হারকিউলিসের সামনে সুয়ারেজ

গত বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করার পর ঘানার এক ফুটবলার জার্সি খুলে দেখালেন তাঁর বুকে লেখা, ‘রক অব জিব্রাল্টার’। ঘানায় তাঁকে ওই নামেই ডাকা হতো। ওই নামের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে আরেকটি নাম ‘দ্য পিলার অব হারকিউলিস’।
জন মেনশার নামগুলোর পেছনে সুঠাম দেহ তো একটা ভূমিকা রেখেছেই, তবে এমন নামগুলো সার্থকতা পেয়েছে বছরের পর বছর ধরে ঘানার ডিফেন্সে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। ২০০১ এক সালে ১৯তম জন্মদিনের সাত দিন পর অভিষেক, সেই থেকেই ঘানার ডিফেন্স সামলাচ্ছেন দারুণ আস্থায়। মেনশাকে বলা হয় ঘানা দলটার মেরুদণ্ড। গত বছর দুয়েক দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও তাঁর হাতে। গত দুটি আফ্রিকান নেশনস কাপে ছিলেন সেরা তিন ফুটবলারের একজন। এই বিশ্বকাপে এত কম গোল করেও যে ঘানা আজ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে, এতে বড় অবদান মেনশার নেতৃত্বে ঘানার ডিফেন্সের। এএফপি।
এই ডিফেন্সে চিড় ধরাতে আজ চেষ্টার কোনো কমতি রাখবেন না লুইস সুয়ারেজ। আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে এ মৌসুমে ৪৮ ম্যাচে ৪৯ গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ড নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিলেন, কিন্তু ডাচ লিগ ইউরোপের শীর্ষগুলোর একটি নয় বলে সেভাবে ঠিক আলোচনা হয়নি তাঁকে নিয়ে। কিন্তু আলো ছড়িয়েছেন বড় মঞ্চেও। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তাঁর দুই গোলেই জিতেছে উরুগুয়ে, এর একটি আবার টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। ৪০ বছর পর দলকে সেমিফাইনালে তুলতে আজ আবারও জ্বলে উঠতে হবে সুয়ারেজকে।

No comments

Powered by Blogger.