সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দায়িত্ব শেষ
বরগুনার
খাকদোন নদের ওপর লাকুরতলা সেতুটির কয়েকটি খুঁটি ভেঙে ও বেঁকে যাওয়ায়
সেতুটির মাঝ বরাবর দেবে গেছে। স্থানীয় সরকারপ্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)
সেতুর দুই পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। এর পরও প্রতিদিন
অসংখ্য মানুষ ও হালকা যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
বরগুনা শহরের কাঁচাবাজার ও উত্তর পাড়ে পরিচর্যা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রাম অবস্থিত। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, লাকুরতলা সেতুটি লোহার খুঁটি দিয়ে তৈরি। এর পাটাতন সিমেন্টের। সেতুটির লোহার খুঁটি ও অ্যাঙ্গেলগুলোর বেশির ভাগ বেঁকে গেছে, কয়েকটি ভেঙেও গেছে। এতে সেতুটি মাঝ বরাবর দেবে যায়। দুই পাশে সেতু ব্যবহার না করার নির্দেশসংবলিত সাইনবোর্ড থাকলেও কেউ তা মানছে না। মানুষের পাশাপাশি ভ্যান, সাইকেলসহ নানা হালকা যানবাহনও চলাচল করছে। এলাকার লোকজনের আশঙ্কা, যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাতজন এলাকাবাসী জানান, এই সেতুটি জেলা শহরের সঙ্গে গৌরীচন্না, ফুলঝুঁরি ও বদরখালীর ইউনিয়নের মানুষের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। পাশের বামনা ও বেতাগী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ এ সেতু প্রতিদিন ব্যবহার করে। খাজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা ও বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পারাপার হয়। এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার আছে বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থী।
লাকুরতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, ছয় মাস আগে এই সেতুর অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। এখন কোনো হালকা যানবাহন চলাচল করলে সেতুটি দুলে ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির নাজুক অবস্থা চললেও এর সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ শুধু সাইনবোর্ড দিয়েই তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছে।
এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৭৩ দশমিক ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৩০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২০১২ সালের শেষ দিকে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু মাস যেতে না যেতে এটি পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, জেলা শহরের সঙ্গে খাকদোন নদের উত্তর পাড়ের প্রায় তিন লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি সংস্কারের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পায়রা-বিষখালী নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে খাকদোন নদ খনন করে চায়। এটা করতে হলে সেতুটি উঁচু করতে হবে। কিন্তু দুই পাশে সেতুর সংযোগসড়ক নির্মাণ করার জায়গা নেই। এলজিইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল জায়গাটি পরিদর্শনে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
বরগুনা শহরের কাঁচাবাজার ও উত্তর পাড়ে পরিচর্যা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রাম অবস্থিত। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, লাকুরতলা সেতুটি লোহার খুঁটি দিয়ে তৈরি। এর পাটাতন সিমেন্টের। সেতুটির লোহার খুঁটি ও অ্যাঙ্গেলগুলোর বেশির ভাগ বেঁকে গেছে, কয়েকটি ভেঙেও গেছে। এতে সেতুটি মাঝ বরাবর দেবে যায়। দুই পাশে সেতু ব্যবহার না করার নির্দেশসংবলিত সাইনবোর্ড থাকলেও কেউ তা মানছে না। মানুষের পাশাপাশি ভ্যান, সাইকেলসহ নানা হালকা যানবাহনও চলাচল করছে। এলাকার লোকজনের আশঙ্কা, যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাতজন এলাকাবাসী জানান, এই সেতুটি জেলা শহরের সঙ্গে গৌরীচন্না, ফুলঝুঁরি ও বদরখালীর ইউনিয়নের মানুষের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। পাশের বামনা ও বেতাগী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ এ সেতু প্রতিদিন ব্যবহার করে। খাজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা ও বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পারাপার হয়। এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার আছে বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থী।
লাকুরতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, ছয় মাস আগে এই সেতুর অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। এখন কোনো হালকা যানবাহন চলাচল করলে সেতুটি দুলে ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির নাজুক অবস্থা চললেও এর সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ শুধু সাইনবোর্ড দিয়েই তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছে।
এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৭৩ দশমিক ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৩০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২০১২ সালের শেষ দিকে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু মাস যেতে না যেতে এটি পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, জেলা শহরের সঙ্গে খাকদোন নদের উত্তর পাড়ের প্রায় তিন লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি সংস্কারের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পায়রা-বিষখালী নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে খাকদোন নদ খনন করে চায়। এটা করতে হলে সেতুটি উঁচু করতে হবে। কিন্তু দুই পাশে সেতুর সংযোগসড়ক নির্মাণ করার জায়গা নেই। এলজিইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল জায়গাটি পরিদর্শনে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
No comments