বাড়িতে কাম করতে পারুম না। আমারে একটা চাকরি দিলে চলতে পারমু। কারও কাছে হাত পাতন লাগব না। তয় আপনাগো লাইগাই অহন বাইচ্চা আছি।’
বার্ন ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘যেভাবে চিকিৎসা চলছে তাতে করে আশা করছি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ওরা। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন।'
অথচ কি যন্ত্রণাতেই না কেটেছে আশফাক ও তার মা পারুল বেগমের বেশ কয়েকটা দিন। গত ৩ জুন দুজনই দগ্ধ হন কারওয়ান বাজারে বাস দুর্ঘটনায়। মিরপুরের দারুস সালাম থেকে আট নম্বর রুটের একটি বাসে করে ছেলেকে নিয়ে শাহবাগ যাচ্ছিলেন পারুল। বিকেল চারটার দিকে কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনের সামনে বাসটি উল্টে যায় আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে। বাসের ইঞ্জিনের ফুটন্ত পানিতে ঝলসে যায় দুজনের শরীরের বেশির ভাগ অংশ। এর পর থেকেই দুজনের চিকিৎসা চলছে ডিএমসি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পাঁচতলায়, শিশু বিভাগে। আশফাকের পেট ও ডান পা এবং পারুলের বুকের ডান পাশ, ডান পা একেবারে পুড়ে গেছে।
আহত আশফাক ও পারুলের চিকিৎসার জন্য ছিল না অর্থ আর দেখাশোনার জন্য স্বজন - কোনোটাই। বার্ন ইউনিটে গেলেই আশফাক ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত সবার দিকে। কথা বলতে চাইলেই কান্না জুড়ে দিত। ১৭ কেজি শিশুটির ওজন কমে হয়েছে সাত কেজি। এ বিষয়ে প্রথম আলো অনলাইনে ২২ জুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। জোগাড় হয় অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত।
আশফাকের মা পারুল বেগম (৩৭) প্রথম আলোকে বলেন,‘আপনেরা রিপোর্ট করনের পর ৪০ হাজার টাকা সাহায্য পাইছি। খাবার পাইছি ২০ হাজার টাকার মতো। এই টাকাতেই ১৪ জুলাই আশফাকের অপারেশন হইছে। আমার হইব আর কদিন পর।’
পারুল বেগমের তথ্য অনুযায়ী, আশফাকের অস্ত্রোপচারের সময় চাহিদার চাইতে অনেক বেশি রক্ত পাওয়া গেছে।
পারুল বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো খোঁজ লয় না। এখন আর আগের মতো বাসা-বাড়িতে কাম করতে পারুম না। আমারে একটা চাকরি দিলে চলতে পারমু। কারও কাছে হাত পাতন লাগব না। তয় আপনাগো লাইগাই অহন বাইচ্চা আছি।’
বার্ন ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘যেভাবে চিকিৎসা চলছে তাতে করে আশা করছি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ওরা। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন।'
No comments