মনে রাখতে হবে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা -বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে প্রতিবছরই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে থাকে। এ বছর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে, তাঁদের দুর্ভোগ ও হয়রানির অবসান হবে। নির্ধারিত সময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ও ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিপত্তি দেখা গেল ভর্তি ফি নিয়ে। প্রায় প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজই অস্বাভাবিক ভর্তি ফি দাবি করায় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।
অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তা-ও নেই। তার পরও বছর বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ও বেতন বাড়ানোর কী যুক্তি থাকতে পারে? এবার ভর্তি ফি ও বেতন বেঁধে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছাতে পারা দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তি ফি ও বেতন বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে মেডিকেল কলেজের মালিকেরা ভর্তুকি দাবি করেন। একদিকে সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি, অন্যদিকে ডোনেশনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় কেবল অযৌক্তিক নয়, বেআইনিও। সরকারও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার না দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকদের অন্যায় আবদারের কাছে নতি স্বীকার করল।
গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো এ বছর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ভর্তি ফি বাড়িয়েছে। গত বছর যে মেডিকেল কলেজ ১০ লাখ টাকা ভর্তি ফি নিয়েছিল, এবার দাবি করছে ১২ লাখ টাকা। সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে পাঁচ বছরের কোর্স শেষ করতে গুনতে হবে ২০ লাখ টাকারও বেশি। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে পড়াশোনা চালানো কয়জনের পক্ষেই বা সম্ভব? বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন বরাবরই ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপযুক্ত শিক্ষক নেই অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য আড়াই শ শয্যার হাসপাতাল থাকার বাধ্যবাধকতাও তারা মানছে না।
এ ক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকদের পক্ষ থেকে যেসব যুক্তি তোলা হচ্ছে তাও ধোপে টেকে না। ৩৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একটিও লোকসানের দায়ে বন্ধ হয়েছে এমন নজির নেই; বরং উদ্যোক্তাদের গাফিলতির কারণে বহু মেডিকেল শিক্ষার্থীর পড়াশোনাও ব্যাহত হয়েছে। আমরা মনে করি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা দরকার। ব্যবসার পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাটি ভুলে গেলে চলবে না। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বর্ধিত ভর্তি ফি ও বেতন আদায় থেকে বিরত থাকবে বলে আশা করি। এ ক্ষেত্রে সরকারেরও কিছু করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি।
অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তা-ও নেই। তার পরও বছর বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ও বেতন বাড়ানোর কী যুক্তি থাকতে পারে? এবার ভর্তি ফি ও বেতন বেঁধে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছাতে পারা দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তি ফি ও বেতন বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে মেডিকেল কলেজের মালিকেরা ভর্তুকি দাবি করেন। একদিকে সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি, অন্যদিকে ডোনেশনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় কেবল অযৌক্তিক নয়, বেআইনিও। সরকারও শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার না দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকদের অন্যায় আবদারের কাছে নতি স্বীকার করল।
গতকাল প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো এ বছর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ভর্তি ফি বাড়িয়েছে। গত বছর যে মেডিকেল কলেজ ১০ লাখ টাকা ভর্তি ফি নিয়েছিল, এবার দাবি করছে ১২ লাখ টাকা। সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে পাঁচ বছরের কোর্স শেষ করতে গুনতে হবে ২০ লাখ টাকারও বেশি। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে পড়াশোনা চালানো কয়জনের পক্ষেই বা সম্ভব? বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মান নিয়ে প্রশ্ন বরাবরই ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপযুক্ত শিক্ষক নেই অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য আড়াই শ শয্যার হাসপাতাল থাকার বাধ্যবাধকতাও তারা মানছে না।
এ ক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকদের পক্ষ থেকে যেসব যুক্তি তোলা হচ্ছে তাও ধোপে টেকে না। ৩৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একটিও লোকসানের দায়ে বন্ধ হয়েছে এমন নজির নেই; বরং উদ্যোক্তাদের গাফিলতির কারণে বহু মেডিকেল শিক্ষার্থীর পড়াশোনাও ব্যাহত হয়েছে। আমরা মনে করি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা দরকার। ব্যবসার পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাটি ভুলে গেলে চলবে না। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বর্ধিত ভর্তি ফি ও বেতন আদায় থেকে বিরত থাকবে বলে আশা করি। এ ক্ষেত্রে সরকারেরও কিছু করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি।
No comments