৬৬ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি নাৎসি প্রহরী by সরাফ আহমেদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৬৬ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৮৯ বছর বয়স্ক জন ইভান ডেমিয়ানইউর বিচার গত সোমবার জার্মানির মিউনিখের একটি আদালতে শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৪৩ সালে সোবিবর ডেথ ক্যাম্পে ২৯ হাজার বন্দীকে জোর করে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যার কাজে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
হুইলচেয়ারে বসে নীল কম্বল গায়ে চাপিয়ে এই যুদ্ধাপরাধী মিউনিখের আদালতে পৌঁছানোর অনেক আগেই ১৫০ আসনবিশিষ্ট আদালত-কক্ষ ভরে যায়।
জন ইভান ডেমিয়ানইউ হিটলারের নাৎসি পার্টির কর্মী বা হিটলার সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালে সোভিয়েত সেনাসদস্য হিসেবে সোভিয়েত ক্রিম দ্বীপে ধরা পড়ার পর জার্মানির দখল করা পোল্যান্ডের ট্রেবলিংকার জার্মান এসএস বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে কুখ্যাত সোবিবর ডেথ ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এই ক্যাম্পের প্রহরীরা ১৯৪২ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত ২৯ হাজার বন্দীকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ বন্দীকে জোর করে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
জার্মানির লুদভিনাহাফন শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় আর্কাইভ (যেখানে নাৎসিদের সব অপকর্মের যাবতীয় দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে) থেকে পাওয়া একটি পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই যুদ্ধাপরাধীকে জার্মানিতে ফেরিয়ে আনতে আবেদন করেন মিউনিখের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। পরে এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বছর ১২ মে একটি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স বিমানে করে ইভান ডেমিয়ানইউকে মিউনিখে পৌঁছে দেয়। এর পর থেকেই তাঁকে মিউনিখের জেলে বন্দী করে রাখা হয়। কেন্দ্রীয় আর্কাইভে পাওয়া পরিচয়পত্রে ছবিসহ প্রহরী হিসেবে সোবিবর বন্দিশিবিরে নিয়োগ এবং কাজ করার ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে।
এই যুদ্ধাপরাধী ১৯৫২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন, ১৯৭৫ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৭০ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে হস্তান্তর করে। তাঁকে সে সময় মার্কিন-সোভিয়েত শীতল সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাতে তেমন সাড়া দেয়নি। তবে ১৯৭৬ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্কের একটি স্থানীয় ইউক্রেনীয় পত্রিকা ডেমিয়ানইউর যুদ্ধাপরাধী পরিচয় ফাঁস করে দেয়।
এর আগে ১৯৮৮ সালে এই যুদ্ধাপরাধীকে ইসরায়েলের দাবির মুখে সেখানে পাঠানো হয় এবং তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ইসরায়েলের বিচারিক প্রক্রিয়ার ফাঁক গলিয়ে মুক্ত হয়ে ১৯৯৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ফেরত যান এবং পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
সোমবার মিউনিখের আদালতে বিচারের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নাৎসি আমলের পরিচয়পত্রটি পেশ করেন। অন্যদিকে ডেমিয়ানইউর আইনবিদ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল জীবনের হুমকির মুখে জার্মান বাহিনীর আদেশ পালন করেছেন মাত্র। কিন্তু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা সোবিবর ক্যাম্পে নিহত ১৯টি পরিবারের সদস্যরা এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য বলে জানিয়েছেন।
ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে এই ৮৯ বছর বয়স্ক যুদ্ধাপরাধীকে চিকিত্সকেরা আদালতে তিন ঘণ্টার বেশি উপস্থিত না রাখার অনুরোধ করেছেন।
জন ইভান ডেমিয়ানইউর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধী মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে জার্মান যুদ্ধাপরাধ আইন অনুযায়ী তাঁর বয়স বিবেচনায় ১৫ বছর জেল হতে পারে।
হুইলচেয়ারে বসে নীল কম্বল গায়ে চাপিয়ে এই যুদ্ধাপরাধী মিউনিখের আদালতে পৌঁছানোর অনেক আগেই ১৫০ আসনবিশিষ্ট আদালত-কক্ষ ভরে যায়।
জন ইভান ডেমিয়ানইউ হিটলারের নাৎসি পার্টির কর্মী বা হিটলার সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালে সোভিয়েত সেনাসদস্য হিসেবে সোভিয়েত ক্রিম দ্বীপে ধরা পড়ার পর জার্মানির দখল করা পোল্যান্ডের ট্রেবলিংকার জার্মান এসএস বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে কুখ্যাত সোবিবর ডেথ ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এই ক্যাম্পের প্রহরীরা ১৯৪২ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত ২৯ হাজার বন্দীকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ বন্দীকে জোর করে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
জার্মানির লুদভিনাহাফন শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় আর্কাইভ (যেখানে নাৎসিদের সব অপকর্মের যাবতীয় দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে) থেকে পাওয়া একটি পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই যুদ্ধাপরাধীকে জার্মানিতে ফেরিয়ে আনতে আবেদন করেন মিউনিখের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি। পরে এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বছর ১২ মে একটি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স বিমানে করে ইভান ডেমিয়ানইউকে মিউনিখে পৌঁছে দেয়। এর পর থেকেই তাঁকে মিউনিখের জেলে বন্দী করে রাখা হয়। কেন্দ্রীয় আর্কাইভে পাওয়া পরিচয়পত্রে ছবিসহ প্রহরী হিসেবে সোবিবর বন্দিশিবিরে নিয়োগ এবং কাজ করার ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে।
এই যুদ্ধাপরাধী ১৯৫২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন, ১৯৭৫ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৭০ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে হস্তান্তর করে। তাঁকে সে সময় মার্কিন-সোভিয়েত শীতল সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাতে তেমন সাড়া দেয়নি। তবে ১৯৭৬ সালের গ্রীষ্মে নিউইয়র্কের একটি স্থানীয় ইউক্রেনীয় পত্রিকা ডেমিয়ানইউর যুদ্ধাপরাধী পরিচয় ফাঁস করে দেয়।
এর আগে ১৯৮৮ সালে এই যুদ্ধাপরাধীকে ইসরায়েলের দাবির মুখে সেখানে পাঠানো হয় এবং তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ইসরায়েলের বিচারিক প্রক্রিয়ার ফাঁক গলিয়ে মুক্ত হয়ে ১৯৯৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ফেরত যান এবং পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
সোমবার মিউনিখের আদালতে বিচারের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নাৎসি আমলের পরিচয়পত্রটি পেশ করেন। অন্যদিকে ডেমিয়ানইউর আইনবিদ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল জীবনের হুমকির মুখে জার্মান বাহিনীর আদেশ পালন করেছেন মাত্র। কিন্তু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা সোবিবর ক্যাম্পে নিহত ১৯টি পরিবারের সদস্যরা এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য বলে জানিয়েছেন।
ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে এই ৮৯ বছর বয়স্ক যুদ্ধাপরাধীকে চিকিত্সকেরা আদালতে তিন ঘণ্টার বেশি উপস্থিত না রাখার অনুরোধ করেছেন।
জন ইভান ডেমিয়ানইউর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধী মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে জার্মান যুদ্ধাপরাধ আইন অনুযায়ী তাঁর বয়স বিবেচনায় ১৫ বছর জেল হতে পারে।
No comments