রিগ দুর্ঘটনার একটি ছিদ্র বন্ধ, তেল নিঃসরণ কমেনি
বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট যে তিনটি ছিদ্র দিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ছে—এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি)। তবে এতে তেল বের হওয়া তেমন কমেনি। নিয়ন্ত্রিতভাবে আগুন জ্বালিয়ে তেল শুষে নেওয়ার কাজ আবার শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, বিপি ও তাদের যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ট্র্যান্সওশানের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল বলে তথ্য বেরিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এখন অতীতের এসব ঘটনা বের হওয়ায় তা উদ্বেগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডিপওয়াটার হরাইজন রিগ থেকে এখনো প্রতিদিন প্রায় আট লাখ লিটার হারে তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, একটি ছোট ছিদ্র বন্ধ হওয়ায় তেল নিঃসরণের পরিমাণে কোনো হেরফের হবে না। তবে তিনটির বদলে এখন দুটি ছিদ্র নিয়ে কাজ করতে হবে বলে তেল ছড়িয়ে পড়া সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, নিয়ন্ত্রিত আগুনের মাধ্যমে উন্মুক্ত সাগর থেকে তেল অপসারণের কাজ আবার শুরু হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল সর্বশেষ এভাবে আগুনের মাধ্যমে তেল অপসারণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই দিন কয়েক হাজার লিটার তেল সফলভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়।
আগুনের কারণে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। ঘটনার ব্যাপারে স্থাপিত তথ্যকেন্দ্র বলছে, নিয়ন্ত্রিত আগুনের কারণে বন্য প্রাণীর বসবাস রয়েছে—এমন কোনো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ছাড়া সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী কিংবা সামুদ্রিক কচ্ছপের ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না।
সমুদ্রপৃষ্ঠে তেল টেনে আনার জন্য ছিদ্রমুখে একটি বিশেষ বাক্স স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে সমুদ্রের এত গভীরে কখনোই এ ধরনের যন্ত্র স্থাপন করেনি বিপি।
এদিকে বিপিকে এ ধরনের ত্রুটির ব্যাপারে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষও সতর্ক করে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের হেলথ অ্যান্ড সেফটি এক্সিকিউটিভ ২০০৫ সালে বলেছিল, একটি রিগে বিস্ফোরণ প্রতিরোধী কন্ট্রোল প্যানেল দক্ষতার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এ ছাড়া অন্য একটি রিগের বিস্ফোরণ প্রতিরোধী যন্ত্রে ব্যবহূত যন্ত্রাংশে ত্রুটির জন্য ২০০৬ সালে ট্র্যান্সওশানকে তিরস্কার করেছিল যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে বিপি। লোকজন, যন্ত্রপাতি সবই ট্র্যান্সওশানের—এ কথা উল্লেখ করে বিপির প্রধান নির্বাহী টনি হেওয়ার্ড বলেন, ‘এটা আমাদের দুর্ঘটনা নয়। এটা আমাদের ড্রিলিং রিগ নয়।
অন্যদিকে, বিপি ও তাদের যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ট্র্যান্সওশানের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল বলে তথ্য বেরিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এখন অতীতের এসব ঘটনা বের হওয়ায় তা উদ্বেগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডিপওয়াটার হরাইজন রিগ থেকে এখনো প্রতিদিন প্রায় আট লাখ লিটার হারে তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, একটি ছোট ছিদ্র বন্ধ হওয়ায় তেল নিঃসরণের পরিমাণে কোনো হেরফের হবে না। তবে তিনটির বদলে এখন দুটি ছিদ্র নিয়ে কাজ করতে হবে বলে তেল ছড়িয়ে পড়া সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, নিয়ন্ত্রিত আগুনের মাধ্যমে উন্মুক্ত সাগর থেকে তেল অপসারণের কাজ আবার শুরু হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল সর্বশেষ এভাবে আগুনের মাধ্যমে তেল অপসারণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই দিন কয়েক হাজার লিটার তেল সফলভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়।
আগুনের কারণে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। ঘটনার ব্যাপারে স্থাপিত তথ্যকেন্দ্র বলছে, নিয়ন্ত্রিত আগুনের কারণে বন্য প্রাণীর বসবাস রয়েছে—এমন কোনো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ছাড়া সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী কিংবা সামুদ্রিক কচ্ছপের ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না।
সমুদ্রপৃষ্ঠে তেল টেনে আনার জন্য ছিদ্রমুখে একটি বিশেষ বাক্স স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে সমুদ্রের এত গভীরে কখনোই এ ধরনের যন্ত্র স্থাপন করেনি বিপি।
এদিকে বিপিকে এ ধরনের ত্রুটির ব্যাপারে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষও সতর্ক করে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের হেলথ অ্যান্ড সেফটি এক্সিকিউটিভ ২০০৫ সালে বলেছিল, একটি রিগে বিস্ফোরণ প্রতিরোধী কন্ট্রোল প্যানেল দক্ষতার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এ ছাড়া অন্য একটি রিগের বিস্ফোরণ প্রতিরোধী যন্ত্রে ব্যবহূত যন্ত্রাংশে ত্রুটির জন্য ২০০৬ সালে ট্র্যান্সওশানকে তিরস্কার করেছিল যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে বিপি। লোকজন, যন্ত্রপাতি সবই ট্র্যান্সওশানের—এ কথা উল্লেখ করে বিপির প্রধান নির্বাহী টনি হেওয়ার্ড বলেন, ‘এটা আমাদের দুর্ঘটনা নয়। এটা আমাদের ড্রিলিং রিগ নয়।
No comments