আমলাদের শুভেচ্ছাবিলাস by সাদ সাকলান
রসনাবিলাস তথা চাটগাঁয়ী মেজবানের কথা কারো অবিদিত নয়। জব্বারের বলী খেলাও চট্টগ্রামের এক ঐতিহ্যের নাম। এক পশুর স্থলে ২০-২২টি পশু কোরবান দেয়াও চট্টগ্রামে অনেক ধনবানের জন্য স্বাভাবিকÑ এগুলো সবই আমাদের জানা আছে। এরপর জানা হলোÑ সরকারি দফতরের নথিতে চট্টগ্রামের পাণি গ্রহণের প্রসঙ্গ (রসিক মানুষ বটে! আবার আইনবিধি সাগরে নিক্ষেপের লিখিত আদেশও একই ব্যক্তির; সাহস বটে ভদ্রলোকের!)। নদী-সাগর কিংবা বন-পাহাড়ের জন্যও চট্টগ্রামের একটা বাড়তি আকর্ষণ আছে; কিন্তু এবার ঈদুল আজহায় সবাইকে তাক লাগিয়েছে শুভেচ্ছাবিলাস; আর সেটিও চট্টগ্রামেই। কার্ড ছেপে তা জনে জনে পাঠিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিতরণ পুরনো প্রথাÑ এটি আমলা-ব্যবসায়ী-রাজনীতিকদের ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। যদিও আধুনিক প্রযুক্তি এসবের কিছু জায়গা নিয়েই নিয়েছে, কবে সবটা নিয়ে নেয় কে জানে! আগে কাজটি ডিসি করতেন, সচিব কিংবা মন্ত্রী করতেন। এখন আবার পুলিশ সুপারও পিছিয়ে নেই (কী জানি কবে আবার জেলা জজ এটি শুরু করেন!)। ঢাকা কিংবা বড় শহরে এখন ঈদ-পার্বণ কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান-দিবস ভুলে থাকার উপায় নেই। রাস্তায় বেরুলেই হাজারটা ব্যানার আর বিলবোর্ড। ভুল-শুদ্ধ বানানে কেবল শুভেচ্ছা-ই, অভিনন্দন, দীর্ঘায়ু কামনা, সাফল্য কামনা, এগিয়ে চলো, সমর্থন জোগানো; কী নেই! কিন্তু এগুলো রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই সীমিত ছিল এতদিন। একজনের পক্ষে অন্যের বিলবোর্ড দেয়া, তাতে আবার নানা রঙে অনেকের ছবিও যায়। যিনি দিচ্ছেন তার ছবিটাও নেতাদের সাথে যাওয়া, কম কথা নয়। তবে যার জন্য এই আয়োজন, তিনি কখনো এসব দেখেন কি না, তাতে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। তবুও এক ধরনের প্রশান্তি পান রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকেরা। নেতার জন্য হাজারটা তোরণের খরচ কি গাঁটের পয়সায়, না চাঁদার পয়সায় হচ্ছে, না টিআর-কাবিখার চাল থেকে সে নিয়ে কারো ভাবার সময় নেই। তোরণ আর সংবর্ধনাই বড় কথা। এসব দেখে নেতাদের মনের ভেতরে প্রশান্তির হাসি দোল খায়, সেটা আবার সব সময় প্রকাশ পায় না। তবে এতে কাজের কাজটি হয়ে যায়। রোদ-বৃষ্টিতে স্কুলের ছেলেমেয়েদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা কিংবা মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণও বোধকরি এখানেই লুকিয়ে আছে। পতিত এক রাষ্ট্রপতি তো জনসভায় আদম-সংখ্যা দেখেই ঘোষণা দিতেন কী দেবেন, কী দেবেন নাÑ এভাবেই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরকারীকরণ ঘটেছে।
এবার ঈদের শুভেচ্ছাবিলাসে শিরোনাম হয়েছেন এক আমলা। খবরে প্রকাশ ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে হাজারটা বিলবোর্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার। ভেতরের খবরে জানা যায়Ñ তিনি ঈদুল ফিতরের পর বর্তমান পদে বসেছেন, নয়তো চট্টগ্রামবাসী ঈদুল ফিতরেও হাজারটা বিলবোর্ডের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা পেতে পারতেন; অবশ্য সমস্যা নেইÑ সেই তিনি বহাল থাকলে আগামীতে এমন বিলবোর্ডীয় শুভেচ্ছা চট্টলাবাসীর বরাতে জুটতেই থাকবে। এতে অন্যান্য মেট্রোপলিটানবাসীর আক্ষেপ হতেই পারে। হাজারটা বিলবোর্ড বানাতে-লাগাতে-খুলতে কত খরচ হতে পারে সে ধারণা এ অধমের নেই। একজন বললেন, কম করে হলেও পঞ্চাশ লাখ টাকা। অবশ্য পুলিশ কমিশনার নাকি বলেছেন, এসব চাঁদার টাকায় নয়। নিজস্ব তহবিল থেকে। বিলবোর্ড টানিয়ে ঈদের শুভেচ্ছার জন্য পঞ্চাশ লাখ কিংবা তারও বেশি অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একজন পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছেন, এমন তথ্যের সমর্থন মেলে না। এমনটি হলে অন্যান্য পুলিশ কমিশনার টাকাটা অন্যত্র লাগিয়েছেন প্রশ্নটি ওঠাই যৌক্তিক। এরপর বাকি থাকে সিএমপির নিজস্ব তহবিল। প্রশ্ন আসবেইÑ এমন তহবিলের অস্তিত্ব কবে থেকে এবং এর উৎসইবা কী! এরপর যে প্রশ্নের উদ্ভব ঘটবে তার নাম চাঁদাবাজি। মাঝে মাঝে পোশাকধারীদের চাঁদা আদায়ের খবর ছাপা হয়, চট্টগ্রামে তার সমর্থন মিলছে কি?
ব্রিটিশ আমল থেকেই এসডিও, ডিএমরা স্থানীয় ধনাঢ্যদের থেকে তহবিল সংগ্রহ করে এলাকায় মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। দুর্যোগ মোকাবেলায়ও অর্থ তুলতেন। সাহায্য করতেন দুস্থদের। এখনো সেটি হচ্ছে, যার নাম এলআর ফান্ড; কিন্তু এই অর্থ আগের মতো জনকল্যাণে ততটা ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয় না। সে সময় পুলিশ সুপার, এসডিএমরা এ কাজে সহায়ক ভূমিকা পাল করতেন। এমনকি পুলিশ লাইন মসজিদ স্কুলের জন্যও অর্থ নিতেন ডিসির বেসরকারি তহবিল থেকে; কিন্তু দিনে দিনে সহায়তার চেয়ে নিজেরাই তহবিল গঠন করছেন জেলার পুলিশ প্রধান। এখন পুলিশ সুপারেরাই মসজিদ-মন্দির-পার্ক-শপিং প্লাজা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন। ফলে সব এসপি অফিসেই এখন ডিসির এলআর ফান্ডের সমান্তরাল ফান্ড সৃষ্টি হয়েছেÑ তারাও এখন সাহায্য বিতরণ করছেন। সাংবাদিক বন্ধুরা কিংবা স্থানীয় গণ্যমান্যরা এখন পুলিশি আপ্যায়নে ধন্য হচ্ছেন; কিন্তু আমরা না বুঝলেও সাদা মানুষেরা দুই শতাধিক বছর আগে সঠিক অনুধাবন করেছিলÑ যার হাতে লাঠি আছে তাকে আর যাই-ই হোক চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া চলে না। আমরা এসব ফিলোসফি ভুলে গেছি। বন্দুক যার হাতে তাকে গুলির ক্ষমতা দেয়া হয় নাÑ সেটিও আমরা ভুলতে বসেছি। ব্রিটিশরা বুঝেছিল, গ্রেফতার করার ক্ষমতা আর শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার এক-হাতে রাখা চলে না। সে কারণেই গ্রেফতার-জামিন-বিচার ত্রিহস্তে ছিল আমাদের সিআরপিসিতে।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের অন্যায় দেখি না। তিনিও এসপি ছিলেন। ডিসির পাশাপাশি (পিছিয়ে থাকবেনইবা কেন) তিনিও নিশ্চয়ই ঈদ কার্ড বিতরণ করেছেন। এখন তিনি বিভাগীয় শহরে পুলিশের হর্তাকর্তাÑ তাকে কিছু বলবে এমন কে আছে? না কোনো জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব, না তার ওপরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ। অতএব তাকে (কিংবা তাদের) আজ ‘মানায় কে, থামায় কে?’ সর্বত্রই এখন প্রতিযোগিতা। তাই পুলিশও শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, হাউজিং, দোকান, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি ব্যবসাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে মনোযোগী হয়েছে। এ যেন তিন বাহিনীর সাথে পাল্লায় নেমে পড়া। তবে হোটেল বানানোটা বাকি আছে এখনো। এ প্রতিযোগিতা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শুরু হলে আমআদমি বর্তে যেত। এতদিন রাজনীতিকেরা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন, এখন আমলারাও করবেনÑ দোষ দিই কিভাবে! অর্থ? হাতে বন্দুক আর হয়রানির ক্ষমতা থাকতে সেটি বড় বেশি ভাবনার ব্যাপার নয় এই দেশে। এসবের জন্য সিটি করপোরেশন বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিরও আবশ্যক হয় নাÑ যদি কাজটি পুলিশ করে থাকে।
প্রথম আলো সম্পাদকীয়তে বলেছেÑ পুলিশ কমিশনারের বড় শুভেচ্ছাই হচ্ছে ঈদের মধ্যে শহরটির আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা। সেটি নাকি ভালো ছিল না। আরো খারাপ হলেও কোথাও জবাবদিহি করতে হবে না সেটা মালুম করা কঠিন নয়। প্রথম আলো হয়তো কেতাবি কথাই বলেছে, কিন্তু এসব যে দিনে দিনে প্রায় উঠেই যাচ্ছে, তা প্রথম আলোর না জানার কথা নয়। তারপরও প্রথম আলো এসব ক্ষেত্রে তদন্ত চাইছেÑ এটিও কম আশার কথা নয়। তবে সঠিক দায়িত্ব পালনই সেবাদানের একমাত্র পন্থা। নিজের কাজটি সঠিকভাবে করার মধ্য দিয়েই শুভেচ্ছা জানানো সম্ভবÑ বিলবোর্ড কিংবা কার্ড বিতরণ কিংবা অকৃপণ মেহমানদারির মধ্যে নয়। আমাদের আমলাকুল এ দীক্ষা নিলে জাতির অনেক উপকার হয়।
এবার ঈদের শুভেচ্ছাবিলাসে শিরোনাম হয়েছেন এক আমলা। খবরে প্রকাশ ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে হাজারটা বিলবোর্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার। ভেতরের খবরে জানা যায়Ñ তিনি ঈদুল ফিতরের পর বর্তমান পদে বসেছেন, নয়তো চট্টগ্রামবাসী ঈদুল ফিতরেও হাজারটা বিলবোর্ডের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা পেতে পারতেন; অবশ্য সমস্যা নেইÑ সেই তিনি বহাল থাকলে আগামীতে এমন বিলবোর্ডীয় শুভেচ্ছা চট্টলাবাসীর বরাতে জুটতেই থাকবে। এতে অন্যান্য মেট্রোপলিটানবাসীর আক্ষেপ হতেই পারে। হাজারটা বিলবোর্ড বানাতে-লাগাতে-খুলতে কত খরচ হতে পারে সে ধারণা এ অধমের নেই। একজন বললেন, কম করে হলেও পঞ্চাশ লাখ টাকা। অবশ্য পুলিশ কমিশনার নাকি বলেছেন, এসব চাঁদার টাকায় নয়। নিজস্ব তহবিল থেকে। বিলবোর্ড টানিয়ে ঈদের শুভেচ্ছার জন্য পঞ্চাশ লাখ কিংবা তারও বেশি অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একজন পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছেন, এমন তথ্যের সমর্থন মেলে না। এমনটি হলে অন্যান্য পুলিশ কমিশনার টাকাটা অন্যত্র লাগিয়েছেন প্রশ্নটি ওঠাই যৌক্তিক। এরপর বাকি থাকে সিএমপির নিজস্ব তহবিল। প্রশ্ন আসবেইÑ এমন তহবিলের অস্তিত্ব কবে থেকে এবং এর উৎসইবা কী! এরপর যে প্রশ্নের উদ্ভব ঘটবে তার নাম চাঁদাবাজি। মাঝে মাঝে পোশাকধারীদের চাঁদা আদায়ের খবর ছাপা হয়, চট্টগ্রামে তার সমর্থন মিলছে কি?
ব্রিটিশ আমল থেকেই এসডিও, ডিএমরা স্থানীয় ধনাঢ্যদের থেকে তহবিল সংগ্রহ করে এলাকায় মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। দুর্যোগ মোকাবেলায়ও অর্থ তুলতেন। সাহায্য করতেন দুস্থদের। এখনো সেটি হচ্ছে, যার নাম এলআর ফান্ড; কিন্তু এই অর্থ আগের মতো জনকল্যাণে ততটা ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয় না। সে সময় পুলিশ সুপার, এসডিএমরা এ কাজে সহায়ক ভূমিকা পাল করতেন। এমনকি পুলিশ লাইন মসজিদ স্কুলের জন্যও অর্থ নিতেন ডিসির বেসরকারি তহবিল থেকে; কিন্তু দিনে দিনে সহায়তার চেয়ে নিজেরাই তহবিল গঠন করছেন জেলার পুলিশ প্রধান। এখন পুলিশ সুপারেরাই মসজিদ-মন্দির-পার্ক-শপিং প্লাজা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন। ফলে সব এসপি অফিসেই এখন ডিসির এলআর ফান্ডের সমান্তরাল ফান্ড সৃষ্টি হয়েছেÑ তারাও এখন সাহায্য বিতরণ করছেন। সাংবাদিক বন্ধুরা কিংবা স্থানীয় গণ্যমান্যরা এখন পুলিশি আপ্যায়নে ধন্য হচ্ছেন; কিন্তু আমরা না বুঝলেও সাদা মানুষেরা দুই শতাধিক বছর আগে সঠিক অনুধাবন করেছিলÑ যার হাতে লাঠি আছে তাকে আর যাই-ই হোক চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া চলে না। আমরা এসব ফিলোসফি ভুলে গেছি। বন্দুক যার হাতে তাকে গুলির ক্ষমতা দেয়া হয় নাÑ সেটিও আমরা ভুলতে বসেছি। ব্রিটিশরা বুঝেছিল, গ্রেফতার করার ক্ষমতা আর শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার এক-হাতে রাখা চলে না। সে কারণেই গ্রেফতার-জামিন-বিচার ত্রিহস্তে ছিল আমাদের সিআরপিসিতে।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের অন্যায় দেখি না। তিনিও এসপি ছিলেন। ডিসির পাশাপাশি (পিছিয়ে থাকবেনইবা কেন) তিনিও নিশ্চয়ই ঈদ কার্ড বিতরণ করেছেন। এখন তিনি বিভাগীয় শহরে পুলিশের হর্তাকর্তাÑ তাকে কিছু বলবে এমন কে আছে? না কোনো জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব, না তার ওপরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ। অতএব তাকে (কিংবা তাদের) আজ ‘মানায় কে, থামায় কে?’ সর্বত্রই এখন প্রতিযোগিতা। তাই পুলিশও শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, হাউজিং, দোকান, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি ব্যবসাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে মনোযোগী হয়েছে। এ যেন তিন বাহিনীর সাথে পাল্লায় নেমে পড়া। তবে হোটেল বানানোটা বাকি আছে এখনো। এ প্রতিযোগিতা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শুরু হলে আমআদমি বর্তে যেত। এতদিন রাজনীতিকেরা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন, এখন আমলারাও করবেনÑ দোষ দিই কিভাবে! অর্থ? হাতে বন্দুক আর হয়রানির ক্ষমতা থাকতে সেটি বড় বেশি ভাবনার ব্যাপার নয় এই দেশে। এসবের জন্য সিটি করপোরেশন বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিরও আবশ্যক হয় নাÑ যদি কাজটি পুলিশ করে থাকে।
প্রথম আলো সম্পাদকীয়তে বলেছেÑ পুলিশ কমিশনারের বড় শুভেচ্ছাই হচ্ছে ঈদের মধ্যে শহরটির আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা। সেটি নাকি ভালো ছিল না। আরো খারাপ হলেও কোথাও জবাবদিহি করতে হবে না সেটা মালুম করা কঠিন নয়। প্রথম আলো হয়তো কেতাবি কথাই বলেছে, কিন্তু এসব যে দিনে দিনে প্রায় উঠেই যাচ্ছে, তা প্রথম আলোর না জানার কথা নয়। তারপরও প্রথম আলো এসব ক্ষেত্রে তদন্ত চাইছেÑ এটিও কম আশার কথা নয়। তবে সঠিক দায়িত্ব পালনই সেবাদানের একমাত্র পন্থা। নিজের কাজটি সঠিকভাবে করার মধ্য দিয়েই শুভেচ্ছা জানানো সম্ভবÑ বিলবোর্ড কিংবা কার্ড বিতরণ কিংবা অকৃপণ মেহমানদারির মধ্যে নয়। আমাদের আমলাকুল এ দীক্ষা নিলে জাতির অনেক উপকার হয়।
No comments