গ্রিনল্যান্ড নিয়ে উত্তেজনা দখলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র?
উল্লেখ্য, উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপ সফরের সবচেয়ে কম দূরত্বের রুটে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড। ফলে দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এ দ্বীপে আছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক একটি বিশাল স্থাপনা। ট্রাম্পের বড় ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে বিভিন্ন র্যালিতে ঘন ঘন দেখা যায়। নির্বাচনে বড় দায়িত্ব পালন করলেও তিনি গ্রিনল্যান্ডে তার পিতার পরিকল্পনার পক্ষে সফর করবেন না বলে জানিয়েছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিবিসিকে বলেছে, ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড সফরে আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা জানি। এটা মার্কিন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো আনুষ্ঠানিক সফর নয়। এ জন্য তা নিয়ে বাড়তি কোনো মন্তব্য করবে না মন্ত্রণালয়। ওদিকে গ্রিনল্যান্ডে ট্রাম্পের সর্বশেষ হস্তক্ষেপের কয়েক ঘণ্টা পরেই ডেনমার্ক সরকার দ্বীপটির প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েল লান্ড পলসেন এই ব্যয় বৃদ্ধির সময়কে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বলে উল্লেখ করেছেন। সোমবার ডেনমার্কের রাজা দশম ফ্রেডেরিক রয়েল কোট অব আর্মস পরিবর্তন করে গ্রিনল্যান্ড ও ফারো আইল্যান্ডের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। ট্রাম্পের ঘোষণাকে অনেকে তিরস্কার হিসেবেও দেখছেন। কিন্তু এটা হতে পারে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিতর্কিত ইস্যু। নতুন বছরের ভাষণে রাজা ফ্রেডেরিক গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে নববর্ষের ভাষণে ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডকে স্বাধীন করার দিকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই দ্বীপকে অবশ্যই ঔপনিবেশিকতার শেকলমুক্ত করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চাওয়া প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পই নন। প্রথমে এই ধারণা ১৮৬০-এর দশকে মাথায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রু জনসনের। ওদিকে আলাদা এক বক্তব্যে ট্রাম্প সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানিপথ পানামা ক্যানালকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, এই খাল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে।
No comments