আফগানদের স্বপ্ন নিয়ে ফেরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেটটাকে দেখল বিশ্ব। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাতেও যে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে আফগান তরুণ ক্রিকেটাররা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন সেটাই। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। আর সামনে এগোনোর জন্য যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে, সেটার জন্য বিশ্ব ক্রিকেটের সাহায্যপ্রার্থী আফগানিস্তানের পাকিস্তানি কোচ কবির খান।
পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫৯ রানের পরাজয়ে আফগানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও এখান থেকেই নতুন দিনের সূচনা দেখছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার কবির খান। নিজেদের দেশে আফগান ক্রিকেটাররা আরও আগেই নায়কের মর্যাদা পেয়ে গেলেও এই প্রথম তাদের খেলা দেখা গেল টেলিভিশনে, এই প্রথম সারা বিশ্বের মানুষ জানল আফগান ক্রিকেটারদের সামর্থ্য—ভবিষ্যৎ পথচলায় এটাকে বড় মাইলফলক মনে করছেন কোচ, ‘কোচ হিসেবে আমি এ কারণেই বেশি খুশি কারণ আমরা চাই, এই ক্রিকেটাররা দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা ভারতের মতো দেশে গিয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলুক। বিশ্ব ক্রিকেটে যদি স্টেইন-মরকেলদের মতো বোলারদের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের মতো বোলারদের বল খেলার অভ্যাস থাকতে হবে।’
আজ বোমা পড়ে তো কাল গুপ্ত হামলা—দেশ হিসেবে মোটেও নিরাপদ নয় আফগানিস্তান। পথ চলতেই যেখানে জীবনের ঝুঁকি, ঘটা করে ক্রিকেট খেলার কথা তো সেখানে চিন্তাই করা যায় না। ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে তাই এখনো কিছুই নেই দেশটাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও মাত্র তিন-চার সপ্তাহের। এ অবস্থায় ক্রিকেট উন্নয়নে বহির্বিশ্বের সাহায্য চাওয়া ছাড়া উপায় দেখছেন না কবির খান, ‘বড় দেশগুলোর সাহায্য চাই আমরা। আমাদের প্রতিভা আছে, ছেলেরাও খেলার জন্য প্রস্তুত। খুব দ্রুত শিখতে পারে তারা। অন্য দেশগুলো আমাদের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে। ওসব দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আফগান খেলোয়াড়েরা পেশাদার বা আধা-পেশাদার হিসেবে খেললেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে তাদের খেলা উচিত।’
সুযোগ পেলে আফগান ক্রিকেটাররাও যে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারবে, সেটার লক্ষণ এই বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটার দিকেই তাকান, পরাজয়ের মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে হামিদ হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৯ রানে আটকে রাখতে তাঁর ছিল বড় অবদান, এর পর ব্যাট হাতে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে করেছেন ২১ বলে ২২ রান। পরাজয়েও দলের এমন ছোট ছোট সাফল্যে দারুণ অনুপ্রাণিত আফগানিস্তানের আরেক ক্রিকেটার নওরোজ মঙ্গল, ‘অসাধারণ বোলিং আর ফিল্ডিং করে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৯ রানে আটকে রাখতে পেরেছি। তবে তারাও খুব ভালো বল করেছে।’
আর কোচ কবির খান তো পুরোপুরিই সন্তুষ্ট তাঁর দলের ওপর, ‘বিশ্বের সেরা দুটি দেশের বিপক্ষে দলের এই পারফরম্যান্সে কোচ হিসেবে আমি অত্যন্ত খুশি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সব রকমের চাপই ছিল তাদের ওপর। প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছিল তাদের খেলা, প্রতিপক্ষে বড় বড় সব তারকা, দর্শক—এ সবকিছুর সঙ্গেই তারা খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছে।’
পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫৯ রানের পরাজয়ে আফগানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও এখান থেকেই নতুন দিনের সূচনা দেখছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার কবির খান। নিজেদের দেশে আফগান ক্রিকেটাররা আরও আগেই নায়কের মর্যাদা পেয়ে গেলেও এই প্রথম তাদের খেলা দেখা গেল টেলিভিশনে, এই প্রথম সারা বিশ্বের মানুষ জানল আফগান ক্রিকেটারদের সামর্থ্য—ভবিষ্যৎ পথচলায় এটাকে বড় মাইলফলক মনে করছেন কোচ, ‘কোচ হিসেবে আমি এ কারণেই বেশি খুশি কারণ আমরা চাই, এই ক্রিকেটাররা দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা ভারতের মতো দেশে গিয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলুক। বিশ্ব ক্রিকেটে যদি স্টেইন-মরকেলদের মতো বোলারদের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের মতো বোলারদের বল খেলার অভ্যাস থাকতে হবে।’
আজ বোমা পড়ে তো কাল গুপ্ত হামলা—দেশ হিসেবে মোটেও নিরাপদ নয় আফগানিস্তান। পথ চলতেই যেখানে জীবনের ঝুঁকি, ঘটা করে ক্রিকেট খেলার কথা তো সেখানে চিন্তাই করা যায় না। ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে তাই এখনো কিছুই নেই দেশটাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও মাত্র তিন-চার সপ্তাহের। এ অবস্থায় ক্রিকেট উন্নয়নে বহির্বিশ্বের সাহায্য চাওয়া ছাড়া উপায় দেখছেন না কবির খান, ‘বড় দেশগুলোর সাহায্য চাই আমরা। আমাদের প্রতিভা আছে, ছেলেরাও খেলার জন্য প্রস্তুত। খুব দ্রুত শিখতে পারে তারা। অন্য দেশগুলো আমাদের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে। ওসব দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আফগান খেলোয়াড়েরা পেশাদার বা আধা-পেশাদার হিসেবে খেললেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে তাদের খেলা উচিত।’
সুযোগ পেলে আফগান ক্রিকেটাররাও যে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারবে, সেটার লক্ষণ এই বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটার দিকেই তাকান, পরাজয়ের মধ্যেও জ্বলজ্বল করছে হামিদ হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৯ রানে আটকে রাখতে তাঁর ছিল বড় অবদান, এর পর ব্যাট হাতে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে করেছেন ২১ বলে ২২ রান। পরাজয়েও দলের এমন ছোট ছোট সাফল্যে দারুণ অনুপ্রাণিত আফগানিস্তানের আরেক ক্রিকেটার নওরোজ মঙ্গল, ‘অসাধারণ বোলিং আর ফিল্ডিং করে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৯ রানে আটকে রাখতে পেরেছি। তবে তারাও খুব ভালো বল করেছে।’
আর কোচ কবির খান তো পুরোপুরিই সন্তুষ্ট তাঁর দলের ওপর, ‘বিশ্বের সেরা দুটি দেশের বিপক্ষে দলের এই পারফরম্যান্সে কোচ হিসেবে আমি অত্যন্ত খুশি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সব রকমের চাপই ছিল তাদের ওপর। প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছিল তাদের খেলা, প্রতিপক্ষে বড় বড় সব তারকা, দর্শক—এ সবকিছুর সঙ্গেই তারা খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছে।’
No comments