ক্ষমতার লড়াইয়ে শশীকলা ও পনিরসেলভাম
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সদ্য পদত্যাগ করা মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভাম ও তাঁর উত্তরসূরি শশীকলা নটরাজন মুখোমুখি অবস্থানে। দলের এক বৈঠকের পর গত রোববার পদত্যাগ করা পনিরসেলভাম বলেছেন, পদত্যাগ করতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি তাঁকে পদে বহাল রাখতে ‘আস্থা ভোট’ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে শশীকলা বলেছেন, দলের মধ্যে কোনো বিদ্রোহ সহ্য করা হবে না। পনিরসেলভাম গত মঙ্গলবার রাতে জয়ললিতার সমাধিস্থলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে বলেন, জয়ললিতাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। অথচ রোববার তাঁকে না জানিয়ে বিধায়কদের সভা ডাকা হয়। সেখানে শশীকলা ও অন্যদের চাপে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পনিরসেলভাম বলেন, জয়ললিতার অসুস্থতার সময় তাঁকে একবারও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য শশীকলাকে দায়ী করেন তিনি। গতকাল বুধবার পনিরসেলভাম জানিয়েছেন, জয়ললিতার মৃত্যুর কারণ জানতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে জনগণ ও এআইএডিএমকের নেতা-কর্মীদের মনোভাব জানা হবে। হাসপাতালে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাঁর সঙ্গে কে দেখা করতে পারবেন, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলাই সে সিদ্ধান্ত নিতেন। চলতি সপ্তাহেই এক সংবাদ সম্মেলনে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা জয়ললিতার দেহে বিষক্রিয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, হৃদ্রোগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে শশীকলা গতকাল সকালে তাঁর বাড়িতে দলীয় বিধায়কদের সভা ডেকেছিলেন। তাতে দলের ১৩৪ জন বিধায়কের প্রায় সবাই যোগ দেন। এখন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও মুম্বাই থেকে তামিলনাড়ু ফেরার পর জানা যাবে পনিরসেলভাম আস্থা ভোটের সুযোগ পাবেন কি না। রোববার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। রাজ্যপাল না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারছেন না শশীকলাও। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যাসাগর রাও। সেই কাজেই মুম্বাই গেছেন তিনি।
No comments