চীনের কাছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ- ১০ প্রকল্পে সাড়া, ১৫টির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেই
২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনের কাছে ৩২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা (৪৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার) আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পাঁচটি প্রকল্পের ব্যাপারে চীন অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। আরও পাঁচটির ব্যাপারে সমীক্ষা চালিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ১৫টির ব্যাপারে চীন এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। প্রকল্পগুলোর জন্য আর্থিক সাহায্য চাইতে ইআরডি সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আট সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চীন ঘুরে এসেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এবং সড়ক ও রেলপথ বিভাগের। এ ছাড়া শিল্প, স্থানীয় সরকার, পানিসম্পদ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দুটি করে প্রকল্প রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুত্, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে একটি করে প্রকল্প।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর জন্য চীনের কাছে চারটি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর কাজীরটেক সেতু প্রকল্প বা সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর জন্য উভয় দেশের মধ্যে ইচ্ছাপত্র সই হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় দুই কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মধ্যে মেঘনা সেতু বা অষ্টম মৈত্রী সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় নয় কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মেঘনা-গোমতী সেতু বা নবম সেতুর ব্যয় ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে লাবুখালী সেতু বা দশম মৈত্রী সেতুর ব্যয় চার কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর ব্যয় ৫৭ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং পিরোজপুর-ঝালকাঠি সড়কের ওপর বেকুটিয়া সেতুর ব্যাপারেও তারা ইতিবাচক বলে জানিয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন নর্থ-ওয়েস্ট ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৫৬ কোটি ডলারের অর্থায়ন প্রস্তাব অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল চীনকে। সিরাজগঞ্জে হওয়ার কথা থাকলেও গ্যাসসংকটের কথা তুলে ধরে এলাকা সরিয়ে তা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেও চীনের ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তবে চার কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার ডলার ব্যয়ের পোশাক খাতের জন্য একটি শিল্পপার্কের ব্যাপারে তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুত্ বিভাগের অধীন বড়পুকুরিয়া ১২৫ মেগাওয়াট কোল ফায়ার্ড থার্মাল বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের জন্য ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সাড়ে তিন কোটি ডলারের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্র, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয়ের পাগলা/কেরানীগঞ্জ পানি শোধনাগার প্লান্ট প্রকল্প, ১২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয়ের নর্থ ঢাকা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং অ্যাসোসিয়েটেড সুয়ারেজ সিস্টেম প্রকল্প। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের ব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। ১০৪ কোটি ডলারের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। এটিসহ আট কোটি ৮১ লাখ ২৬ হাজার ডলারের এ মন্ত্রণালয়েরই আরেকটি প্রকল্প নিয়ে চীন কিছু বলেনি বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ২১ কোটি ডলারের চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত একক লাইন মিটারগেজ রেলপথ, ১৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু, ২৮ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারের কর্ণফুলী টানেল, ৬০ কোটি ডলারের রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুত্ প্রকল্প, ১৩ কোটি ডলারের জাতীয় আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক এবং পাঁচটি স্কুল নির্মাণসহ ছোটখাটো আরও কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। প্রকল্পগুলোর জন্য আর্থিক সাহায্য চাইতে ইআরডি সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আট সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চীন ঘুরে এসেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এবং সড়ক ও রেলপথ বিভাগের। এ ছাড়া শিল্প, স্থানীয় সরকার, পানিসম্পদ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দুটি করে প্রকল্প রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুত্, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে একটি করে প্রকল্প।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর জন্য চীনের কাছে চারটি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর কাজীরটেক সেতু প্রকল্প বা সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর জন্য উভয় দেশের মধ্যে ইচ্ছাপত্র সই হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় দুই কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মধ্যে মেঘনা সেতু বা অষ্টম মৈত্রী সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় নয় কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মেঘনা-গোমতী সেতু বা নবম সেতুর ব্যয় ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে লাবুখালী সেতু বা দশম মৈত্রী সেতুর ব্যয় চার কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর ব্যয় ৫৭ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং পিরোজপুর-ঝালকাঠি সড়কের ওপর বেকুটিয়া সেতুর ব্যাপারেও তারা ইতিবাচক বলে জানিয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন নর্থ-ওয়েস্ট ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৫৬ কোটি ডলারের অর্থায়ন প্রস্তাব অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল চীনকে। সিরাজগঞ্জে হওয়ার কথা থাকলেও গ্যাসসংকটের কথা তুলে ধরে এলাকা সরিয়ে তা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেও চীনের ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তবে চার কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার ডলার ব্যয়ের পোশাক খাতের জন্য একটি শিল্পপার্কের ব্যাপারে তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুত্ বিভাগের অধীন বড়পুকুরিয়া ১২৫ মেগাওয়াট কোল ফায়ার্ড থার্মাল বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের জন্য ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সাড়ে তিন কোটি ডলারের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্র, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয়ের পাগলা/কেরানীগঞ্জ পানি শোধনাগার প্লান্ট প্রকল্প, ১২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয়ের নর্থ ঢাকা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং অ্যাসোসিয়েটেড সুয়ারেজ সিস্টেম প্রকল্প। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের ব্যাপারে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। ১০৪ কোটি ডলারের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। এটিসহ আট কোটি ৮১ লাখ ২৬ হাজার ডলারের এ মন্ত্রণালয়েরই আরেকটি প্রকল্প নিয়ে চীন কিছু বলেনি বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ২১ কোটি ডলারের চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত একক লাইন মিটারগেজ রেলপথ, ১৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু, ২৮ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারের কর্ণফুলী টানেল, ৬০ কোটি ডলারের রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুত্ প্রকল্প, ১৩ কোটি ডলারের জাতীয় আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক এবং পাঁচটি স্কুল নির্মাণসহ ছোটখাটো আরও কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে।
No comments