বুদ্ধিমত্তায় আইনস্টাইন, হকিংকে টপকে গেল ১০ বছরের কৃষ অরোরা
বয়স মাত্র ১০ বছর। অথচ বুদ্ধিতে সে হারিয়ে দিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় লোকেদের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বৃটিশ কিশোরের আইকিউ ১৬২, যা আইনস্টাইন-হকিংয়ের থেকেও বেশি। আইনস্টাইন এবং স্টিফেন হকিংয়ের আইকিউ ১৬০। বিশ্বের সবথেকে বুদ্ধিমান ১ শতাংশ মানুষের মধ্যে উঠে এলো কৃষের নাম। এই বিস্ময় বালকের নাম কৃষ অরোরা। বর্তমানে সে বৃটেনের বাসিন্দা। মানব ক্যালকুলেটর বলা চলে তাকে। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই বিষয়টি নজরে আসে। টপাটপ অঙ্ক করতে পারে ওই খুদে। ওই বয়সেই দশমিকের অঙ্ক কষতে সময় লাগত মাত্র এক সেকেন্ড। বয়স যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বুদ্ধি। কৃষ অঙ্কে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। ১১টিরও বেশি পরীক্ষা দিয়েছে সে, সব পরীক্ষাই তার কাছে খুব সহজ বলে মনে হয়েছে। বয়স আন্দাজে প্রাথমিক স্কুলে পড়লেও, সেই পড়াশোনা খুবই ‘বোরিং’ লাগে তার কাছে। তাই সেপ্টেম্বর মাস থেকে সে কুইন এলিজাবেথ স্কুলে ভর্তি হতে চলেছে। পশ্চিম লন্ডনের বাসিন্দা কৃষ শুধু পড়াশোনার দিক থেকেই এগিয়ে নয়, দারুণ গানও গায় সে। পিয়ানো বাজানোতেও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সে। ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিকের ‘হল অব ফেমে’ও জায়গা পেয়েছে সে। আশ্চর্যের বিষয়, গান গাওয়া বা পিয়ানো বাজানোর জন্য ওর মিউজিক শিটের প্রয়োজন পড়ে না। একবার দেখলেই সবকিছু বইয়ের পাতার মতো মগজে গেঁথে যায়। কৃষের বাবা মা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অল্প বয়সেই ছেলের এমন প্রতিভা দেখে তারা দাবার প্রশিক্ষক রাখেন ছেলের জন্য। মাত্র চার মাস সময় লেগেছিল সেটা শিখতে। এরপর সেই দাবা প্রশিক্ষকই কৃষের কাছে আর জিততে পারেন না দাবা খেলায়। বাবা মায়ের আশা ছেলে বড় হয়ে একজন গণিতবিদ হবে । বর্তমানে কৃষ পড়ছে সেখানকার সেরা স্কুল কুইন এলিজাবেথে। কিন্তু তা নিয়ে তার বক্তব্য, এখন ক্লাসে শুধু যোগ আর গুণ শেখানো হয়। তার চাই বড়দের অঙ্ক।
সূত্র : wionews
No comments