চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫.৭%: সিটি
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছর অর্থনীতিতে গতিময়তা বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটিগ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্লোবাল মার্কেটসের এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সুশাসন সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ছয় শতাংশের ওপর রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
শিল্প উত্পাদন ও সেবা খাতের অগ্রগতির প্রবণতাকে বিবেচনায় নিয়ে সিটি মনে করছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। এর মধ্যে আছে নির্মাণ, বিদ্যুত্ ও ম্যানুফ্যাকচারিং। সার্বিকভাবে শিল্প খাতের অগ্রগতি থেকে এটা বলা যায়, প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত হার অর্জিত হবে।
তবে প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, কৃষি উত্পাদনে আকস্মিক বিপর্যয়, সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি এবং পোশাক রপ্তানি চাহিদায় মন্দাভাবের কারণে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিম্নগতি বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে সামনের দিনগুলোয় রপ্তানিতে বড় ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো আভাস মিলছে না। তবে কাঠামোগত সংস্কার ও শ্রম আইনে সংশোধনের কারণে রপ্তানি খাত সুফল পেতে পারে।
তাই চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। তবে ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ জোরালো থাকলেও আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা সংকুচিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর তা জিডিপির আড়াই শতাংশ থেকে কমে আগামী অর্থবছরে তা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ হতে পারে। প্রতিবেদনে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও দুর্বল হয়ে চলতি অর্থবছর শেষে প্রতি ডলার ৭১ টাকা ৬০ পয়সায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিটির বিশ্লেষণে রাজস্ব খাতের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার চলতি অর্থবছর বাজেট ঘাটতির হার জিডিপির ৫ শতাংশ ধরে রাখতে পারবে। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বদলে বরং উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শঙ্কা রয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি উত্পাদনকে ব্যাহত করবে না—এই অনুমানের ভিত্তিতে সিটি মনে করছে, মূল্যস্ফীতির হার চলতি অর্থবছর গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশে থাকবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্কলনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলেও সিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর জরুরি অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন থাকার পর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে বিরাট জয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রত্যাশা করি যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ণ মেয়াদ (২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ক্ষমতায় থাকবে।’ এটা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার জন্য ভালো বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটিগ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্লোবাল মার্কেটসের এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সুশাসন সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ছয় শতাংশের ওপর রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
শিল্প উত্পাদন ও সেবা খাতের অগ্রগতির প্রবণতাকে বিবেচনায় নিয়ে সিটি মনে করছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। এর মধ্যে আছে নির্মাণ, বিদ্যুত্ ও ম্যানুফ্যাকচারিং। সার্বিকভাবে শিল্প খাতের অগ্রগতি থেকে এটা বলা যায়, প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত হার অর্জিত হবে।
তবে প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, কৃষি উত্পাদনে আকস্মিক বিপর্যয়, সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি এবং পোশাক রপ্তানি চাহিদায় মন্দাভাবের কারণে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিম্নগতি বড় ধরনের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে সামনের দিনগুলোয় রপ্তানিতে বড় ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো আভাস মিলছে না। তবে কাঠামোগত সংস্কার ও শ্রম আইনে সংশোধনের কারণে রপ্তানি খাত সুফল পেতে পারে।
তাই চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। তবে ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ জোরালো থাকলেও আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা সংকুচিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর তা জিডিপির আড়াই শতাংশ থেকে কমে আগামী অর্থবছরে তা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ হতে পারে। প্রতিবেদনে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও দুর্বল হয়ে চলতি অর্থবছর শেষে প্রতি ডলার ৭১ টাকা ৬০ পয়সায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিটির বিশ্লেষণে রাজস্ব খাতের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার চলতি অর্থবছর বাজেট ঘাটতির হার জিডিপির ৫ শতাংশ ধরে রাখতে পারবে। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বদলে বরং উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শঙ্কা রয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি উত্পাদনকে ব্যাহত করবে না—এই অনুমানের ভিত্তিতে সিটি মনে করছে, মূল্যস্ফীতির হার চলতি অর্থবছর গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশে থাকবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্কলনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলেও সিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর জরুরি অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন থাকার পর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে বিরাট জয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রত্যাশা করি যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ণ মেয়াদ (২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ক্ষমতায় থাকবে।’ এটা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার জন্য ভালো বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
No comments