সংকটে পাশে চাই যুক্তরাষ্ট্রকে
আফগানিস্তানের চলমান সংকট মোকাবেলা ও স্থিতিশীলতা অর্জনে অধিক মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এ লক্ষ্যে শনিবার চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আছেন প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। কাবুলের বর্তমান শাসনব্যবস্থা নিয়ে ওবামা প্রশাসনকে আশ্বস্ত করতে চান তারা। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। ছয় মাস আগে ক্ষমতাগ্রহণের পর ওয়াশিংটনে এটাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
আশরাফ ঘানি যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের জানাতে চান- তার সরকার সঠিক পথে রয়েছে। তবে মার্কিন সাহায্য প্রাপ্তি অতটা সহজেই হবে না বলে মন্তব্য ওয়াশিংটন পোস্টের। এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করবেন আশরাফ ঘানি। বৈঠকে দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট নানা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নাসরুল্লাহ সানেকজাই বলেন, ঘানি তাদের এ বার্তা দিতে চান যে এটা তো আপনাদের তৈরি সরকার। কাবুলকে সাহায্য করা ছাড়া ওয়াশিংটনের বিকল্পও নেই। মন্ত্রিসভায় ১৬ নতুন নাম ঘোষণা : আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি শনিবার মন্ত্রিসভা সম্পূর্ণ করতে নতুন ১৬ জনের নাম ঘোষণা করেছেন। প্রায় দুই মাস আগে পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত দুই-তৃতীয়াংশ মন্ত্রীদের নাম বাতিল হয়ে যায়। ঘানির শপথ গ্রহণ ও নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে আফগানিস্তানে একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করার ছয়মাস পর মন্ত্রিসভার ২৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র আটটি পূরণ হয়। জানুয়ারির শেষার্ধ্বে প্রস্তাবিত অন্যদের নাম পার্লামেন্টে বাতিল হয়ে যায়। শনিবার মন্ত্রিসভায় ঘোষিত ১৬ জনের নাম এখন পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিুকক্ষে অনুমোদিত হয়নি। নতুন সরকার গঠনে বিলম্ব হওয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশটি থেকে ন্যাটো তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
No comments