সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের ওপর রাশিয়ার বিমান হামলা
সিরিয়ার
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরোধীদের ওপর প্রথমবারের মতো বিমান
হামলা চালানো শুরু করেছে রাশিয়া। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক
কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। খবর সিএনএন ও বিবিসির।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার হোমস শহরের পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার এ বিমান হামলার ব্যাপারে ওয়াশিংটন আগে থেকেই অবহিত ছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কাছে সামরিক সহযোগিতা চাওয়ার পর এ বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে সিরিয়ার মিত্র দেশটি।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বুধবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী নিয়োগের বিষয়ে পুতিনকে অনুমোদন দেয়। ভোটাভুটির পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অনুমোদনের মানে এই নয় যে রুশ সেনাবাহিনী সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে অংশ নেবে। তবে অভিযানে বিমান বাহিনীকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিরিয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান কর্মকর্তা সার্গেই ইভানভ। তিনি জানান, রাশিয়া স্থল হামলায় অংশ নেবে না। শুধু বিমান হামলায় অংশ নেবে। ইভানভ আরও জানান, রাশিয়ান নাগরিকদের স্বার্থেই এ উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। কারণ, কয়েক হাজার রাশিয়ান আইএসে যোগ দিয়েছে। তারা রাশিয়ায় ফিরলে তা হবে দেশটির জন্য হুমকি।
বুধবারের হামলার আগেই হোয়াইট হাউসে জমা দেয়া মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন আশংকার কথা বলা হয়েছিল। এতে বলা হয়, রাশিয়া সম্প্রতি যেসব জঙ্গিবিমান সিরিয়ায় পাঠিয়েছে সেসব বিমান দিয়েই হামলা শুরু করতে পারে। এছাড়া সিরিয়ায় রুশ জঙ্গিবিমান এবং টি-৯০ ট্যাংকের উপস্থিতি এবং ড্রোন পাঠিয়ে দেশটিতে রুশ গোয়েন্দাবৃত্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
সিরিয়ায় বিগত ৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষ চলে আসছে। যাদের মধ্যে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) কয়েকটি ইসলামিক গোষ্ঠী রয়েছে।
ফরাসি হামলায় ৩০ আইএস নিহত : সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমেন রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জোটের হামলায় আইএসের কমপক্ষে ৩০ জন তরুণযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন যারা ‘খেলাফতের শাবক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নিহতদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু আইএস যোদ্ধা।
‘যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প বন্ধ’ : সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নতুন প্রশিক্ষণার্থীদের সংগ্রহ করে দেশটির বাইরে প্রশিক্ষণ দেয়া বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপন্থী বিদ্রোহী বাহিনী গড়ে তোলার এ সামরিক প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র।
পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, ‘প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে সিরিয়া থেকে নতুন প্রশিক্ষণার্থী সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি আমরা। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বাহিনীগুলোকে আমরা সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছি এবং হাতে থাকা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রকল্প শুরুতেই হোঁচট খায়। মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ৬০ জনের মতো একটি বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা মাত্রই আল কায়দার অনুসারী সিরিয়ার নুসরা ফ্রন্টের হামলার মুখে পড়ে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদের অনেকেই নিহত হয় বা ধরা পড়ে, আর ১৮ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার হোমস শহরের পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার এ বিমান হামলার ব্যাপারে ওয়াশিংটন আগে থেকেই অবহিত ছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কাছে সামরিক সহযোগিতা চাওয়ার পর এ বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে সিরিয়ার মিত্র দেশটি।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বুধবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী নিয়োগের বিষয়ে পুতিনকে অনুমোদন দেয়। ভোটাভুটির পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অনুমোদনের মানে এই নয় যে রুশ সেনাবাহিনী সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে অংশ নেবে। তবে অভিযানে বিমান বাহিনীকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিরিয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান কর্মকর্তা সার্গেই ইভানভ। তিনি জানান, রাশিয়া স্থল হামলায় অংশ নেবে না। শুধু বিমান হামলায় অংশ নেবে। ইভানভ আরও জানান, রাশিয়ান নাগরিকদের স্বার্থেই এ উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। কারণ, কয়েক হাজার রাশিয়ান আইএসে যোগ দিয়েছে। তারা রাশিয়ায় ফিরলে তা হবে দেশটির জন্য হুমকি।
বুধবারের হামলার আগেই হোয়াইট হাউসে জমা দেয়া মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন আশংকার কথা বলা হয়েছিল। এতে বলা হয়, রাশিয়া সম্প্রতি যেসব জঙ্গিবিমান সিরিয়ায় পাঠিয়েছে সেসব বিমান দিয়েই হামলা শুরু করতে পারে। এছাড়া সিরিয়ায় রুশ জঙ্গিবিমান এবং টি-৯০ ট্যাংকের উপস্থিতি এবং ড্রোন পাঠিয়ে দেশটিতে রুশ গোয়েন্দাবৃত্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
সিরিয়ায় বিগত ৪ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষ চলে আসছে। যাদের মধ্যে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) কয়েকটি ইসলামিক গোষ্ঠী রয়েছে।
ফরাসি হামলায় ৩০ আইএস নিহত : সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমেন রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জোটের হামলায় আইএসের কমপক্ষে ৩০ জন তরুণযোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন যারা ‘খেলাফতের শাবক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নিহতদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু আইএস যোদ্ধা।
‘যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয় বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প বন্ধ’ : সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নতুন প্রশিক্ষণার্থীদের সংগ্রহ করে দেশটির বাইরে প্রশিক্ষণ দেয়া বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপন্থী বিদ্রোহী বাহিনী গড়ে তোলার এ সামরিক প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র।
পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, ‘প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে সিরিয়া থেকে নতুন প্রশিক্ষণার্থী সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি আমরা। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বাহিনীগুলোকে আমরা সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছি এবং হাতে থাকা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রকল্প শুরুতেই হোঁচট খায়। মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ৬০ জনের মতো একটি বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা মাত্রই আল কায়দার অনুসারী সিরিয়ার নুসরা ফ্রন্টের হামলার মুখে পড়ে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদের অনেকেই নিহত হয় বা ধরা পড়ে, আর ১৮ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
No comments