দে ছুট, ধর গাড়ি by আব্দুর রশিদ
পরনে
সস্তা শার্ট বা সালোয়ার কামিজ। হাতে ব্যাগ। ব্যাগটি সযত্নে দুই হাতে আগলে
রাখা। প্রিয়জনের জন্য অনেক কষ্টের টাকায় কেনা উপহার আছে এতে। ঈদে বাড়ি যেতে
হবে। গতকাল হাড়ভাঙা খাটুনির পর ছুটি মিলেছে। তাই আজ সাতসকালেই ছুটেছেন
ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে। বাসের টিকিটের অনেক দাম। তাই গরিবের ভরসা
ট্রাক বা সিটিং সার্ভিস বাস। অল্প টাকায় যাওয়া যায়। কিন্তু দেখা মিলছে না।
ঢাকার গাবতলী, আশুলিয়া, সাভারের আমিনবাজার, নবীনগর এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় মানুষের ভিড়। ব্যাগ হাতে ছুটোছুটি করছে মানুষ। যে কয়টি ট্রাক বা সিটিং সার্ভিস বাস আসছে, হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। যারা উঠতে পারছেন, তাঁদের চোখেমুখে যুদ্ধজয়ের আনন্দ। যারা পারছেন না, তাঁরা আবারও অপেক্ষায়।
আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভিড় শুধু গাবতলী নয়। সাভারের আমিনবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়ও। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক। ট্রাকের খোলা জায়গার ওপরে পলিথিনের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। গরিবের জন্য এটাই অনেক। অন্তত ভিজে যেতে হবে না। যাত্রীরা এটুকু সুবিধা পেয়েই খুশি। ছোট পিকআপভ্যানও নিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী সিটিং সার্ভিসের বাসগুলো ঈদে দূরপাল্লার যাত্রীদের নিয়ে যায়। তাই এসব যানবাহনেও বাড়ি যাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ট্রাকে ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলেন হাসান নামে এক পোশাকশ্রমিক। জানালেন, গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গতকালই ছুটি পেয়েছেন। তাই আজ সকাল থেকেই ট্রাকে ওঠার চেষ্টা করছেন। বাড়ি রংপুর। সেখানেই সবার সঙ্গে ঈদ করবেন।
পোশাকশ্রমিক মোস্তাফিজুর রহমান যাবেন গাইবান্ধায়। অনেক ঠেলাঠেলি করে একটি ট্রাকে উঠলেন তিনি। সেখানেও তিল ধারণের জায়গা নেই। তবু তাঁর মুখে হাসি। বললেন, যত কষ্টই হোক। বাড়ি ফিরতে হবে। এত কষ্ট করে গাড়িতে উঠেও শান্তি নেই। আছে যানজটের দুর্ভোগ। রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর থেকে সাভারের নবীনগর পর্যন্ত যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাস হানিফ পরিবহনের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাতটার দিকে তিনি রওনা হয়েছেন। নবীনগর পৌঁছেছেন সকাল নয়টায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি হওয়াতেই এমন যানজট বলে মনে করেন তিনি। পুলিশও গাড়ির চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার গাবতলী, আশুলিয়া, সাভারের আমিনবাজার, নবীনগর এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় মানুষের ভিড়। ব্যাগ হাতে ছুটোছুটি করছে মানুষ। যে কয়টি ট্রাক বা সিটিং সার্ভিস বাস আসছে, হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। যারা উঠতে পারছেন, তাঁদের চোখেমুখে যুদ্ধজয়ের আনন্দ। যারা পারছেন না, তাঁরা আবারও অপেক্ষায়।
আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভিড় শুধু গাবতলী নয়। সাভারের আমিনবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়ও। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক। ট্রাকের খোলা জায়গার ওপরে পলিথিনের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। গরিবের জন্য এটাই অনেক। অন্তত ভিজে যেতে হবে না। যাত্রীরা এটুকু সুবিধা পেয়েই খুশি। ছোট পিকআপভ্যানও নিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী সিটিং সার্ভিসের বাসগুলো ঈদে দূরপাল্লার যাত্রীদের নিয়ে যায়। তাই এসব যানবাহনেও বাড়ি যাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ট্রাকে ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলেন হাসান নামে এক পোশাকশ্রমিক। জানালেন, গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গতকালই ছুটি পেয়েছেন। তাই আজ সকাল থেকেই ট্রাকে ওঠার চেষ্টা করছেন। বাড়ি রংপুর। সেখানেই সবার সঙ্গে ঈদ করবেন।
পোশাকশ্রমিক মোস্তাফিজুর রহমান যাবেন গাইবান্ধায়। অনেক ঠেলাঠেলি করে একটি ট্রাকে উঠলেন তিনি। সেখানেও তিল ধারণের জায়গা নেই। তবু তাঁর মুখে হাসি। বললেন, যত কষ্টই হোক। বাড়ি ফিরতে হবে। এত কষ্ট করে গাড়িতে উঠেও শান্তি নেই। আছে যানজটের দুর্ভোগ। রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর থেকে সাভারের নবীনগর পর্যন্ত যেতে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাস হানিফ পরিবহনের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাতটার দিকে তিনি রওনা হয়েছেন। নবীনগর পৌঁছেছেন সকাল নয়টায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি হওয়াতেই এমন যানজট বলে মনে করেন তিনি। পুলিশও গাড়ির চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঈদে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। ছবিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে তোলা। ছবি: সোহেল মহসীন শিপন |
No comments