জয় দিয়ে শেষ করল নিউজিল্যান্ড
ভারত-বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর নিজেদের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হারটা এড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচ শেষেই নির্ধারিত হয়ে গেছে সিরিজের ফলাফল। ৩-১-এ ইতিমধ্যেই সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচটা তাই কিউইদের জন্য হয়ে উঠেছিল মান বাঁচানোর লড়াই। আর সেই লড়াইটা চমত্কারভাবেই উের গিয়ে শেষটা ভালো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। জেসি রাইডারের ঝোড়ো সেঞ্চুরির (১০৭) ওপর ভর করে বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ব্যবধান ৩-২-এ নামিয়ে নিয়ে এসেছে তাঁরা।
৩১২ রানের কঠিন টার্গেট সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ইনিংস শেষ হয়েছে ২৫৪ রানে। প্রথম ১৪ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই পাকিস্তান হারিয়েছিল মোহাম্মদ হাফিজ (২১), আহমেদ শেহজাদ (১৯) ও ইউনুস খানের (১৬) উইকেট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মিসবাহ-উল হকের অনুপস্থিতিটাও আজ বেশ ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কামরান আকমল। কিন্তু মিডল অর্ডারে বড় কোনো জুটি গড়তে না পারায় শেষ পর্যন্ত জয়টা অধরাই থেকে গেছে পাকিস্তানের। অষ্টম উইকেটে সোহেল তানভিরকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র নয় ওভারে ৫৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তান শিবিরে আবারও কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু দলীয় ২৪১ রানের মাথায় সোহেল তানভির (৩০) রানআউট হওয়ার পর যেন হাল ছেড়ে দেন তিনি। পরের ওভারে ৪৪ রান করে তিনিও ফিরে যান বেনেটের শিকারে পরিণত হয়ে। ছয় ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানি ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫৪ রানে।
এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। চতুর্থ ওভারে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটাও ভালোভাবেই করেছিলেন সোহেল তানভির। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান গাপটিল আর রাইডার। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় রাজ্জাকের শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান গাপটিল (৪৪)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন টেলর, ফ্রাঙ্কলিন ও রাইডার। দলীয় ১৯০ রানে ফিরে যাওয়ার আগে রাইডার খেলেছেন ৯৩ বলে ১০৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। শেষ পর্যায়ে স্কট স্টাইরিসের হার না মানা ৫৮ এবং নাথান ম্যাককালামের ৬৫ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩১২ রান। রয়টার্স/ক্রিকইনফো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩১১/৭ (৫০ ওভার)
জেসি রাইডার-১০৭, নাথান ম্যাককালাম-৬৫, স্কট স্টাইরিস-৫৮*; মোহাম্মদ হাফিজ ৫৭/২, আবদুর রাজ্জাক ২৩/২
পাকিস্তান ২৫৪ (৪৪.১ ওভার)
কামরান আকমল-৮৯, শহীদ আফ্রিদি-৪৪; হামিশ বেনেট ৪৬/৪, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ৫০/৩
৩১২ রানের কঠিন টার্গেট সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ইনিংস শেষ হয়েছে ২৫৪ রানে। প্রথম ১৪ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই পাকিস্তান হারিয়েছিল মোহাম্মদ হাফিজ (২১), আহমেদ শেহজাদ (১৯) ও ইউনুস খানের (১৬) উইকেট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মিসবাহ-উল হকের অনুপস্থিতিটাও আজ বেশ ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কামরান আকমল। কিন্তু মিডল অর্ডারে বড় কোনো জুটি গড়তে না পারায় শেষ পর্যন্ত জয়টা অধরাই থেকে গেছে পাকিস্তানের। অষ্টম উইকেটে সোহেল তানভিরকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র নয় ওভারে ৫৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তান শিবিরে আবারও কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু দলীয় ২৪১ রানের মাথায় সোহেল তানভির (৩০) রানআউট হওয়ার পর যেন হাল ছেড়ে দেন তিনি। পরের ওভারে ৪৪ রান করে তিনিও ফিরে যান বেনেটের শিকারে পরিণত হয়ে। ছয় ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানি ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫৪ রানে।
এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। চতুর্থ ওভারে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটাও ভালোভাবেই করেছিলেন সোহেল তানভির। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান গাপটিল আর রাইডার। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় রাজ্জাকের শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান গাপটিল (৪৪)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন টেলর, ফ্রাঙ্কলিন ও রাইডার। দলীয় ১৯০ রানে ফিরে যাওয়ার আগে রাইডার খেলেছেন ৯৩ বলে ১০৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। শেষ পর্যায়ে স্কট স্টাইরিসের হার না মানা ৫৮ এবং নাথান ম্যাককালামের ৬৫ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩১২ রান। রয়টার্স/ক্রিকইনফো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩১১/৭ (৫০ ওভার)
জেসি রাইডার-১০৭, নাথান ম্যাককালাম-৬৫, স্কট স্টাইরিস-৫৮*; মোহাম্মদ হাফিজ ৫৭/২, আবদুর রাজ্জাক ২৩/২
পাকিস্তান ২৫৪ (৪৪.১ ওভার)
কামরান আকমল-৮৯, শহীদ আফ্রিদি-৪৪; হামিশ বেনেট ৪৬/৪, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ৫০/৩
No comments