যুক্তরাষ্ট্রের এখন কি হবে?
বর্ধিত
বাজেট নিয়ে সিনেটে উত্থাপিত একটি বিল পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ায়
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে জরুরিভাবে
প্রয়োজনীয় নয় কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অনেক কর্মীকে অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ অনেক দফতরও বন্ধ হয়ে যাবে বলে
জানিয়েছে রয়টার্স। তবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ চলবে, যার
মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক, বিমান চলাচল, হাসপাতালে রোগীদের সেবা,
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কারাগার, কর বিভাগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম।
কর্মীদের মধ্যে কারা কারা ছুটিতে যাচ্ছেন তা শিগগিরই জানা যেতে পারে বলে
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়। ২৬ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে
যাওয়ার আগে এ সপ্তাহেই তারা শেষবারের মতো বেতন পাবেন। কতদিন ধরে এ
অচলাবস্থা চলবে তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে ১৬ দিনের
অচলাবস্থায় আট লাখের বেশি কর্মীকে অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হয়েছিল। এর আগে বিল
ক্লিনটন শাসনামলে ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ২১ দিন অচল ছিল প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এর আগে এ ধরনের ঘটনায় ছুটিতে যাওয়া কর্মীদের সামান্য ভর্তুকি দেয়ার
প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল কংগ্রেস। ট্রাম্প প্রশাসনও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে
পারে বলে শুক্রবার জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সরকারের অচলাবস্থার
কারণে আফগানিস্তানে যুদ্ধ এবং ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট
(আইএস) বিরোধী লড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে। সামরিক বাহিনীতে নিয়োজিত বেসামরিকদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে
হতে পারে।
No comments