উদ্বেগজনকভাবে ৪ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের হার কমছে
সরকারি
মালিকানাধীন সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের
হার উদ্বেগজনকভাবে কমছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এই চার
ব্যাংকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলেছে।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে আজ বুধবার এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, এই চার ব্যাংকের ২০১৩ ও ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ঋণ আদায়ের পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। কমিটি চারটি ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক এবং আদায়ে আন্তরিক হতে বলেছে। উপযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫ হাজার ১৭৬ কোটি ৫০ লাখ এবং ২০১৪ সালে ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৮ হাজার ২৫৩ কোটি ১০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ৮০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এই সময়ে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংক ২০১৩ সালে ৩ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫৭৬ কোটি এবং ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৭৩৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৬০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৩১ কোটি ৪৮ লাখ এবং ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৮৯৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৯২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৩৪২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
রূপালী ব্যাংকের ২০১৩ সালে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৮০ কোটি এবং ২০১৪ সালে ১ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৩৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ৬৮ কোটি টাকা।
শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া, নুরুল ইসলাম সুজন ও আবদুর রউফ এবং চার ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে আজ বুধবার এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, এই চার ব্যাংকের ২০১৩ ও ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ঋণ আদায়ের পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। কমিটি চারটি ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক এবং আদায়ে আন্তরিক হতে বলেছে। উপযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে সোনালী ব্যাংকের ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫ হাজার ১৭৬ কোটি ৫০ লাখ এবং ২০১৪ সালে ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৮ হাজার ২৫৩ কোটি ১০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ৮০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এই সময়ে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংক ২০১৩ সালে ৩ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫৭৬ কোটি এবং ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৭৩৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৬০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৩১ কোটি ৪৮ লাখ এবং ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৮৯৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৪৯২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৩৪২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
রূপালী ব্যাংকের ২০১৩ সালে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৮০ কোটি এবং ২০১৪ সালে ১ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১৩৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ৬৮ কোটি টাকা।
শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া, নুরুল ইসলাম সুজন ও আবদুর রউফ এবং চার ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments