সামান্য সহানুভূতিও পাচ্ছে না নাইজেরিয়া দল

বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের জন্য নাইজেরিয়া ফুটবল দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন। প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার পর নিশ্চয়ই সহানুভূতি প্রত্যাশা করেছিল নাইজেরিয়ার দল। তবে কারও ন্যূনতম সহানুভূতিটুকুও পাচ্ছে না তারা। ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে এতটাই ক্ষুব্ধ যে সরকার, বিরোধী দল, মিডিয়া, সমর্থক—একই কাতারে দাঁড়িয়েছে সবাই। এবার যেন নাইজেরিয়া দলকে একটা শিক্ষা দিয়েই ছাড়বেন সবাই।
সরকার শেষ পর্যন্ত ফুটবল দলের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে, এটা একটা ভালো লক্ষণ—ফুটবলারদের প্রতি আস্থা হারিয়ে রয়টার্সকে বলছিলেন নাইজেরিয়ার সরকারি কর্মচারী বেঞ্জামিন সিদেব্রে। ৫৪ বছর বয়সী সুরকার ইকুজেনিয়োর ক্ষোভটা যেন আরও বেশি। স্কুলপড়ুয়া ছাত্রদের সঙ্গে নাইজেরিয়ার ফুটবলারদের তুলনা করেছেন তিনি। ইকুজেনিয়ো বলছেন, ‘এ ধরনের খেলা স্কুলের ছেলেরা খেলে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে ফুটবলারদের শুরু করা উচিত।’ আরেক সমর্থক বলছেন, ‘নাইজেরিয়ার ফুটবলারেরা যেভাবে খেলছেন, তাতে নিষেধাজ্ঞাটা আরও বাড়ানো উচিত। সাবেক সামরিক শাসক ক্ষমতায় থাকলে শাস্তিটা একটু বেশিই হতো।’
নাইজেরিয়ার প্রায় সব সংবাদপত্র ফুটবল দলের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছে। তারা মনে করছে, বুড়িয়ে যাওয়া ও ক্লান্ত দলকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্তটি সঠিক। নাইজেরিয়া দলকে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ফিফা। তবে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নাইজেরিয়ার বিরোধী দল অ্যাকশন কংগ্রেস বলছে, ‘ফিফা কী ভাবছে সেটা কোনো বিষয় নয়। নাইজেরিয়া ফুটবলের সোনালি অতীত ফিরে পেতে এ নিষেধাজ্ঞার বিকল্প ছিল না।’

No comments

Powered by Blogger.