ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ঐশীর
পুলিশ দম্পতি হত্যাকাণ্ডে ঐশীসহ তিনজনেক
গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার তাদেরকে আদালতে
হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, এই খুনের
ঘটনায় পুলিশ ঐশীর আরো দুই বন্ধুকে (বয়ফ্রেন্ড) খুঁজছে। তাদেরকে আটক করা
গেলে খুনের রহস্য আরো স্পষ্ট হবে। তিনি জানান, খুন করার পর প্রথমে বাসা
ভাড়া নেয়ার চেষ্টা করে ঐশী। বাসা ভাড়া নিতে ব্যার্থ হলে তার ছেলে বন্ধুরা
তাকে আশ্বস্ত করে ভারতে পালিয়ে যেতে তারা তাকে সাহায্য করবে। কিন্তু কোথাও
নিরাপত্তা পাচ্ছিলনা সে। ঈদের আগে ঐশী তার বাবার কাছে ৩০ হাজার টাকা চায়।
না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় সে। এর আগেও সে এভাবে আত্মহ্ত্যার হুমকি দিয়ে
বাবা-মায়ের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল। সম্প্রতি ঐশী খুব বেশী
বেপরোয়া হয়ে উঠায় গত ১৫ জুলাই ঐশীর মোবাইল ফোন নিজের কাছে নিয়ে নেয় তার মা
স্বপ্না রহমান। ঐশীর উৎশৃঙ্খল ও বেপরোয়া জীবন যাপনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তার
বাবা-মা। মাদক গ্রহন, ডিজে পার্টি, বখাটে বন্ধুদের সাথে চলাফেরা, রাত করে
বাসায় ফেরা এরকম বিভিন্ন কারনে গত এক মাস ধরে ঐশীকে কঠোর শাসনের মধ্যে রাখে
তার বাবা-মা। কিন্তু পিতা-মাতার এরকম শাসন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। ক্রমাগত
পুঞ্জিভুত ক্ষোভ থেকেই সে এই হত্যাকান্ড ঘটায়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বেশ
কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঐশী, সুমী ও ঐশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমান
রনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রনি পড়াশোনা করে না। সে একজন ডিজে (ডিস্কো
জকি) বয়। তবে খুনের ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে
স্পষ্ট করেননি তিনি। কেন ঐশী আত্মসমর্পন করলো এমন এক প্রশ্নের উত্তরে
মনিরুল ইসলাম জানান, আত্মগোপনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল সে। সেই ভয় থেকেই
আত্মসমর্পন করে ঐশী।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগেই বাবা-মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঐশী। কিভাবে হত্যা করা হবে তাও ঠিক করে সে। এজন্য কয়েকদিন আগে ঘুমের ঔষধ ও ধারলো চাকু সংগ্রহ করে বাসায় লুকিয়ে রেখেছিল। খুন করার পর কোথায় যাবে তাও ঠিক করে রাখে সে। বুধবার রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত বাবা-মাকে খুন করে ঐশী।
মা স্বপ্নাকে কফির সাথে আগেই ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় ঐশী। আর বাবা এসবি’র পরিদর্শক মাহফুজুর রহমানকে খাওয়ায় রাত ১১ টার পর। মাহফুজুর রাতে বাসায় ফেরার পর তিনি স্ত্রী স্বপ্নাকে ঘুম থেকে উঠান। স্বপ্না রহমান ঘুম থেকে একবার জোগেনও। কিন্তু ঔষধের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় কিছুক্ষন পরই আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। মা স্বপ্না রহমানকে দেয়া ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত কফির অবশিষ্টাংশের সাথে তিন গুন বেশী ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তা খেতে দেয়া হয় মাহফুজুরকে। ঐ কফি পান করে তিনিও গভীর ঘুমে তলিয়ে পড়েন। এরপর ঐশী তার একমাত্র ভাই সাত বছরের ওহীকে বাথরুমে আটকে রাখে। তারপর লুকিয়ে রাখা ছুরি নিয়ে প্রথমে বাবাকে খুন করে। এরপর ঝাপিয়ে পড়ে মায়ের ওপর। মায়ের ওপর তার ক্ষোভ বেশী থাকায় তাকে উপর্যুপৃরি বেশ কয়েকটি আঘাত করে ঐশী। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর বাবার লাশ বিছানার চাদর মুড়িয়ে টেনে নিয়ে যায় তার শোবার কক্ষের বাথরুমের ভেতর। একইভাবে মায়ের লাশও চাদর পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাথরুমের ভেতর। কিন্তু মায়ের ভারী শরীর ঐপর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে না পেরে বাথরুমের বাইরেই ফেলে রাখে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে গৃহপরিচারিকা সুমী।
মা স্বপ্নার কোমরে একটি শক্ত সুতায় সবসময় পেঁচানো থাকতো বাসার আলমিরার চাবি। ঐশী রান্না ঘর থেকে বটি এনে মায়ের কোমড়ে পেচানো সেই সুতা কেটে চাবি নিয়ে আলমিরা খুলে। সেখান থেকে বেশ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্নালঙ্কার নেয় একটি ব্যাগে। নিজের পরিধানের কাপড়ও নেয় আরেকটি ব্যাগে।
পরে ছোট ভাই ওহীকে বাথরুম থেকে বের করলে, সে রক্ত দেখে ভয় পায়। এ সময় ঐশী তার ছোট ভাইকে শান্ত করতে বলে, বাবা-মা অসুস্থ তাদের হাসপাতালে নিতে হবে। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে ঐশী ওহী ও সুমীসহ দুটি ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সারাদিন তারা তিন জন রাজধানীর উত্তরা, বনানী ও বাসাবোসহ বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশায় ঘুরে বেড়ায়। দিন শেষে রাত হলে সিএনজি চালককে ভাড়া হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে সুমীকে চালকের বাসায় রাখার অনুরোধ করেন ঐশী। সিএনজি চালাকও তার কথামতো সুমীকে বাসায় রাখতে রাজি হন। পরে ঐশী ভাইকে নিয়ে চলে যান তার এক বান্ধবীর বাসায়।
গোয়েন্দা একটি সূত্র জানায়, ঐশী মেধাবী হওয়া সত্বেও বেপরোয়া জীবনের প্রতি তার ছিল প্রচন্ড মোহ। রাজধানীর মতিঝিলে একটি খ্যাতনামা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও সেখানে পড়াশোনা করতে চাইতো না সে। কারন ঐ স্কুলের পর্দানশীলতা পছন্দ করতো না সে। পরে তাকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করা হয়।
মাহফুজুর রহমানের পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, ঐশীর কারনে তার বাবা-মা পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠানেও যেতে পারতেন না। কারন ঐশী সেসব অনুষ্ঠানে যেতে চাইতো না। তাকে একা বাসায় রেখে কোথাও যেতে স্বস্তি পেতেন না তারা। ঐশীর বাবা-মাকে যেদিন খুন করা হয় এর পরদিন বৃহস্পতিবার ঐশীর খালাতো ভাইয়ের জম্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল তার নানার বাড়ি রাজবাড়িতে। ঈদ পরবর্তী অনুষ্ঠান হওয়ায় পরিবারের সকলকে সেই অনুষ্ঠান নিমন্ত্রন করা হয়। কিন্তু ঐশীর কারনে তার বাবা-মাকে সেখানে নিমন্ত্রন করা হয়নি।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগেই বাবা-মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঐশী। কিভাবে হত্যা করা হবে তাও ঠিক করে সে। এজন্য কয়েকদিন আগে ঘুমের ঔষধ ও ধারলো চাকু সংগ্রহ করে বাসায় লুকিয়ে রেখেছিল। খুন করার পর কোথায় যাবে তাও ঠিক করে রাখে সে। বুধবার রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত বাবা-মাকে খুন করে ঐশী।
মা স্বপ্নাকে কফির সাথে আগেই ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় ঐশী। আর বাবা এসবি’র পরিদর্শক মাহফুজুর রহমানকে খাওয়ায় রাত ১১ টার পর। মাহফুজুর রাতে বাসায় ফেরার পর তিনি স্ত্রী স্বপ্নাকে ঘুম থেকে উঠান। স্বপ্না রহমান ঘুম থেকে একবার জোগেনও। কিন্তু ঔষধের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় কিছুক্ষন পরই আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। মা স্বপ্না রহমানকে দেয়া ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত কফির অবশিষ্টাংশের সাথে তিন গুন বেশী ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তা খেতে দেয়া হয় মাহফুজুরকে। ঐ কফি পান করে তিনিও গভীর ঘুমে তলিয়ে পড়েন। এরপর ঐশী তার একমাত্র ভাই সাত বছরের ওহীকে বাথরুমে আটকে রাখে। তারপর লুকিয়ে রাখা ছুরি নিয়ে প্রথমে বাবাকে খুন করে। এরপর ঝাপিয়ে পড়ে মায়ের ওপর। মায়ের ওপর তার ক্ষোভ বেশী থাকায় তাকে উপর্যুপৃরি বেশ কয়েকটি আঘাত করে ঐশী। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর বাবার লাশ বিছানার চাদর মুড়িয়ে টেনে নিয়ে যায় তার শোবার কক্ষের বাথরুমের ভেতর। একইভাবে মায়ের লাশও চাদর পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাথরুমের ভেতর। কিন্তু মায়ের ভারী শরীর ঐপর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে না পেরে বাথরুমের বাইরেই ফেলে রাখে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে গৃহপরিচারিকা সুমী।
মা স্বপ্নার কোমরে একটি শক্ত সুতায় সবসময় পেঁচানো থাকতো বাসার আলমিরার চাবি। ঐশী রান্না ঘর থেকে বটি এনে মায়ের কোমড়ে পেচানো সেই সুতা কেটে চাবি নিয়ে আলমিরা খুলে। সেখান থেকে বেশ কিছু নগদ অর্থ ও স্বর্নালঙ্কার নেয় একটি ব্যাগে। নিজের পরিধানের কাপড়ও নেয় আরেকটি ব্যাগে।
পরে ছোট ভাই ওহীকে বাথরুম থেকে বের করলে, সে রক্ত দেখে ভয় পায়। এ সময় ঐশী তার ছোট ভাইকে শান্ত করতে বলে, বাবা-মা অসুস্থ তাদের হাসপাতালে নিতে হবে। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে ঐশী ওহী ও সুমীসহ দুটি ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সারাদিন তারা তিন জন রাজধানীর উত্তরা, বনানী ও বাসাবোসহ বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশায় ঘুরে বেড়ায়। দিন শেষে রাত হলে সিএনজি চালককে ভাড়া হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে সুমীকে চালকের বাসায় রাখার অনুরোধ করেন ঐশী। সিএনজি চালাকও তার কথামতো সুমীকে বাসায় রাখতে রাজি হন। পরে ঐশী ভাইকে নিয়ে চলে যান তার এক বান্ধবীর বাসায়।
গোয়েন্দা একটি সূত্র জানায়, ঐশী মেধাবী হওয়া সত্বেও বেপরোয়া জীবনের প্রতি তার ছিল প্রচন্ড মোহ। রাজধানীর মতিঝিলে একটি খ্যাতনামা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও সেখানে পড়াশোনা করতে চাইতো না সে। কারন ঐ স্কুলের পর্দানশীলতা পছন্দ করতো না সে। পরে তাকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করা হয়।
মাহফুজুর রহমানের পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, ঐশীর কারনে তার বাবা-মা পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠানেও যেতে পারতেন না। কারন ঐশী সেসব অনুষ্ঠানে যেতে চাইতো না। তাকে একা বাসায় রেখে কোথাও যেতে স্বস্তি পেতেন না তারা। ঐশীর বাবা-মাকে যেদিন খুন করা হয় এর পরদিন বৃহস্পতিবার ঐশীর খালাতো ভাইয়ের জম্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল তার নানার বাড়ি রাজবাড়িতে। ঈদ পরবর্তী অনুষ্ঠান হওয়ায় পরিবারের সকলকে সেই অনুষ্ঠান নিমন্ত্রন করা হয়। কিন্তু ঐশীর কারনে তার বাবা-মাকে সেখানে নিমন্ত্রন করা হয়নি।
No comments