ইরান ও রাশিয়ার অব্যাহত সমর্থন পাবে সিরিয়া
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, তিনি তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইরান ও রাশিয়ার কাছ থেকে অব্যাহতভাবে সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। মঙ্গলবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। খবর বিবিসির। সিরিয়ায় চার বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এতে করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সিরীয় সরকারকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধ্য করা হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশার বলছেন, মস্কো ও তেহরান তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু দামেস্ককে পরিত্যাগ করেনি। লেবাননের শিয়া যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মানারকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বাশার যুগান্তকারী কোনো কিছু আসন্ন, এমন প্রত্যাশা না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বহির্বিশ্ব যদি ‘সন্ত্রাসবাদ’কে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে, তাহলেই কেবল চলমান সংঘাতের একটি সমাধান সম্ভব। পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারবিরোধী বিদ্রোহী ও বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠী সবাইকেই ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে সিরিয়া।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে প্রথম সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দেশটির সেনাবাহিনীর অনেকেই পক্ষ ত্যাগ করে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী গড়ে তুললে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই সংঘাতে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এ ছাড়া বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে লড়াই ক্ষেত্রে একের পর এক এলাকা হারিয়ে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী শহর পালমিরার পাশাপাশি ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকার কৌশলগত কিছু এলাকা। তবে প্রেসিডেন্ট বাশারের কণ্ঠে নমনীয়তার কোনো লক্ষণ নেই। চার বছরের এই সংঘাতের ইতি ঘটাতে জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক দূত স্টেফান ডি মুস্তারা বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি সবাইকে আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করছেন। তবে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাশার জাতিসংঘ দূতকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে বর্ণনা করেন। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, সিরীয় সংঘাতের ইতি ঘটাতে প্রেসিডেন্ট বাশারকে ‘নিরপেক্ষ’ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সন্ত্রাসীদের প্রভাবও কমাতে হবে। আবার বাশারকেও সরিয়ে দিতে হবে।’
No comments