গড়ে উঠছে আফগান বিমানবাহিনী
যুদ্ধ আফগানদের জীবনাচরণে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। বছরের পর বছর যুদ্ধের ঘানি টেনে দেশটি এখন বুদ্ধিবৃত্তি, মেধার দিক দিয়ে বিরাট শূন্যতার মুখোমুখি। নিয়মতান্ত্রিকতার সঙ্গে যে জাতির কোনো দিন পরিচয় ঘটেনি, বিশৃঙ্খল যুদ্ধের অনিয়ম যে জাতির প্রতিটি রক্তকণিকায়, সেখানে নিয়মতান্ত্রিকতার উন্মেষ ঘটানো সত্যিই এক কঠিন বাস্তবতা।
আফগানিস্তানে এখন নিয়মতান্ত্রিক বিভিন্ন বাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রই এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার এই মহাযজ্ঞে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি মার্কিন প্রশিক্ষকেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি আফগান বিমানসেনাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ের কর্নেল বার্নার্ড মাটারের মুখোমুখি হয়েছিল। আফগানিস্তানের জন্য একটি সুপ্রশিক্ষিত বিমানবাহিনী গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা মাটার এই কাজকে বিশ্বের অন্যতম কঠিন একটি দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই একটি কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি।’ আফগানিস্তানে মেধাবী ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকজনের খুব অভাব। বিজ্ঞান শিক্ষার চর্চা দূরে থাক, মৌলিক পড়াশোনা ও শিক্ষিত মানুষই খুঁজে বের করা শক্ত এই দেশে। প্রশিক্ষণের সময় বার্নার্ড সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, সেটা হলো ভাষাগত সমস্যা। বেশির ভাগ আফগানই ইংরেজি ভালো করে বোঝে না। বিমানবাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছেলেদের কোনো কারিগরি বিষয় ভালো করে বোঝানোই দুরূহ একটি কাজ। প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার কিছু হেলিকপ্টার ও পুরোনো বিমান নিয়ে গড়ে উঠেছে আফগানিস্তানের বিমানবাহিনী। সেই হেলিকপ্টার ও বিমানগুলোর নির্দেশনা পুস্তিকাগুলো রাশিয়ান ভাষায় হওয়ার কারণে প্রশিক্ষকেরাও তা তাঁদের প্রশিক্ষণার্থীদের ভালো করে বোঝাতে পারেন না।
বার্নার্ড একবার অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, বিমানবাহিনীর বিমান চালনা যুদ্ধজ্ঞান তো অনেক দূরের ব্যাপার, বিমানবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বেশ কিছু গাড়িই চালানোর মতো অভিজ্ঞ চালকের অভাব সেই বিমানবাহিনীতে। অর্থাৎ বিমানবাহিনীর বৈমানিক নয়, প্রথমেই বিমানবাহিনীর দাপ্তরিক, প্রশাসনিক কাজের জন্য গড়ে তুলতে হচ্ছে কর্মীবাহিনী।
তবে, এখনো অ-আ-ক-খ-এর পর্যায়ে থাকা এই বিমানবাহিনী গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫০টি বিমান ও হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে এর বহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বিমানবাহিনীর সদস্যসংখ্যা দুই হাজার থেকে আট হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে। কান্দাহারে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারে গড়ে তোলা হচ্ছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি।
আফগানিস্তানের নতুন করে গড়ে ওঠার চেষ্টায় রত বিমানবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা দক্ষ লোকবলের অভাব। এই মুহূর্তে কান্দাহারের বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করা প্রতিটি বিমান বা হেলিকপ্টারে একজন আফগান বৈমানিকের সঙ্গে একজন মার্কিন প্রশিক্ষককে থাকতে হয়। কারণ একা একা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি বিমান বা হেলিকপ্টার চালানোর মতো দক্ষতা এখনো অর্জন করতে পারেননি কোনো আফগান বৈমানিক।
তবে, হাল ছাড়েননি বার্নার্ড মাটার। তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন এই আফগানিস্তান বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোই সমরে স্বস্তি দেবে আফগানদের। সেই হেলিকপ্টার ও বিমানগুলোই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেবে বিভিন্ন দুর্যোগে। সেদিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়। বার্নার্ড সেই ক্ষণটুকু নিজের চোখেই দেখে যেতে চান।
আফগানিস্তানে এখন নিয়মতান্ত্রিক বিভিন্ন বাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রই এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার এই মহাযজ্ঞে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি মার্কিন প্রশিক্ষকেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি আফগান বিমানসেনাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ের কর্নেল বার্নার্ড মাটারের মুখোমুখি হয়েছিল। আফগানিস্তানের জন্য একটি সুপ্রশিক্ষিত বিমানবাহিনী গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা মাটার এই কাজকে বিশ্বের অন্যতম কঠিন একটি দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই একটি কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি।’ আফগানিস্তানে মেধাবী ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকজনের খুব অভাব। বিজ্ঞান শিক্ষার চর্চা দূরে থাক, মৌলিক পড়াশোনা ও শিক্ষিত মানুষই খুঁজে বের করা শক্ত এই দেশে। প্রশিক্ষণের সময় বার্নার্ড সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, সেটা হলো ভাষাগত সমস্যা। বেশির ভাগ আফগানই ইংরেজি ভালো করে বোঝে না। বিমানবাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছেলেদের কোনো কারিগরি বিষয় ভালো করে বোঝানোই দুরূহ একটি কাজ। প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার কিছু হেলিকপ্টার ও পুরোনো বিমান নিয়ে গড়ে উঠেছে আফগানিস্তানের বিমানবাহিনী। সেই হেলিকপ্টার ও বিমানগুলোর নির্দেশনা পুস্তিকাগুলো রাশিয়ান ভাষায় হওয়ার কারণে প্রশিক্ষকেরাও তা তাঁদের প্রশিক্ষণার্থীদের ভালো করে বোঝাতে পারেন না।
বার্নার্ড একবার অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, বিমানবাহিনীর বিমান চালনা যুদ্ধজ্ঞান তো অনেক দূরের ব্যাপার, বিমানবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বেশ কিছু গাড়িই চালানোর মতো অভিজ্ঞ চালকের অভাব সেই বিমানবাহিনীতে। অর্থাৎ বিমানবাহিনীর বৈমানিক নয়, প্রথমেই বিমানবাহিনীর দাপ্তরিক, প্রশাসনিক কাজের জন্য গড়ে তুলতে হচ্ছে কর্মীবাহিনী।
তবে, এখনো অ-আ-ক-খ-এর পর্যায়ে থাকা এই বিমানবাহিনী গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫০টি বিমান ও হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে এর বহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বিমানবাহিনীর সদস্যসংখ্যা দুই হাজার থেকে আট হাজারে উন্নীত করা হচ্ছে। কান্দাহারে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারে গড়ে তোলা হচ্ছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি।
আফগানিস্তানের নতুন করে গড়ে ওঠার চেষ্টায় রত বিমানবাহিনীর সবচেয়ে বড় সমস্যা দক্ষ লোকবলের অভাব। এই মুহূর্তে কান্দাহারের বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করা প্রতিটি বিমান বা হেলিকপ্টারে একজন আফগান বৈমানিকের সঙ্গে একজন মার্কিন প্রশিক্ষককে থাকতে হয়। কারণ একা একা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি বিমান বা হেলিকপ্টার চালানোর মতো দক্ষতা এখনো অর্জন করতে পারেননি কোনো আফগান বৈমানিক।
তবে, হাল ছাড়েননি বার্নার্ড মাটার। তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন এই আফগানিস্তান বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোই সমরে স্বস্তি দেবে আফগানদের। সেই হেলিকপ্টার ও বিমানগুলোই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেবে বিভিন্ন দুর্যোগে। সেদিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়। বার্নার্ড সেই ক্ষণটুকু নিজের চোখেই দেখে যেতে চান।
No comments