১৮৫ কোটি টাকা জরিমানার মুখে মেসি, হতে পারে জেলও!
আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে মেসিকে: ফাইল ছবি |
ট্রেবল জয়ের আনন্দে বাগড়া দিচ্ছে ‘ট্রাবল’! বার্সেলোনার হয়ে সদ্যই শিরোপাত্রয়ী জিতে চিলিতে উড়ে গেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা খেলবেন বলে। কিন্তু লিওনেল মেসির পিছু তাড়া করল একটা দুঃসংবাদ। কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, স্পেনের আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে। মেসির বিরুদ্ধে ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ৩৬ কোটি টাকার সমান।
আজ বার্সেলোনার প্রাদেশিক উচ্চ আদালত মেসির আইনজীবীদের করা আবেদনটি খারিজ করে দেন। মেসির বিরুদ্ধে স্পেনের কর বিভাগ অভিযোগ এনেছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশাল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছেন মেসি। এর দায় বর্তায় মেসির এজেন্টের ভূমিকা পালন করা তাঁর বাবা হোর্হে মেসিরও ওপর। উরুগুয়ে, বেলিজ, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের কিছু নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বার্সেলোনার ফুটবল তারকার ছবি স্বত্ব বিক্রির মাধ্যমে এই কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে আদালতে হাজিরাও দিতে হয়েছে মেসি ও তাঁর বাবাকে।
মেসি এবং তাঁর বাবা দুজনই জেনে বুঝে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কর ফাঁকি দেওয়ার সপক্ষে কর বিভাগ বেশ শক্ত প্রমাণ হাজির করেছে। তবে মেসির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, মেসি নিজে এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন। মেসি নিজেও বলেছেন, করের আইন কানুন তিনি বোঝেন না। এসব দেখভাল করার জন্য তাঁর আইনজীবীরাই রয়েছেন। তিনি নিজে কখনো কোনো কিছু পড়ে কোনো চুক্তিতে সই করেননি। আইনজীবীদের পরামর্শ মেনে চলেছেন।
মেসির বাবাও পুরো দায় নিজের কাঁধে নিয়ে বলেছেন, ‘সব সময়ই বলে এসেছি, এর সঙ্গে ওর কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের আইনজীবীরা বিষয়টি দেখছেন। এর সঙ্গে আমি জড়িত, ওর এতে কোনো সম্পর্ক নেই।’
আদালত অবশ্য এই যুক্তি মেনেই নিয়েছেন। আজ আদালত বলেছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন মেসি নিজে কখনো তাঁর আর্থিক ব্যাপার-স্যাপার সামলান না। কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা না থাকলেও মেসি দায়মুক্তি পাবেন না। মেসি এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেটি নির্ধারণ করার মতো অবস্থায় আদালত নেই।
২০১৩ সালে স্পেনের একটি আদালতে প্রথম বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। এর পর মেসি ৫০ লাখ ইউরোর বেশি করও পরিশোধ করেন। কিন্তু তাতেও মুক্তি মেলেনি। আদালতের বাইরে বিষয়টির একটা সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সমঝোতার বদলে মামলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেই অটল। অপরাধ প্রমাণিত হলে ২ কোটি ১০ লাখ ইউরো (১৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা) জরিমানা হতে পারে মেসি ও মেসির বাবার। পাশাপাশি এক বছরের স্থগিত কারাবাসেরও (সাসপেন্ডেড প্রিজন সেনটেন্স) শাস্তি দেওয়া হতে পারে। সূত্র: গার্ডিয়ান ও ইএসপিএন।
আজ বার্সেলোনার প্রাদেশিক উচ্চ আদালত মেসির আইনজীবীদের করা আবেদনটি খারিজ করে দেন। মেসির বিরুদ্ধে স্পেনের কর বিভাগ অভিযোগ এনেছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশাল পরিমাণ কর ফাঁকি দিয়েছেন মেসি। এর দায় বর্তায় মেসির এজেন্টের ভূমিকা পালন করা তাঁর বাবা হোর্হে মেসিরও ওপর। উরুগুয়ে, বেলিজ, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের কিছু নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বার্সেলোনার ফুটবল তারকার ছবি স্বত্ব বিক্রির মাধ্যমে এই কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে আদালতে হাজিরাও দিতে হয়েছে মেসি ও তাঁর বাবাকে।
মেসি এবং তাঁর বাবা দুজনই জেনে বুঝে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কর ফাঁকি দেওয়ার সপক্ষে কর বিভাগ বেশ শক্ত প্রমাণ হাজির করেছে। তবে মেসির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, মেসি নিজে এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন। মেসি নিজেও বলেছেন, করের আইন কানুন তিনি বোঝেন না। এসব দেখভাল করার জন্য তাঁর আইনজীবীরাই রয়েছেন। তিনি নিজে কখনো কোনো কিছু পড়ে কোনো চুক্তিতে সই করেননি। আইনজীবীদের পরামর্শ মেনে চলেছেন।
মেসির বাবাও পুরো দায় নিজের কাঁধে নিয়ে বলেছেন, ‘সব সময়ই বলে এসেছি, এর সঙ্গে ওর কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের আইনজীবীরা বিষয়টি দেখছেন। এর সঙ্গে আমি জড়িত, ওর এতে কোনো সম্পর্ক নেই।’
আদালত অবশ্য এই যুক্তি মেনেই নিয়েছেন। আজ আদালত বলেছেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন মেসি নিজে কখনো তাঁর আর্থিক ব্যাপার-স্যাপার সামলান না। কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা না থাকলেও মেসি দায়মুক্তি পাবেন না। মেসি এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেটি নির্ধারণ করার মতো অবস্থায় আদালত নেই।
২০১৩ সালে স্পেনের একটি আদালতে প্রথম বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। এর পর মেসি ৫০ লাখ ইউরোর বেশি করও পরিশোধ করেন। কিন্তু তাতেও মুক্তি মেলেনি। আদালতের বাইরে বিষয়টির একটা সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সমঝোতার বদলে মামলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেই অটল। অপরাধ প্রমাণিত হলে ২ কোটি ১০ লাখ ইউরো (১৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা) জরিমানা হতে পারে মেসি ও মেসির বাবার। পাশাপাশি এক বছরের স্থগিত কারাবাসেরও (সাসপেন্ডেড প্রিজন সেনটেন্স) শাস্তি দেওয়া হতে পারে। সূত্র: গার্ডিয়ান ও ইএসপিএন।
No comments