গ্রীষ্মে আগুনের ঝুঁকি -অগ্নিনির্বাপণের যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে তো
অগ্নিকাণ্ড যতটা দুর্ঘটনা ততটাই অসাবধানতা ও দায়িত্বহীনতারই ফল। নিজকে বা অপরকে আগুনের দুর্ঘটনার সামনে অরক্ষিত রাখা যে অপরাধ, ভ্রাম্যমাণ আদালত তা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করে বুঝিয়ে দিলেন। জরিমানা করা আবাসিক ও কারখানা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা তো ছিলই না, উপরন্তু ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না নিয়েই ভবনগুলো ব্যবহূত হচ্ছিল। আশা করি, অন্যরাও এই জরিমানা থেকে শিখবেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান নিয়মিত করবেন।
গ্রীষ্ম কি শীত, প্রায়ই শহরাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়। সম্পদ ও প্রাণের অপচয় হলেও এ ব্যাপারে সরকার বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কারোরই বিশেষ মাথাব্যথা দেখা যায় না। এর বড় প্রমাণ হলো, বেশির ভাগ ভবনের নকশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে না নেওয়া এবং ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা না থাকা। এ বিষয়ে কারও কাছেই কোনো পরিসংখ্যান নেই যে ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ শহরে কতটি ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণের নিয়ম পালন করা হয়। এ কারণেই গত বুধবারের প্রথম আলোয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানবিষয়ক সংবাদটি ইতিবাচক। তবে সংবাদের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করে যাওয়া; বিশেষ করে বহুতল ভবন, গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা এবং বড় বড় শপিং মলকে কোনোভাবেই আগুনের হুমকির সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় রাখা যাবে না। কেননা, তদারকির অভাবে কিংবা ভবনগুলোর মালিকদের দায়িত্বহীনতার খেসারত সেখানে দিতে হয় সাধারণ মানুষকে, যাঁরা সেখানে কেনাকাটা, বসবাস কিংবা পেশাগত কাজে অবস্থান করেন।
প্রায়ই ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরে বড় আকারে আগুন লাগতে দেখা যায়। তারপর ফাঁস হয়ে পড়ে যে প্রতিষ্ঠানটিতে আগুন নেভানোর উপায়, জরুরি নির্গমনপথ ইত্যাদি ছিল না। এ নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা হয়। অথচ দরকার হলো আগাম অভিযান চালিয়ে গাফিলতি দূর করার ব্যবস্থা করা। এ কাজে জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা ফায়ার সার্ভিসকে লোকবল, সরঞ্জাম ও তহবিল দিয়ে শক্তিশালী করা দরকার। দরকার উপযুক্ত আইনি ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া।
গ্রীষ্ম কি শীত, প্রায়ই শহরাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়। সম্পদ ও প্রাণের অপচয় হলেও এ ব্যাপারে সরকার বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কারোরই বিশেষ মাথাব্যথা দেখা যায় না। এর বড় প্রমাণ হলো, বেশির ভাগ ভবনের নকশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে না নেওয়া এবং ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা না থাকা। এ বিষয়ে কারও কাছেই কোনো পরিসংখ্যান নেই যে ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নিকাণ্ডপ্রবণ শহরে কতটি ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণের নিয়ম পালন করা হয়। এ কারণেই গত বুধবারের প্রথম আলোয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানবিষয়ক সংবাদটি ইতিবাচক। তবে সংবাদের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করে যাওয়া; বিশেষ করে বহুতল ভবন, গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা এবং বড় বড় শপিং মলকে কোনোভাবেই আগুনের হুমকির সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় রাখা যাবে না। কেননা, তদারকির অভাবে কিংবা ভবনগুলোর মালিকদের দায়িত্বহীনতার খেসারত সেখানে দিতে হয় সাধারণ মানুষকে, যাঁরা সেখানে কেনাকাটা, বসবাস কিংবা পেশাগত কাজে অবস্থান করেন।
প্রায়ই ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরে বড় আকারে আগুন লাগতে দেখা যায়। তারপর ফাঁস হয়ে পড়ে যে প্রতিষ্ঠানটিতে আগুন নেভানোর উপায়, জরুরি নির্গমনপথ ইত্যাদি ছিল না। এ নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা হয়। অথচ দরকার হলো আগাম অভিযান চালিয়ে গাফিলতি দূর করার ব্যবস্থা করা। এ কাজে জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা ফায়ার সার্ভিসকে লোকবল, সরঞ্জাম ও তহবিল দিয়ে শক্তিশালী করা দরকার। দরকার উপযুক্ত আইনি ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া।
No comments