রাধারমণের গানে মুগ্ধ শ্রোতা দৃকে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী- সংস্কৃতি সংবাদ

 ভ্রমর কইও গিয়া শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে অঙ্গ যায় জ্বলিয়া রে ভ্রমর কইও গিয়া... ভালবাসার মানুষের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হলে মন কেমন যন্ত্রণাকাতর হয়ে ওঠে, ব্যাকুল হয়ে যায় তা বোঝার জন্য এ গানটির কোন তুলনা হয় না।
সুনামগঞ্জের এক প্রত্যনত্ম অঞ্চলে বসে এ গান যিনি সৃষ্টি করেছিলেন তিনি রাধারমণ। মানব-মানবীর প্রেম-প্রণয়ের উপস্থাপনাই শুধু নয়, জীবনের গভীরতর অনেক বোধকে তিনি একই রকম মমত্ব নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর কথা এবং সুর একইভাবে আপস্নুত করে শ্রোতাকে। আর তাই সিলেটের হাওর বাঁওড় ছাড়িয়ে এ গীতিকবি পুরো দেশের হয়ে ওঠেন। সকল শ্রেণীর দর্শক তন্ময় হয়ে তাঁর গান শোনেন। তবে এ গানের উপস্থাপনায় সম্প্রতি কিছু বিকৃতি যোগ হয়েছে। এমন বিকৃতির মধ্যেও কেউ কেউ আনন্দ খুঁজে পান। তবে প্রকৃত সৃষ্টিটি সামনে চলে আসলে কী দাঁড়ায় ব্যাপারখানা তা দেখা গেল মঙ্গলবার বিকেলে। এদিন শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে রাধারমণের গান পরিবেশন করেন তাঁরই চর্চায় দিনরাত ডুবে থাকা শিষ্য শ্রেণীর শিল্পীরা। বাংলার ৭ বাউল সাধক স্মরণে একাডেমী চত্বরে শুরম্ন হওয়া লোকসঙ্গীত উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি উৎসর্গ করা হয় তাঁকে। অনুষ্ঠানে রাধারমণ দত্তের সৃষ্টি ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা। সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ থেকে আসা বাউলরা রাধারমণের গান পরিবেশন শুরম্ন করলে একাডেমী চত্ব্বরে স্থাপিত বিশাল মঞ্চের চেহারা বদলে যেতে থাকে। প্রচুর শ্রোতা খুব চেনা সুরের টানে ছুটে আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। তন্ময় হয়ে গান শুনে যান তাঁরা। পুরো এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গানে গানে চলে এ অনন্য স্রষ্টার সৃষ্টির বন্দনা। পরে অনুষ্ঠানে হরেক রকমের লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আজ বুধবার একই মঞ্চে থাকছে আরেক খ্যাতনামা লোককবি বিজয় সরকারের গান। অনুষ্ঠানে তাঁর গান পরিবেশনা ছাড়াও থাকবে বিশেষ আলোচনা। আলোচনায় অংশ নেবেন সাইমন জাকারিয়া।

চলছে চলচ্চিত্র উৎসব
১২টি ভেনু্যতে একযোগে চলছে আনত্মর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। মূল ভেনু্য পাবলিক লাইব্রেরী চত্বর। এছাড়া ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে শিশু একাডেমী, স্টার সিনেপেস্নক্স, ব্রিটিশ কাউন্সিল, জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রম্নশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ধানম-ি ও উত্তরা কেন্দ্র, মিরপুরের ইউসেপ, খিলগাঁওয়ের পলস্নীমা সংসদ ও হাজারীবাগের কলেজ অব লেদার টেকনোলজি মিলনায়তনে। এসব ভেনু্যতে বিনামূল্যে ছবি দেখছে শিশুরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রতিদিনই উৎসবে ছবি দেখতে আসছে শিশুরা। স্কুল কতর্ৃপৰের তত্ত্বাবধানে ছবি দেখতে আসা এসব শিশুর সকলেই খুব খুশি। তাদের আনানেয়ার কাজটিও করছে উৎসব কমিটি। ঢাকার শিশুরা ছাড়াও উৎসবে বিভিন্ন প্রত্যনত্ম অঞ্চল হতে অংশ যোগ দিয়েছে আরও ১শ' ২৫ শিশু প্রতিনিধি।
উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এখান থেকে ৫টি ছবিকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করবে শিশুদের নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরমা থেকে শিশু দর্শকদের ভোটে নির্বাচন করা হবে উৎসবের সেরা চলচ্চিত্র।
আয়োজক সূত্র জানায়, আজ বুধবার উৎসবে আয়োজন করা হবে দিনব্যাপী সেমিনার।

দি মিসটিরিয়াস স্কাই শীর্ষক প্রদর্শনী শুরম্ন
'দি মিসটিরিয়াস স্কাই' শিরোনামে দৃক গ্যালারিতে শুরম্ন হয়েছে শিল্পী মুশফিক হাসান বনির একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। দুপুরে এর উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির উদ্দেশে উসর্গকৃত প্রদর্শনী আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যনত্ম চলবে।

No comments

Powered by Blogger.