ওপারে মা, এপারে ছেলে, মাঝখানে কাঁটাতার by শহীদুল ইসলাম
কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত দুদেশের স্বজনেরা। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
ওপারের (ভারত) স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা |
ওপারে
(ভারতে) মা সিতুমণি, এপারে (বাংলাদেশে) ছেলে বিশ্বনাথ। দুজনের মাঝে বাধা
কেবল একটি কাঁটাতারের বেড়া। দূরত্ব দুই-তিন হাতের বেশি নয়। দুপাশে দুজন
দাঁড়িয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলছেন। দুজনেরই চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে
পড়ছে। বিশ্বনাথের মা চোখে দেখতে পান না, তবে কথা বলতে পারেন। তাই দূর থেকে
ছেলের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
বিশ্বনাথের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়ায়। বয়স ৭৫ পার হয়েছে। উপজেলার অমরখানা সীমান্তে ৭৪৩ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে আজ মঙ্গলবার সকালে এসেছেন তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। মায়ের বয়স ১০০ পার হয়েছে। থাকেন ভারতের দার্জিলিং জেলার আফছা গ্রামে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আজ সকালে তিনিও অমরখানা সীমান্তে এসেছেন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে। বিশ্বনাথ বললেন, ‘ওপারে যেতে পারি না, তাই প্রতি নববর্ষে মায়ের সঙ্গে দেখা হয়।’ এবারও এসেছেন তিনি। মায়ের আশীর্বাদও নিয়েছেন।
কেবল বিশ্বনাথ নয়, দুদেশের কয়েক হাজার মানুষ নববর্ষ উপলক্ষে হাজির হন সীমান্তে। অমরখানা সীমান্তে ৭৪৩,৭৪৪ ও ৭৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের মাঝে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে দুদেশের মানুষের মিলনমেলা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে এ মিলনমেলা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির তানজিনা দেখা করতে এসেছেন তাঁর বোন পঞ্চগড়ের তাসলিমা বেগমের সঙ্গে। এ সময় দুবোনের চোখেই জল দেখা যায়। দুজন দুজনের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
সীমান্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উভয় দেশের মানুষ যাঁরা অর্থাভাবে পাসপোর্ট বা ভিসা করতে পারেন না, তাঁরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। বাংলা নববর্ষে তাঁরা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এসে জড়ো হন। স্বজনদের মিলন আর দুই দেশের অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে এখানে এক আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়ার এপারে কয়েক হাজার বাংলাদেশি, ওপারে কয়েক হাজার ভারতীয় বাঙালি জড়ো হন। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন, কুশলাদি বিনিময় করছেন। কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিস্কুট, চানাচুর, ইলিশ মাছ, উপহারসামগ্রী আর সিগারেটের প্যাকেট ছুড়ে দেন একে অপরকে। কেউবা আত্মীয়স্বজনকে দেওয়ার জন্য কোমল পানীয়র বোতল ছুড়ে মারেন। স্বজন ও পরিচিতদের দেখে অনেকে আবেগে কেঁদে ফেলেন। এ কান্না বিরহের নয়, মিলনের।
স্থানীয় মানুষ আরও জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তাঁদের অনেক আত্মীয়স্বজন ভারতীয় অংশে পড়ে যান। ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তাঁরা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অলিখিত সম্মতিতে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষে সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে দেখাসাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক জানান, উভয় দেশের মানুষের অনুরোধে এবং বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে জিরো লাইনে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দুদেশের মানুষের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বনাথের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়ায়। বয়স ৭৫ পার হয়েছে। উপজেলার অমরখানা সীমান্তে ৭৪৩ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে আজ মঙ্গলবার সকালে এসেছেন তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। মায়ের বয়স ১০০ পার হয়েছে। থাকেন ভারতের দার্জিলিং জেলার আফছা গ্রামে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আজ সকালে তিনিও অমরখানা সীমান্তে এসেছেন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে। বিশ্বনাথ বললেন, ‘ওপারে যেতে পারি না, তাই প্রতি নববর্ষে মায়ের সঙ্গে দেখা হয়।’ এবারও এসেছেন তিনি। মায়ের আশীর্বাদও নিয়েছেন।
কেবল বিশ্বনাথ নয়, দুদেশের কয়েক হাজার মানুষ নববর্ষ উপলক্ষে হাজির হন সীমান্তে। অমরখানা সীমান্তে ৭৪৩,৭৪৪ ও ৭৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের মাঝে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে দুদেশের মানুষের মিলনমেলা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে এ মিলনমেলা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির তানজিনা দেখা করতে এসেছেন তাঁর বোন পঞ্চগড়ের তাসলিমা বেগমের সঙ্গে। এ সময় দুবোনের চোখেই জল দেখা যায়। দুজন দুজনের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
সীমান্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উভয় দেশের মানুষ যাঁরা অর্থাভাবে পাসপোর্ট বা ভিসা করতে পারেন না, তাঁরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। বাংলা নববর্ষে তাঁরা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এসে জড়ো হন। স্বজনদের মিলন আর দুই দেশের অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে এখানে এক আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়ার এপারে কয়েক হাজার বাংলাদেশি, ওপারে কয়েক হাজার ভারতীয় বাঙালি জড়ো হন। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন, কুশলাদি বিনিময় করছেন। কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিস্কুট, চানাচুর, ইলিশ মাছ, উপহারসামগ্রী আর সিগারেটের প্যাকেট ছুড়ে দেন একে অপরকে। কেউবা আত্মীয়স্বজনকে দেওয়ার জন্য কোমল পানীয়র বোতল ছুড়ে মারেন। স্বজন ও পরিচিতদের দেখে অনেকে আবেগে কেঁদে ফেলেন। এ কান্না বিরহের নয়, মিলনের।
স্থানীয় মানুষ আরও জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তাঁদের অনেক আত্মীয়স্বজন ভারতীয় অংশে পড়ে যান। ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তাঁরা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অলিখিত সম্মতিতে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষে সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে দেখাসাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক জানান, উভয় দেশের মানুষের অনুরোধে এবং বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে জিরো লাইনে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দুদেশের মানুষের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
No comments