চকবাজারে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা by মাসুম আলী
ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর চকবাজারের পাইকারি দোকানে খেলনার বিক্রি বেড়েছে। ছবি- আশরাফুল আলম |
‘চায়নিজ
পিস্তল ১২ ডজন, রাইফেল ছয় ডজন, প্লেন ৫০টা, আইফোন ১২ ডজন, লটারি বক্স
আইটেম দেবেন এক কুড়ি, ক্রিকেট ব্যাট-বল সেট ১২ ডজন। ফুল পেমেন্ট করে
গেলাম, ইফতারের আগে ট্রান্সপোর্টে দিয়ে দেবেন। কাল সন্ধ্যায় যেন মাল
ডেলিভারি নিতে পারি।’ দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই চাহিদার মোতাবেক সব মালামাল
অর্ডার দিয়ে দ্রুত হাঁটা দিলেন ভদ্রলোক।
চট্টগ্রাম রিয়াজ উদ্দীন বাজারের মিনহাজ স্টোরের মালিক ফরহাদ উদ্দীন গতকাল রোববার ভোরে ঢাকায় এসেছেন। সায়েদাবাদে নেমেই কালবিলম্ব না করে সোজা পৌঁছে গেছেন পুরান ঢাকার চকবাজারে। ব্যস্ততার মধ্যেই দুপুরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। জানান, ঈদ সামনে রেখে পাইকারি দামে খেলনা সামগ্রী কিনতে এসেছেন। এই নিয়ে রোজার মাসে ষষ্ঠবার মতো মাল কিনতে এলেন তিনি। সময় কম। সারা দিন মাল কিনে ফিরে যাবেন রাতেই। মাল চলে যাবে ট্রান্সপোর্টে।
ঈদ সামনে রেখে পুরান ঢাকার চকবাজারে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। চকবাজার ছাড়াও আশপাশের এলাকা মৌলভীবাজার, বেগম বাজার, উর্দু রোড থেকে সারা দেশেই পাইকারি দ্রব্য সরবরাহ করা হয়। পাঞ্জাবি, জামা, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক থেকে শুরু করে চুড়ি, ইমিটেশন অলংকার, প্রসাধন ও খেলনার প্রধান পাইকারি বাজার এখানে। মৌলভীবাজারে মসলার পাইকারি ব্যবসা। ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানে এখান থেকেই মালামাল যায়। খুচরা বিক্রির কোনো কারবার এখানেই। এবারও চক ও তার আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষে পর্যাপ্ত মালামাল তৈরি ও আমদানি করেছেন। তবে বিক্রি আশানুরূপ না বলে জানান তাঁরা।
এই চকবাজারের মাওলা ব্রাদার্সের ব্যবসায়ী এনায়েত করিম জানান, সারা দেশের বিভিন্ন পাইকারি এবং খুচরা বাজারের নিয়মিত সামগ্রীর শেষ চালান ইতিমধ্যে চলে গেছে। এখন শেষ পর্যায়ে যাচ্ছে খেলনাসহ বিভিন্ন সাজসজ্জার সামগ্রী। ঈদ উপলক্ষে সারা দেশেই আনাচকানাচে মেলা বসে। এসব মেলায় বাচ্চাদের খেলনার বিক্রি হয় প্রচুর। এ ছাড়া শেষ দিকে মানুষ ঘরের শৌখিন সামগ্রীও কেনেন। তাই রমজানের শেষ দিকে চক এলাকার পাইকারি দোকানে খেলনা ও সাজসজ্জার সামগ্রী বিক্রিও বেড়ে যায়।
চকবাজার নিয়ন স্টোরের মালিক আবদুল আওয়াল জানান, ঈদ সামনে রেখে তাঁর দোকানে কাগজের তৈরি শপিং ব্যাগ, একবার ব্যবহার যোগ্য প্লেট, গ্লাস, চামচ প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে বেশি। তাঁর মতে, ঈদে সারা দেশেই পারিবারিক, সামাজিক পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এ কারণে এবার ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর খুব চাহিদা তৈরি হয়েছে।
তবে এবার এই এলাকায় যানজট কম থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শবে বরাতের পর থেকেই যানজট নিরসনের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজস্ব কর্মী রেখেছিলেন যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য। পুরো এলাকায় ছিল একমুখী চলাচল ব্যবস্থা। ফলে যানজট কম ছিল এবার। স্বস্তির সঙ্গেই কেনাবেচা করছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম রিয়াজ উদ্দীন বাজারের মিনহাজ স্টোরের মালিক ফরহাদ উদ্দীন গতকাল রোববার ভোরে ঢাকায় এসেছেন। সায়েদাবাদে নেমেই কালবিলম্ব না করে সোজা পৌঁছে গেছেন পুরান ঢাকার চকবাজারে। ব্যস্ততার মধ্যেই দুপুরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। জানান, ঈদ সামনে রেখে পাইকারি দামে খেলনা সামগ্রী কিনতে এসেছেন। এই নিয়ে রোজার মাসে ষষ্ঠবার মতো মাল কিনতে এলেন তিনি। সময় কম। সারা দিন মাল কিনে ফিরে যাবেন রাতেই। মাল চলে যাবে ট্রান্সপোর্টে।
ঈদ সামনে রেখে পুরান ঢাকার চকবাজারে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। চকবাজার ছাড়াও আশপাশের এলাকা মৌলভীবাজার, বেগম বাজার, উর্দু রোড থেকে সারা দেশেই পাইকারি দ্রব্য সরবরাহ করা হয়। পাঞ্জাবি, জামা, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক থেকে শুরু করে চুড়ি, ইমিটেশন অলংকার, প্রসাধন ও খেলনার প্রধান পাইকারি বাজার এখানে। মৌলভীবাজারে মসলার পাইকারি ব্যবসা। ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানে এখান থেকেই মালামাল যায়। খুচরা বিক্রির কোনো কারবার এখানেই। এবারও চক ও তার আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষে পর্যাপ্ত মালামাল তৈরি ও আমদানি করেছেন। তবে বিক্রি আশানুরূপ না বলে জানান তাঁরা।
এই চকবাজারের মাওলা ব্রাদার্সের ব্যবসায়ী এনায়েত করিম জানান, সারা দেশের বিভিন্ন পাইকারি এবং খুচরা বাজারের নিয়মিত সামগ্রীর শেষ চালান ইতিমধ্যে চলে গেছে। এখন শেষ পর্যায়ে যাচ্ছে খেলনাসহ বিভিন্ন সাজসজ্জার সামগ্রী। ঈদ উপলক্ষে সারা দেশেই আনাচকানাচে মেলা বসে। এসব মেলায় বাচ্চাদের খেলনার বিক্রি হয় প্রচুর। এ ছাড়া শেষ দিকে মানুষ ঘরের শৌখিন সামগ্রীও কেনেন। তাই রমজানের শেষ দিকে চক এলাকার পাইকারি দোকানে খেলনা ও সাজসজ্জার সামগ্রী বিক্রিও বেড়ে যায়।
চকবাজার নিয়ন স্টোরের মালিক আবদুল আওয়াল জানান, ঈদ সামনে রেখে তাঁর দোকানে কাগজের তৈরি শপিং ব্যাগ, একবার ব্যবহার যোগ্য প্লেট, গ্লাস, চামচ প্রভৃতি বিক্রি হচ্ছে বেশি। তাঁর মতে, ঈদে সারা দেশেই পারিবারিক, সামাজিক পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এ কারণে এবার ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর খুব চাহিদা তৈরি হয়েছে।
তবে এবার এই এলাকায় যানজট কম থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শবে বরাতের পর থেকেই যানজট নিরসনের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজস্ব কর্মী রেখেছিলেন যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য। পুরো এলাকায় ছিল একমুখী চলাচল ব্যবস্থা। ফলে যানজট কম ছিল এবার। স্বস্তির সঙ্গেই কেনাবেচা করছেন ব্যবসায়ীরা।
No comments