আইরিশদের উড়িয়ে শেষ আটে স্মিথরা
ডাবলিন-বেলফাস্টে কী হয়েছিল কে জানে, কাল কিন্তু একটা সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম...পুরো বাংলাদেশ ভয়ই পেয়ে গিয়েছিল। ১১৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন হারিয়ে ফেলল ৫ উইকেট। স্বার্থের সুতোয় এমনভাবে এই ম্যাচটির সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাঁধা ছিল; আরেকটি আইরিশ-রূপকথা মানে সমীকরণ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের সমর্থকেরা যে চেয়েছেন, মনেপ্রাণে প্রার্থনা করেছেন, এই ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতুক।
সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে! ম্যাচের শুরুর দিকে শঙ্কার যে মেঘ ঘিরে ধরেছিল, কাল কলকাতার ফ্লাডলাইটের আলোয় কেটে গেছে সেই মেঘ। ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড ১৪১ রানে অলআউট হয়েছে। ১৩১ রানে জিতে নাটক জমিয়ে তোলা ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরুর ধাক্কা সামলে ইডেনে এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বড় স্কোরই করেছিল স্মিথের দল। পুরো কৃতিত্ব জেপি ডুমিনির। বেচারা কাল মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। বিশ্বকাপে ৯৯ রানে আউট হওয়ার অপ্রত্যাশিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। সেঞ্চুরিটা এই বাঁহাতির প্রাপ্যই ছিল। চাপের মুখে ম্যাচ কী করে বের করে আনতে হয়, সেটির প্রামাণ্যচিত্রই যেন হয়ে থাকবে ডুমিনির ইনিংসটি। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ দুটি জুটিই হলো ষষ্ঠ আর সপ্তম উইকেটে। দুটো জুটিই ডুমিনিকে কেন্দ্র করে। আইরিশদের উৎসব থামিয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
যা শুরু হয়েছিল পঞ্চম ওভার থেকে। বয়ড র্যাঙ্কিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে জর্জ ডকরেলের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হন হাশিম আমলা। এদিনও দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে আইরিশরা। প্রমাণ দুটো রান আউট। গ্রায়েম স্মিথ আর জ্যাক ক্যালিস যখন ফিরে আসেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ৯৫ রানে। খানিক পরে ফ্যাফ ডু প্লেসিস স্লিপে ক্যাচিং অনুশীলন করানোয় বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে ভিড় করে ভয়। চাপে ভেঙে পড়ার উদাহরণ তো প্রোটিয়াদের ভুরি ভুরিই আছে।
না, ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে নিজেদের অন্যভাবে চেনানো দক্ষিণ আফ্রিকা এদিনও নতুন দিনের গান শোনাল। শোনালেন আসলে ধাতব স্নায়ুর ডুমিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুরু করলেন ব্যাটিং। প্রথম চারটি মারলেন নিজের ইনিংসের ৫০তম বলে। কেবল সিঙ্গেলস থেকেই তুলেছেন ২৭ রান। ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটিং, কিন্তু দলের রানরেটও পড়তে দেননি সেভাবে। ঠিকই কিন্তু ফিফটি তুলেছেন ৬৭ বলে!
প্রথমে কলিন ইনগ্রাম, পরে ইয়োহান বোথাও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডুমিনিকে। ইনগ্রামের সঙ্গে তাঁর ৮৭ আর বোথার সঙ্গে ৬৫ রানের দুটো জুটিই ওভারপিছু রান তুলেছে ছয়ের ওপর। দলের প্রয়োজনেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকতেই।
ম্যাচ হারলেই বিদায়—এই সমীকরণ ২৭৩ রানের লক্ষ্যটাকে আরও বড় বানিয়ে দিয়েছিল আইরিশদের জন্য। সেই চাপ তারা সামলাতে পারেনি বলেই হয়তো উইকেট খুইয়েছে শুরু থেকে। ধারাবাহিক এই উইকেট পতনের স্রোতে বাঁধ তুলতে পারেনি বলেই ৯২ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলেছে দলের পাঁচ ব্যাটিং স্তম্ভকে। এর মধ্যে দুই ও’ব্রায়েন আর এড জয়েসও আছেন। ম্যাচটা ওখানেই শেষ! এরপর কেবলই পরাজয় বিলম্বিত করেছে আইরিশরা।
এই পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখানো আয়ারল্যান্ডের। আরেকটি ম্যাচ অবশ্য আছে তাদের—হল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকারও ম্যাচ আছে আরেকটি—বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাল হয়তো সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশকে পেয়েছিল তারা; ১৯ মার্চ ছবিটা থাকবে একেবারেই উল্টো।
সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে! ম্যাচের শুরুর দিকে শঙ্কার যে মেঘ ঘিরে ধরেছিল, কাল কলকাতার ফ্লাডলাইটের আলোয় কেটে গেছে সেই মেঘ। ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড ১৪১ রানে অলআউট হয়েছে। ১৩১ রানে জিতে নাটক জমিয়ে তোলা ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরুর ধাক্কা সামলে ইডেনে এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বড় স্কোরই করেছিল স্মিথের দল। পুরো কৃতিত্ব জেপি ডুমিনির। বেচারা কাল মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। বিশ্বকাপে ৯৯ রানে আউট হওয়ার অপ্রত্যাশিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। সেঞ্চুরিটা এই বাঁহাতির প্রাপ্যই ছিল। চাপের মুখে ম্যাচ কী করে বের করে আনতে হয়, সেটির প্রামাণ্যচিত্রই যেন হয়ে থাকবে ডুমিনির ইনিংসটি। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ দুটি জুটিই হলো ষষ্ঠ আর সপ্তম উইকেটে। দুটো জুটিই ডুমিনিকে কেন্দ্র করে। আইরিশদের উৎসব থামিয়ে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
যা শুরু হয়েছিল পঞ্চম ওভার থেকে। বয়ড র্যাঙ্কিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে জর্জ ডকরেলের দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হন হাশিম আমলা। এদিনও দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে আইরিশরা। প্রমাণ দুটো রান আউট। গ্রায়েম স্মিথ আর জ্যাক ক্যালিস যখন ফিরে আসেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ৯৫ রানে। খানিক পরে ফ্যাফ ডু প্লেসিস স্লিপে ক্যাচিং অনুশীলন করানোয় বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে ভিড় করে ভয়। চাপে ভেঙে পড়ার উদাহরণ তো প্রোটিয়াদের ভুরি ভুরিই আছে।
না, ভারতের বিপক্ষে গত ম্যাচে নিজেদের অন্যভাবে চেনানো দক্ষিণ আফ্রিকা এদিনও নতুন দিনের গান শোনাল। শোনালেন আসলে ধাতব স্নায়ুর ডুমিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় শুরু করলেন ব্যাটিং। প্রথম চারটি মারলেন নিজের ইনিংসের ৫০তম বলে। কেবল সিঙ্গেলস থেকেই তুলেছেন ২৭ রান। ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটিং, কিন্তু দলের রানরেটও পড়তে দেননি সেভাবে। ঠিকই কিন্তু ফিফটি তুলেছেন ৬৭ বলে!
প্রথমে কলিন ইনগ্রাম, পরে ইয়োহান বোথাও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডুমিনিকে। ইনগ্রামের সঙ্গে তাঁর ৮৭ আর বোথার সঙ্গে ৬৫ রানের দুটো জুটিই ওভারপিছু রান তুলেছে ছয়ের ওপর। দলের প্রয়োজনেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকতেই।
ম্যাচ হারলেই বিদায়—এই সমীকরণ ২৭৩ রানের লক্ষ্যটাকে আরও বড় বানিয়ে দিয়েছিল আইরিশদের জন্য। সেই চাপ তারা সামলাতে পারেনি বলেই হয়তো উইকেট খুইয়েছে শুরু থেকে। ধারাবাহিক এই উইকেট পতনের স্রোতে বাঁধ তুলতে পারেনি বলেই ৯২ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলেছে দলের পাঁচ ব্যাটিং স্তম্ভকে। এর মধ্যে দুই ও’ব্রায়েন আর এড জয়েসও আছেন। ম্যাচটা ওখানেই শেষ! এরপর কেবলই পরাজয় বিলম্বিত করেছে আইরিশরা।
এই পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখানো আয়ারল্যান্ডের। আরেকটি ম্যাচ অবশ্য আছে তাদের—হল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকারও ম্যাচ আছে আরেকটি—বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাল হয়তো সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশকে পেয়েছিল তারা; ১৯ মার্চ ছবিটা থাকবে একেবারেই উল্টো।
No comments