জেড ক্যাটাগরির দুষ্ট কোম্পানি পুঁজিবাজারে কারসাজি করছে- সংসদে অর্থমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক সচরাচর অনুদান দেয় না। তবে এখান থেকে খুব সসত্মায় টাকা পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে। ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য মাত্র দশমিক ৭৫% সুদে প্রাপ্ত ৩ হাজার ২শ' মিলিয়ন ডলারের মধ্যে এই ৩১টি প্রকল্পের বিপরীতে ডিসেম্বর পর্যনত্ম ৬শ' মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের ৰেত্রেই বিশ্বব্যাংকের সামান্য কিছু শর্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ তথ্য জানান। সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে নিট বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এসেছে ৫ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এ সময়ে বিভিন্ন দাতাদেশ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে ৯ হাজার ৬৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা টাকা ছাড় হয়েছে। একই সময়ে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গরিব ও প্রানত্মিক চাষীদের কৃষি ঋণ পেতে অনেক স্থান থেকেই হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ আসে। সরকার হয়রানি বন্ধে নানা পদৰেপ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে সারাদেশেই গরিব ও প্রানত্মিক চাষীরা ১০ টাকা দিয়েও ব্যাংকে নিজস্ব এ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ঋণ প্রদানে ও চুরি-চামারি বন্ধেও প্রচেষ্টা চলছে।
সরকারী দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সুদ মুক্ত ঋণ দেয়া কোন ব্যাংকের পৰে দেয়া অসম্ভব। তবে কৃষকদের কাছে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ পৌঁছে দিতে নানা কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। প্রতিটি সরকারী ব্যাংক ছাড়াও বেসরকারী ব্যাংকগুলোকেও কৃষি ঋণ বিতরণে কিছু বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে। এতে কৃষি ঋণ বিতরণের টার্গেট পূরণ হচ্ছে।
সংসদ সদস্য আবু জাহিরের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, সারাদেশে ব্যাপক আত্ম-কর্মসংস্থানের লৰ্যে এবার কর্মসংস্থান ব্যাংকের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে। আগে এই ব্যাংকের অনুমোদিত মূল ছিল ৩০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ১৪০ কোটি টাকা। মাত্র কিছুদিন আগে সরকার তা বাড়িয়ে অনুমোদিত মুলধন ২২শ' কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন করা হয়েছে ৩শ' কোটি টাকা।
No comments