শুরু করলেন শোয়েনস্টাইগার
চার বছর আগে স্নায়ুক্ষরা কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের ‘মারমুখী’ আচরণ দেখেছিলেন। বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার বলছেন, চার বছর পরও আর্জেন্টিনার নাকি স্বভাব পাল্টায়নি। মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কিংবা রেফারিদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান আর্জেন্টিনা দেখায় না বলেই অভিযোগ এই জার্মান মিডফিল্ডারের।
‘আমি খেয়াল করে দেখেছি মাঠে আর্জেন্টাইনরা যে আচরণ করে, রেফারির উদ্দেশে ওদের যা ভাবভঙ্গি, সেটি মোটেও সম্মানজনক কিছু নয়’—বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনার শুরুটা এভাবেই করেছেন শোয়েনস্টাইগার। কথার ঝাঁজ বেড়েছে ক্রমান্বয়ে।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি নিজেও ছিলেন। ওই ম্যাচে রবার্তো আয়ালার গোলে ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এমন সময় মিরোস্লাভ ক্লোসা সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। ম্যাচ অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও অনিষ্পন্ন থাকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার। এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসোর শট জার্মান গোলরক্ষক জেন্স লেম্যান ঠেকিয়ে দিলে আর্জেন্টিনার বিদায় নিশ্চিত হয়। এর পরই দুই পক্ষের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় একরকম হাতাহাতি।
শোয়েনস্টাইগারের দাবি, উত্তেজনার বারুদে প্রথম আগুন আর্জেন্টাইনরাই দিয়েছিল, ‘আমাদের এখনো ওই ম্যাচের কথা মনে আছে। পেনাল্টির সময় আমি বেঞ্চে ছিলাম। সেদিনের ম্যাচ সম্পর্কে আমার স্মৃতিতে সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে হাতাহাতির ঘটনা, যেটার শুরু করেছিল আর্জেন্টাইনরাই।’
আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচের উদাহরণ টেনে জার্মানির সহ-অধিনায়ক বলেছেন, আগামীকালের ম্যাচেও আর্জেন্টিনা তাদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। সতীর্থদের তাই তিনি সাবধান করে দিয়েছেন সেই ফাঁদে যেন তারা পা না দেয়, ‘এই ম্যাচ জেতার সব রসদই আমাদের হাতে আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, সেই খেলাটা খেলতে পারলে আমরাই জিতব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ওদের উসকানিতে পাল্টা জবাব বা কোনো রকম সাড়া আমাদের দেওয়া যাবে না। আশা করি, রেফারি তীক্ষ নজরও রাখবেন। মেক্সিকো-আর্জেন্টিনা ম্যাচের সময় যা দেখেছি, সেটি আবারও ঘটতে পারে।’
খেলোয়াড় তো বটেই, আর্জেন্টিনার দর্শকেরাও দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি, ‘তাকালেই দেখবেন, আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা স্টেডিয়ামের একটা জায়গায় জড়ো হয়ে চেঁচামেচি শুরু করে। এখান থেকেই তাদের মানসিকতা আর চরিত্র বোঝা যায়।’
মেসি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাড়াবাড়ি রকমের ফাউলের শিকার হচ্ছেন বলে আর্জেন্টাইন শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে। মেসির প্রতি রেফারির বাড়তি মনোযোগও দাবি করেছেন ম্যারাডোনা। এ ব্যাপারেও সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিল শোয়েনস্টাইগারের কাছে। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক, আপনি যদি বেশিক্ষণ বল পায়ে রাখেন, তা হলে আগে-পরে যেকোনো সময় ফাউলের শিকার তো হবেনই। তবে ইচ্ছে করে প্রতিপক্ষকে আমরা ফাউল করি না। এটি আমাদের চরিত্রের সঙ্গে মানায় না।’
‘আমি খেয়াল করে দেখেছি মাঠে আর্জেন্টাইনরা যে আচরণ করে, রেফারির উদ্দেশে ওদের যা ভাবভঙ্গি, সেটি মোটেও সম্মানজনক কিছু নয়’—বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনার শুরুটা এভাবেই করেছেন শোয়েনস্টাইগার। কথার ঝাঁজ বেড়েছে ক্রমান্বয়ে।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি নিজেও ছিলেন। ওই ম্যাচে রবার্তো আয়ালার গোলে ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এমন সময় মিরোস্লাভ ক্লোসা সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। ম্যাচ অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও অনিষ্পন্ন থাকে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার। এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসোর শট জার্মান গোলরক্ষক জেন্স লেম্যান ঠেকিয়ে দিলে আর্জেন্টিনার বিদায় নিশ্চিত হয়। এর পরই দুই পক্ষের খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় একরকম হাতাহাতি।
শোয়েনস্টাইগারের দাবি, উত্তেজনার বারুদে প্রথম আগুন আর্জেন্টাইনরাই দিয়েছিল, ‘আমাদের এখনো ওই ম্যাচের কথা মনে আছে। পেনাল্টির সময় আমি বেঞ্চে ছিলাম। সেদিনের ম্যাচ সম্পর্কে আমার স্মৃতিতে সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে হাতাহাতির ঘটনা, যেটার শুরু করেছিল আর্জেন্টাইনরাই।’
আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচের উদাহরণ টেনে জার্মানির সহ-অধিনায়ক বলেছেন, আগামীকালের ম্যাচেও আর্জেন্টিনা তাদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। সতীর্থদের তাই তিনি সাবধান করে দিয়েছেন সেই ফাঁদে যেন তারা পা না দেয়, ‘এই ম্যাচ জেতার সব রসদই আমাদের হাতে আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, সেই খেলাটা খেলতে পারলে আমরাই জিতব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ওদের উসকানিতে পাল্টা জবাব বা কোনো রকম সাড়া আমাদের দেওয়া যাবে না। আশা করি, রেফারি তীক্ষ নজরও রাখবেন। মেক্সিকো-আর্জেন্টিনা ম্যাচের সময় যা দেখেছি, সেটি আবারও ঘটতে পারে।’
খেলোয়াড় তো বটেই, আর্জেন্টিনার দর্শকেরাও দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি, ‘তাকালেই দেখবেন, আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা স্টেডিয়ামের একটা জায়গায় জড়ো হয়ে চেঁচামেচি শুরু করে। এখান থেকেই তাদের মানসিকতা আর চরিত্র বোঝা যায়।’
মেসি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাড়াবাড়ি রকমের ফাউলের শিকার হচ্ছেন বলে আর্জেন্টাইন শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে। মেসির প্রতি রেফারির বাড়তি মনোযোগও দাবি করেছেন ম্যারাডোনা। এ ব্যাপারেও সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিল শোয়েনস্টাইগারের কাছে। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক, আপনি যদি বেশিক্ষণ বল পায়ে রাখেন, তা হলে আগে-পরে যেকোনো সময় ফাউলের শিকার তো হবেনই। তবে ইচ্ছে করে প্রতিপক্ষকে আমরা ফাউল করি না। এটি আমাদের চরিত্রের সঙ্গে মানায় না।’
No comments