পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে রাজি হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের কাছে মাথা নত করলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজিভা। পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে সম্মত হয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দলীয় এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে ভেজ্জাজিভা বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। এখন ইচ্ছে করলে যে কেউ নির্বাচনের তারিখ গোনা শুরু করতে পারে। এর আগে অভিজিৎ আগামী ১৪ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেন। তবে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দুই মাস ধরে চলা আন্দোলনের অবসান ঘটাতে হলে সরকারকে আরও আলোচনা করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। এপি ও এএফপি।
নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাপন্থী বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের কারণে ইতিমধ্যে থাই অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্যাংককের যে এলাকায় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বিলাসবহুল হোটেল ও দামি এপার্টমেন্টগুলো অবস্থিত, সেখানকার ১ দশমিক ২ বর্গমাইল এলাকাই এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর কারণে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কমে গেছে পর্যটক। শেয়ারবাজারের অবস্থাও খারাপ। দেশের এই দুঃসময়ের কথা চিন্তা করেই থাই প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ গতকাল দলীয় এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। সংকট নিরসনে তিনি একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। এতে তিনি নতুন নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন।
অভিজিৎ বলেন, তিনি চলমান রাজনৈতিক সংকটের অবসানের জন্য নতুন নির্বাচন দেবেন, এ জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে বিলুপ্ত করা হবে। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাতে রাজি হননি। পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। থাইল্যান্ডে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন হবে নভেম্বরে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরে না গেলে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে আর আলোচনায় বসবেন না। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির উপমুখপাত্র ওয়ারং দেচকিতভিরং একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট বিলুপ্ত নাও করতে পারেন।
লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের নেতা নাতাউত সাইকুয়া বলেছেন, অনেক ইস্যু অমীমাংসিত অবস্থায় আছে। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের আরও আলোচনা করা দরকার। রাজপথ ছাড়ার আগে তাঁরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসার দাবি জানান। ১৪ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও নতুন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।
এদিকে সরকারপন্থী হলুদ শার্ট পরা নেতারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের কাছে মাথা নত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিজিতের রোডম্যাপের সমালোচনা করেন। অনেকে এমনও বলেন, প্রধানমন্ত্রী লালশার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাপন্থী বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের কারণে ইতিমধ্যে থাই অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্যাংককের যে এলাকায় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বিলাসবহুল হোটেল ও দামি এপার্টমেন্টগুলো অবস্থিত, সেখানকার ১ দশমিক ২ বর্গমাইল এলাকাই এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর কারণে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কমে গেছে পর্যটক। শেয়ারবাজারের অবস্থাও খারাপ। দেশের এই দুঃসময়ের কথা চিন্তা করেই থাই প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ গতকাল দলীয় এমপিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। সংকট নিরসনে তিনি একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। এতে তিনি নতুন নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন।
অভিজিৎ বলেন, তিনি চলমান রাজনৈতিক সংকটের অবসানের জন্য নতুন নির্বাচন দেবেন, এ জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে বিলুপ্ত করা হবে। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাতে রাজি হননি। পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। থাইল্যান্ডে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন হবে নভেম্বরে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরে না গেলে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে আর আলোচনায় বসবেন না। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির উপমুখপাত্র ওয়ারং দেচকিতভিরং একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট বিলুপ্ত নাও করতে পারেন।
লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের নেতা নাতাউত সাইকুয়া বলেছেন, অনেক ইস্যু অমীমাংসিত অবস্থায় আছে। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের আরও আলোচনা করা দরকার। রাজপথ ছাড়ার আগে তাঁরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসার দাবি জানান। ১৪ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও নতুন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।
এদিকে সরকারপন্থী হলুদ শার্ট পরা নেতারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা লাল শার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের কাছে মাথা নত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিজিতের রোডম্যাপের সমালোচনা করেন। অনেকে এমনও বলেন, প্রধানমন্ত্রী লালশার্ট পরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
No comments