বেহালার সুরে মোহনীয় সন্ধ্যা
বেহালায় ধ্রুপদ, রবীন্দ্রসংগীত, রজনীকান্ত ও আধুনিক গানের সুর শুনিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন ভায়োলিনিস্টি চট্টগ্রামের শিল্পীরা। ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংগঠনের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এই আসরের। সংগঠনের উপদেষ্টা রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ আনোয়রা আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বড়ুয়া। আসরের সঞ্চালনা করেন প্রবীর পাল। কথামালায় বক্তারা বলেন, সব দেশেই সৃষ্টিশীল মানুষরা বেহালার প্রতি অনুরাগী। আর এই সুরেলা যন্ত্রের চর্চা যত বেশি হবে ততই যুব সমাজ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার দিকে আকৃষ্ট হবে। সুরের আয়োজন শুরু হয় সংগঠনের শিল্পীদের সমবেত ইমন রাগ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর শিল্পীরা বেহালায় রবীন্দ্রনাথের প্রার্থনা পর্বের গান ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও’ বাজিয়ে শোনান। সমবেত বাদনের পর বেহালায় দ্বৈতভাবে রাগ যোগ ও রাগ পাহাড়ি খাম্বাজ বাজান হোমায়রা আফরাঈম ও আনিলা নওশীন। তাঁদের পর স্নিগ্ধা দেব বাজিয়ে শোনান ‘মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতাল’ গানটি।
তন্ময় সরকার ‘একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’ ও ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ দুটি গান। আসরে দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে শোনান আনিলা নওশীন, রওনাক ইবতিসামা চৌধুরী ও সাজ্জাদুল ইসলাম। নাবিলা নুসরাত, পর্ণা বড়ুয়া ও রাহেলা রিজওয়ানা চৌধুরী পরিবেশন করেন বেশ কয়েকটি পুরোনো দিনের গান। সবশেষে শিল্পীরা পরিবেশন করে রাগ খাম্বাজ। শিল্পীদের তবলায় ত্রিদীব বৈদ্য ও প্রান্ত ভট্টাচার্য, কি-বোর্ডে সুজন ও পারকিউশনে ফারুক আহমেদ সহযোগিতা করেন।
No comments