টাইমস স্কয়ারের সূত্র ধরে জঙ্গিদের নাগাল পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা
নিউইয়র্কে হামলা পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিদের যোগসাজশ থাকার সূত্র ধরে বিভিন্ন জঙ্গি নেটওয়ার্কের নাগাল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গত শনিবার টাইমস স্কয়ারে হামলার চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ফয়সাল শাহজাদকে আটক করা হয়। পাকিস্তানভিত্তিক তালেবান জঙ্গিরা ওই হামলা পরিকল্পনার দায় স্বীকার করেছে। আটককৃত ফয়সাল নিজেও তালেবান ঘাঁটিতে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সে সুবাদে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ফয়সাল ও তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুতো ধরে আসল জঙ্গি নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত জীবনব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে শাহজাদের মতো একজন তরুণ কেন জঙ্গিদের পথ বেছে নিতে গেলেন, তা পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত অ্যানি প্যাটারসন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির সঙ্গে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, জঙ্গি শনাক্ত করতে তাঁরা পাকিস্তানের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসন ওই হামলা পরিকল্পনার তদন্তে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা চেয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেবে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পুরোদমে তদন্ত শুরু হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টাইমস স্কয়ারে হামলা পরিকল্পনার ছেঁড়া ছেঁড়া তথ্যপ্রমাণ জোড়া দিয়ে পাকিস্তানের বিছিন্ন জঙ্গি গ্রুপগুলোর হাঁড়ির খবর পাওয়া সহজ হবে না। পাকিস্তানে এখন অসংখ্য ছোট-বড় জঙ্গি গ্রুপ আছে। তাদের সবার মধ্যে মার্কিনবিদ্বেষ রয়েছে। সে সুবাদে তাদের মধ্যে আদর্শিক মিল রয়েছে। কিন্তু তারা একই চেইন অব কমান্ডে কাজ করে না। সে কারণে একটির সূত্র ধরে অন্যটির কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।
বলা হচ্ছে, ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর আল-কায়েদার গতিপ্রকৃতি বদলে গেছে। সিআইএ ওসামা বিন লাদেন ও তাঁর সহচরদের সম্পর্কে যে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছিল, তা বর্তমান জঙ্গি তৎপরতায় নজরদারির ক্ষেত্রে কাজে আসছে না।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানে আল-কায়েদা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে উল্টো ফল হয়েছে। আল-কায়েদার ছড়ানো-ছিটানো নেতারা পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গ্রুপে মিশে গেছে। তাদের সহায়তা নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে গ্রুপগুলো শেকড় গেড়ে বসছে। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা স্ট্র্যাটফোরের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক কামরান বোখারি বলেন, তালেবান ও আল-কায়েদার প্রচলিত চরিত্র ও প্রকৃতি এখন আর নেই। বিভিন্ন দল উপদলের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই অস্পষ্ট।
গত শনিবার টাইমস স্কয়ারে হামলার চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ফয়সাল শাহজাদকে আটক করা হয়। পাকিস্তানভিত্তিক তালেবান জঙ্গিরা ওই হামলা পরিকল্পনার দায় স্বীকার করেছে। আটককৃত ফয়সাল নিজেও তালেবান ঘাঁটিতে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সে সুবাদে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ফয়সাল ও তালেবান জঙ্গিদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুতো ধরে আসল জঙ্গি নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত জীবনব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে শাহজাদের মতো একজন তরুণ কেন জঙ্গিদের পথ বেছে নিতে গেলেন, তা পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত অ্যানি প্যাটারসন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির সঙ্গে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, জঙ্গি শনাক্ত করতে তাঁরা পাকিস্তানের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসন ওই হামলা পরিকল্পনার তদন্তে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা চেয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেবে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পুরোদমে তদন্ত শুরু হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টাইমস স্কয়ারে হামলা পরিকল্পনার ছেঁড়া ছেঁড়া তথ্যপ্রমাণ জোড়া দিয়ে পাকিস্তানের বিছিন্ন জঙ্গি গ্রুপগুলোর হাঁড়ির খবর পাওয়া সহজ হবে না। পাকিস্তানে এখন অসংখ্য ছোট-বড় জঙ্গি গ্রুপ আছে। তাদের সবার মধ্যে মার্কিনবিদ্বেষ রয়েছে। সে সুবাদে তাদের মধ্যে আদর্শিক মিল রয়েছে। কিন্তু তারা একই চেইন অব কমান্ডে কাজ করে না। সে কারণে একটির সূত্র ধরে অন্যটির কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।
বলা হচ্ছে, ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর আল-কায়েদার গতিপ্রকৃতি বদলে গেছে। সিআইএ ওসামা বিন লাদেন ও তাঁর সহচরদের সম্পর্কে যে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছিল, তা বর্তমান জঙ্গি তৎপরতায় নজরদারির ক্ষেত্রে কাজে আসছে না।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানে আল-কায়েদা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে উল্টো ফল হয়েছে। আল-কায়েদার ছড়ানো-ছিটানো নেতারা পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গ্রুপে মিশে গেছে। তাদের সহায়তা নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে গ্রুপগুলো শেকড় গেড়ে বসছে। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা স্ট্র্যাটফোরের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক কামরান বোখারি বলেন, তালেবান ও আল-কায়েদার প্রচলিত চরিত্র ও প্রকৃতি এখন আর নেই। বিভিন্ন দল উপদলের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই অস্পষ্ট।
No comments