দুই সন্তানসহ আইএসে বৃটিশ বাংলাদেশী তরুণী
আইএস-এ
যোগ দিতে এবার দুই শিশু সন্তানসহ ঘর ছাড়লেন বৃটিশ বাংলাদেশী রেহেনা বেগম।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি তিনি হিথরো বিমানবন্দর দিয়ে ইস্তাম্বুল যান। সেখান থেকে
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে
সিরিয়া পৌঁছেন। সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন একাডেমির তিন
শিক্ষার্থীকে সিরিয়া গমনে সহায়তাকারী মোহাম্মদ আল রাশেদকে গ্রেপ্তার করা
হলে তার ল্যাপটপের থাকা তথ্য অনুযায়ী রেহেনার সিরিয়া গমনের বিষয়টি নিশ্চিত
হওয়া যায়। বৃটেনের রয়েল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের কর্মকর্তা ৩৩ বয়সী রেহেনা
বেগমের স্বামী আজিজুল ইসলাম একজন ক্যাব ড্রাইভার। তিনি তার ৮ বছর বয়সী
ছেলে ও ৩ বছর বয়সী মেয়ের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি তার স্ত্রীকে ফেরত আসার
আহ্বান জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের সংসার ফেলে, দুটি শিশু সন্তানের
ভবিষ্যত নষ্ট করে সে কেন এমন কাজ করলো তা ভাবতে পারছি না। রেহেনার স্বামী
জানান, সে একজন স্বাভাবিক বৃটিশ-বাংলাদেশী, এমনকি কখনও হিজাবও পরতো না।
হঠাৎ করে গত কয়েক বছর ধরে সে পরিবর্তিত হতে থাকে। তার এ পরিবর্তন আমার খুব
ভালো লেগেছিলো, কিন্তু এমনটি হবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন একাডেমির তিন শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার (১৫), খাদিজা সুলতানা (১৬), আমিরা আবাসি (১৫) পরিবারের অজান্তে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের গেটউইক বিমানবন্দর দিয়ে তুরস্কে যায়। তুরস্কে তাদেরকে সিরিয়া গমনে সহায়তাকারী মোহাম্মদ আল রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হলে রেহেনার সিরিয়া যাবার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
এর আগে গত ২১শে মার্চ বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে হাসপাতালে সেবা দিতে ৯ বৃটিশ মেডিকেল ছাত্রী সিরিয়া গেছেন। এ দলে রয়েছে চারজন ছাত্রী এবং পাঁচ ছাত্র। তারা গত ১২ই মার্চ এসব ছাত্রছাত্রী সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছায়। সেখানে থকে একদিন পর বাসে করে সিরিয়া যান তারা। পত্রিকাটি এসব ছাত্র-ছাত্রীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- মামুন আব্দুল কাদির, নাদা সামি কাদের, রওয়ান কামাল জয়নুল আবেদিন, তাসনিম সুলায়মান হোসেইন, ইসমাইল হামাদুন, তামের আহমেদ আবু সেবাহ, মোহাম্মাদ উসামা বাদরি মোহাম্মাদ, হিশাম মোহাম্মাদ ফাদাল্লাহ ও সামি আহমেদ কাদির। তাদের সবার বয়স ২০ বছর অথবা তার চেয়ে কম। তারা সবাই এখন সিরিয়ার তেল আবিয়াদ এলাকায় অবস্থান করছেন। ওই এলাকাটি আইএসআইএলর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব ছাত্র-ছাত্রী সবাই বৃটেনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই বড় হয়েছেন। পরে লেখাপড়ার জন্য সুদানে অবস্থান করছিলেন।
গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীন একাডেমির তিন শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার (১৫), খাদিজা সুলতানা (১৬), আমিরা আবাসি (১৫) পরিবারের অজান্তে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের গেটউইক বিমানবন্দর দিয়ে তুরস্কে যায়। তুরস্কে তাদেরকে সিরিয়া গমনে সহায়তাকারী মোহাম্মদ আল রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হলে রেহেনার সিরিয়া যাবার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
এর আগে গত ২১শে মার্চ বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে হাসপাতালে সেবা দিতে ৯ বৃটিশ মেডিকেল ছাত্রী সিরিয়া গেছেন। এ দলে রয়েছে চারজন ছাত্রী এবং পাঁচ ছাত্র। তারা গত ১২ই মার্চ এসব ছাত্রছাত্রী সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছায়। সেখানে থকে একদিন পর বাসে করে সিরিয়া যান তারা। পত্রিকাটি এসব ছাত্র-ছাত্রীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- মামুন আব্দুল কাদির, নাদা সামি কাদের, রওয়ান কামাল জয়নুল আবেদিন, তাসনিম সুলায়মান হোসেইন, ইসমাইল হামাদুন, তামের আহমেদ আবু সেবাহ, মোহাম্মাদ উসামা বাদরি মোহাম্মাদ, হিশাম মোহাম্মাদ ফাদাল্লাহ ও সামি আহমেদ কাদির। তাদের সবার বয়স ২০ বছর অথবা তার চেয়ে কম। তারা সবাই এখন সিরিয়ার তেল আবিয়াদ এলাকায় অবস্থান করছেন। ওই এলাকাটি আইএসআইএলর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব ছাত্র-ছাত্রী সবাই বৃটেনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই বড় হয়েছেন। পরে লেখাপড়ার জন্য সুদানে অবস্থান করছিলেন।
No comments