পারমাণবিক বোমার সুইচ আমার টেবিলেই আছে
নতুন
বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন বার্তা দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, সর্বদা পারমাণবিক অস্ত্রের
বাটনে হাত রয়েছে তার। অর্থাৎ তিনি যেকোনো মুহূর্তে সেই বাটনে চাপ দিয়ে
দিতে পারেন। যদি তা-ই করেন, তাহলে শুরু হয়ে যাবে এক ধ্বংসলীলা। নতুন
বর্ষবরণ উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে, বিশেষত এর প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে এ হুমকি দিয়েছেন।
জোরালোভাবে বলেছেন, সব সময়ই আমার অফিসে আমার ডেস্কের ওপর রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বাটন। আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লার মধ্যে রয়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র। তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) যথার্থই সচেতন হওয়া উচিত এ জন্য যে, এটা কোনো হুমকি নয়। এটাই বাস্তবতা। কিম জং উন আরো ঘোষণা দেন, যেসব দেশ শান্তি ভালোবাসে তেমন দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর তার দেশও। তিনি আরো ঘোষণা দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সরাসরি কোনো আগ্রাসন আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো বাসনা বা ইচ্ছা আমাদের নেই। এ সময় তার কন্ঠে ছিল না সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত। জাতিকে একত্রিতকরণের কোনো আভাস ছিল না। তবে তিনি তার দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন অধিক পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বৃদ্ধি করার জন্য। তার ভাষায়, আমাদের রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গবেষণা ও রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং। এ অবস্থায় আমাদের প্রয়োজন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন অস্ত্র ব্যাপকভাবে উৎপাদন করা। এসব অস্ত্রের ক্ষমতা ও সক্ষমতা এরই মধ্যে পরীক্ষিত। যদি কোনো শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করে তাহলে এসব অস্ত্র দিয়ে তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে লোয়ি ইন্সটিটিউটে ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক ইউয়ান গ্রাহাম বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের বাটনে নিজের হাত রাখার যে কথা বলেছেন কিম জং তা কার্যত একটি বাগাড়ম্বরতা। আগে শোনা যায়নি, এমন কিছুই তিনি বলেননি। তিনি যা বলেছেন, তার মধ্য দিয়ে তিনি সবাইকে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যে, এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ব শুধু তার হাতেই। এটা বিজয় ঘোষণার মতো, যেন তারা যুদ্ধ শেষ করে ফেলেছেন। তারা আসলে এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেয়া হয়েছে। বোঝানো হয়েছে তাদের হাতেও পারমাণবিক অস্ত্র আছে। কার্যত তা নাও থাকতে পারে। এভাবেই তিনি পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জফেন্ট চিফ অব স্টাফ এডমিরাল মাইক মুলেন বলেছেন, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে এবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুলেন সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, কিম জং উনকে লক্ষ্য করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, তিনি উত্তর কোরিয়ার এই আগ্রাসী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপকেই বেশি পছন্দ করেন। সর্বশেষ ২৯শে নভেম্বর ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে সর্বসম্মত অবরোধ আরোপ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনোভাবেই ঘাঁট মানছে না উত্তর কোরিয়া। উল্টো তারা আরো জোরালো হুমকি দিচ্ছে। শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশটি ২০১৮ সালেও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
জোরালোভাবে বলেছেন, সব সময়ই আমার অফিসে আমার ডেস্কের ওপর রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বাটন। আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লার মধ্যে রয়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র। তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) যথার্থই সচেতন হওয়া উচিত এ জন্য যে, এটা কোনো হুমকি নয়। এটাই বাস্তবতা। কিম জং উন আরো ঘোষণা দেন, যেসব দেশ শান্তি ভালোবাসে তেমন দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর তার দেশও। তিনি আরো ঘোষণা দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সরাসরি কোনো আগ্রাসন আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো বাসনা বা ইচ্ছা আমাদের নেই। এ সময় তার কন্ঠে ছিল না সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত। জাতিকে একত্রিতকরণের কোনো আভাস ছিল না। তবে তিনি তার দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন অধিক পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বৃদ্ধি করার জন্য। তার ভাষায়, আমাদের রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গবেষণা ও রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং। এ অবস্থায় আমাদের প্রয়োজন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন অস্ত্র ব্যাপকভাবে উৎপাদন করা। এসব অস্ত্রের ক্ষমতা ও সক্ষমতা এরই মধ্যে পরীক্ষিত। যদি কোনো শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করে তাহলে এসব অস্ত্র দিয়ে তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে লোয়ি ইন্সটিটিউটে ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক ইউয়ান গ্রাহাম বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের বাটনে নিজের হাত রাখার যে কথা বলেছেন কিম জং তা কার্যত একটি বাগাড়ম্বরতা। আগে শোনা যায়নি, এমন কিছুই তিনি বলেননি। তিনি যা বলেছেন, তার মধ্য দিয়ে তিনি সবাইকে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যে, এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ব শুধু তার হাতেই। এটা বিজয় ঘোষণার মতো, যেন তারা যুদ্ধ শেষ করে ফেলেছেন। তারা আসলে এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেয়া হয়েছে। বোঝানো হয়েছে তাদের হাতেও পারমাণবিক অস্ত্র আছে। কার্যত তা নাও থাকতে পারে। এভাবেই তিনি পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জফেন্ট চিফ অব স্টাফ এডমিরাল মাইক মুলেন বলেছেন, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে এবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুলেন সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, কিম জং উনকে লক্ষ্য করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, তিনি উত্তর কোরিয়ার এই আগ্রাসী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপকেই বেশি পছন্দ করেন। সর্বশেষ ২৯শে নভেম্বর ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে সর্বসম্মত অবরোধ আরোপ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনোভাবেই ঘাঁট মানছে না উত্তর কোরিয়া। উল্টো তারা আরো জোরালো হুমকি দিচ্ছে। শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশটি ২০১৮ সালেও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
No comments