সবচেয়ে বড় জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া by সুমন মোল্লা
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতির কাজ ঘুরে দেখছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ। ছবি: সুমন মোল্লা |
কিশোরগঞ্জের
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের দেশের
সবচেয়ে বড় জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামাতে শরিক হতে জেলা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সচিব, মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট
রাজনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, দেশের বড় জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সূত্রে জানা গেছে, শোলাকিয়া ঈদগাহে এবার ১৮৮ তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন।
পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ার ৬ দশমিক ৬১ একর আয়তনের ঈদগাহের মূল মাঠে নামাজে ২৬৫টি কাতার থাকবে। প্রতিটি কাতারে ৬৫০ থেকে ৭০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন। মূল মাঠের চারপাশে আরও অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ধাতব বস্তু শনাক্তকরণ যন্ত্র (মেটাল ডিটেক্টর) দিয়ে তল্লাশি করে মুসল্লিদের মাঠে ঢোকানো হবে।
শোলাকিয়ায় যেতে বিশেষ ট্রেন: মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করছে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ছয়টায় ছেড়ে যাবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন বাস কোম্পানি বিশেষ সার্ভিস চালু করছে।পেছনের ইতিহাস: শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের যাত্রা শুরু ১৮২৮ সাল থেকে। স্থানীয় সাহেববাড়ির সৈয়দ আহম্মদ (র.) তাঁর নিজ সম্পত্তিতে প্রথমবারের মতো ঈদ জামাতের আয়োজন করেন। সেবার তিনি নিজেই ইমামতি করে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মাঠের প্রসার ও পরিচিতি ঘটান ঈশা খাঁর বংশধর স্থানীয় হয়বতনগর দেওয়ান পরিবারের সদস্য দেওয়ান মান্নান দাদ খান।
মাঠের নামকরণ: শোলাকিয়ার আগের নাম ছিল রাজাবাড়ীয়া। জনশ্রুতি আছে, একসময় শোলাকিয়া ঈদগাহে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সোয়া লাখ মুসল্লি হওয়ার কথা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সেই থেকে ঈদগাহটি একসময় শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ মাঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নামকরণের এমন ধারণার সঙ্গে অনেক ইতিহাসবিদের দ্বিমত আছে। অন্য মতটি হলো, মুঘল আমলে এখানকার পরগনার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। কালের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, বর্তমান শোলাকিয়া।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, দেশের বড় জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা পর্ষদের সূত্রে জানা গেছে, শোলাকিয়া ঈদগাহে এবার ১৮৮ তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়। ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইমামতি করবেন।
পরিচালনা পর্ষদ সূত্র জানায়, শোলাকিয়ার ৬ দশমিক ৬১ একর আয়তনের ঈদগাহের মূল মাঠে নামাজে ২৬৫টি কাতার থাকবে। প্রতিটি কাতারে ৬৫০ থেকে ৭০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন। মূল মাঠের চারপাশে আরও অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ধাতব বস্তু শনাক্তকরণ যন্ত্র (মেটাল ডিটেক্টর) দিয়ে তল্লাশি করে মুসল্লিদের মাঠে ঢোকানো হবে।
শোলাকিয়ায় যেতে বিশেষ ট্রেন: মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করছে। এর একটি ভৈরব থেকে, আরেকটি ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশে ছাড়বে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন থেকে সকাল ছয়টায় ছেড়ে যাবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ (স্পেশাল) নামের অপর ট্রেনটি সকাল ছয়টায় ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে। নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় এসব ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ফিরে যাবে। বাসে করেও ঈদগাহে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন বাস কোম্পানি বিশেষ সার্ভিস চালু করছে।পেছনের ইতিহাস: শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের যাত্রা শুরু ১৮২৮ সাল থেকে। স্থানীয় সাহেববাড়ির সৈয়দ আহম্মদ (র.) তাঁর নিজ সম্পত্তিতে প্রথমবারের মতো ঈদ জামাতের আয়োজন করেন। সেবার তিনি নিজেই ইমামতি করে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মাঠের প্রসার ও পরিচিতি ঘটান ঈশা খাঁর বংশধর স্থানীয় হয়বতনগর দেওয়ান পরিবারের সদস্য দেওয়ান মান্নান দাদ খান।
মাঠের নামকরণ: শোলাকিয়ার আগের নাম ছিল রাজাবাড়ীয়া। জনশ্রুতি আছে, একসময় শোলাকিয়া ঈদগাহে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সোয়া লাখ মুসল্লি হওয়ার কথা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সেই থেকে ঈদগাহটি একসময় শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ মাঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নামকরণের এমন ধারণার সঙ্গে অনেক ইতিহাসবিদের দ্বিমত আছে। অন্য মতটি হলো, মুঘল আমলে এখানকার পরগনার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। কালের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, বর্তমান শোলাকিয়া।
No comments