তাঁদের চোখে সেরা
ব্রাজিল। এই ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করা কঠিন। অন্যবার ব্রাজিল তিন গোল করলে দুই গোল খেত। এবার ওদের রক্ষণ খুবই জমাট। দুঙ্গা ট্রফির জন্য লালায়িত হয়ে সুন্দর ফুটবল বিসর্জন দিয়েছেন—এমন সমালোচনা থাকলেও ব্রাজিল আসল কাজটা তো করে চলেছে। হ্যাঁ, এটা ঠিক এই ব্রাজিলের খেলায় লাতিন আমেরিকা-ইউরোপ ঘরানা মিশে গেছে এবং অনেকের চোখে তা আগের মতো সুন্দরও নয়। তার পরও ব্রাজিল এখনো ব্রাজিলই।
গোল
ডিয়েগো ফোরলানের। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রায় ৩০-৩৫ গজ দূর থেকে গোলটি করেছিল উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। পরিপূর্ণ একজন স্ট্রাইকারের গোল এটি। বলটা বাঁক খাইয়ে জালে পাঠিয়েছে। ফোরলানের ওই গোলই উরুগুয়েকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে এসেছে। মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার তেভেজের দ্বিতীয় গোলটিও দারুণ। তবে ফোরলানের গোলটিই এক নম্বর।
খেলোয়াড়
ডেভিড ভিয়া। স্ট্রাইকার হলেও দলের স্বার্থে খেলছে উইংয়ে। গোল করে দলকে পার করে নিচ্ছে। স্পেনের কোয়ার্টার ফাইনালে আসার পেছনে ভিয়ার অবদানই ৬০ ভাগ। কদিন আগে আমার কলামে মেসিকে এগিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টাইন তারকাকে টপকে গেছে ভিয়া।
ফ্লপ
ওয়েইন রুনি। আমার কোনো প্রত্যাশাই ছিল না, কিন্তু ইংলিশরা তো আশা করেছে ওর কাছে! সেটিতে ও জল ঢেলে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের ভরসা আসল সময়ে কিছুই করতে পারল না। রুনির নিষ্প্রভ ফুটবল দেখে ইংলিশরা হতাশ, আমিও।
অঘটন
জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ল্যাম্পার্ডের গোলটা না দেওয়া। একটা দল দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ২-২ হলে মনোবল ফিরে আসে। এই সময় পরিষ্কার গোল না পেলে দলের মনোবল আরও ভেঙে যায়। যার প্রভাবে দল ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে এবং ইংল্যান্ড হয়েছেও। স্পেন-সুইজারল্যান্ড ম্যাচকে অনেকে অঘটন বলছেন। কিন্তু আমার চোখে ওটাঅঘটন নয়, এমন হতেই পারে।
মুহূর্ত
পর্তুগালের বিপক্ষে স্পেনের পাসিং ফুটবল। ভিয়া জয়সূচক গোলটি করার আগের দশ মিনিট স্পেনের পাসিং আর আক্রমণাত্মক ফুটবল দারুণ উপভোগ করেছি। রাইট উইংব্যাক সার্জিও রামোসের ওপরে ওঠানামা ভুলি কী করে? যে গতিতে তখন পাসিং চলছিল এবং খেলোয়াড়েরা রিসিভ করছিল, যেন পায়ের সঙ্গে চুম্বক লাগানো আছে!
আপত্তি
জাবুলানি বল। এবারের বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বলটা এত বাঁক নিচ্ছে যে গোলরক্ষকদের পক্ষে এই বল আটকানো কঠিন। দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের ক্যাসিয়াসের মতো গোলরক্ষকের বুক থেকে বল বেরিয়ে গেছে। অনেক বাজে গোল তো হচ্ছেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করা কখনো কখনো প্রায় অসম্ভব। টুর্নামেন্টের আরও এক-দেড় বছর আগে দলগুলোকে এই বল দিলে তারা অভ্যস্ত হতে পারত।
ভবিষ্যদ্বাণী
হল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল জিতবে। শতকরা সম্ভাবনা ব্রাজিল ৬৫, হল্যান্ড ৩৫। আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৫৫, জার্মানি ৪৫। ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচে উরুগুয়ে জিতবে, ৬০-৪০ বলতে পারেন। স্পেন-প্যারাগুয়ে ম্যাচে অবশ্যই স্পেন। স্পেন ৭০, উরুগুয়ে ৩০।
গোল
ডিয়েগো ফোরলানের। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রায় ৩০-৩৫ গজ দূর থেকে গোলটি করেছিল উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। পরিপূর্ণ একজন স্ট্রাইকারের গোল এটি। বলটা বাঁক খাইয়ে জালে পাঠিয়েছে। ফোরলানের ওই গোলই উরুগুয়েকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে এসেছে। মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার তেভেজের দ্বিতীয় গোলটিও দারুণ। তবে ফোরলানের গোলটিই এক নম্বর।
খেলোয়াড়
ডেভিড ভিয়া। স্ট্রাইকার হলেও দলের স্বার্থে খেলছে উইংয়ে। গোল করে দলকে পার করে নিচ্ছে। স্পেনের কোয়ার্টার ফাইনালে আসার পেছনে ভিয়ার অবদানই ৬০ ভাগ। কদিন আগে আমার কলামে মেসিকে এগিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টাইন তারকাকে টপকে গেছে ভিয়া।
ফ্লপ
ওয়েইন রুনি। আমার কোনো প্রত্যাশাই ছিল না, কিন্তু ইংলিশরা তো আশা করেছে ওর কাছে! সেটিতে ও জল ঢেলে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের ভরসা আসল সময়ে কিছুই করতে পারল না। রুনির নিষ্প্রভ ফুটবল দেখে ইংলিশরা হতাশ, আমিও।
অঘটন
জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ল্যাম্পার্ডের গোলটা না দেওয়া। একটা দল দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ২-২ হলে মনোবল ফিরে আসে। এই সময় পরিষ্কার গোল না পেলে দলের মনোবল আরও ভেঙে যায়। যার প্রভাবে দল ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে এবং ইংল্যান্ড হয়েছেও। স্পেন-সুইজারল্যান্ড ম্যাচকে অনেকে অঘটন বলছেন। কিন্তু আমার চোখে ওটাঅঘটন নয়, এমন হতেই পারে।
মুহূর্ত
পর্তুগালের বিপক্ষে স্পেনের পাসিং ফুটবল। ভিয়া জয়সূচক গোলটি করার আগের দশ মিনিট স্পেনের পাসিং আর আক্রমণাত্মক ফুটবল দারুণ উপভোগ করেছি। রাইট উইংব্যাক সার্জিও রামোসের ওপরে ওঠানামা ভুলি কী করে? যে গতিতে তখন পাসিং চলছিল এবং খেলোয়াড়েরা রিসিভ করছিল, যেন পায়ের সঙ্গে চুম্বক লাগানো আছে!
আপত্তি
জাবুলানি বল। এবারের বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বলটা এত বাঁক নিচ্ছে যে গোলরক্ষকদের পক্ষে এই বল আটকানো কঠিন। দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের ক্যাসিয়াসের মতো গোলরক্ষকের বুক থেকে বল বেরিয়ে গেছে। অনেক বাজে গোল তো হচ্ছেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করা কখনো কখনো প্রায় অসম্ভব। টুর্নামেন্টের আরও এক-দেড় বছর আগে দলগুলোকে এই বল দিলে তারা অভ্যস্ত হতে পারত।
ভবিষ্যদ্বাণী
হল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিল জিতবে। শতকরা সম্ভাবনা ব্রাজিল ৬৫, হল্যান্ড ৩৫। আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৫৫, জার্মানি ৪৫। ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচে উরুগুয়ে জিতবে, ৬০-৪০ বলতে পারেন। স্পেন-প্যারাগুয়ে ম্যাচে অবশ্যই স্পেন। স্পেন ৭০, উরুগুয়ে ৩০।
No comments